সংক্ষিপ্ত

আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে উচ্চ মাধ্যমিকে বছরে ২টি করে পরীক্ষা নেওয়া হবে। চলতি শিক্ষাবর্ষে অর্থাত্‍ ২০২৪-২৫ থেকে একাদশ শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীদের সেমিস্টার পদ্ধতিতে পরীক্ষা দিতে হবে।

উচ্চ মাধ্যমিকে সেমিস্টার পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেওয়ায় অনুমোদন দিল রাজ্য সরকার। বেশ কয়েক মাস ধরেই এই বিষয়ে আলোচনা চলছিল শিক্ষাদফতরে। অবশেষ নেওয়া হল চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। জানা গিয়েছে ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষ থেকেই পড়ুয়াদের সেমিস্টার পদ্ধতিতে পরীক্ষা দিতে হবে। সেই মর্মেই নোটিশ দেওয়া হল। আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে উচ্চ মাধ্যমিকে বছরে ২টি করে পরীক্ষা নেওয়া হবে। চলতি শিক্ষাবর্ষে অর্থাত্‍ ২০২৪-২৫ থেকে একাদশ শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীদের সেমিস্টার পদ্ধতিতে পরীক্ষা দিতে হবে। এর ফলে যারা এবারে মাধ্যমিকে উত্তীর্ণ হয়ে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি হবে, তাদের সেমিস্টার পদ্ধতিতেই দিতে হবে পরীক্ষা।

উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ জানিয়েছে আর বার্ষিক নয়, এবার উচ্চ মাধ্যমিকেও শুরু হতে চলেছে সেমিস্টার। একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদয়ের এই পদ্ধতিতেই দিতে হবে পরীক্ষা। রাজ্যের এই সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছন বিশিষ্ট শিক্ষক অনিমেষ হালদার। তিনি বলেন, "মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতি (এস টি ই এ) উচ্চ মাধ্যমিকে সেমেস্টার নিয়ে আসার বিপক্ষে প্রথম থেকেই সোচ্চার। সমিতি মনে করে, এর দরুন শিক্ষার সারবর্তা হারিয়ে যাবে শিক্ষার্থীদের কাছে। সামান্য কিছু পড়ে উতরে যাওয়ার প্রবনতা বাড়বে।

অল পোস্ট গ্র‍্যাজুয়েট টিচার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারী চন্দন গরাই বলেন, "উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে অতিদ্রুত সেমিস্টার অনুযায়ী সিলেবাস প্রকাশ করতে হবে কাউন্সিলকে ও সেমিস্টারগুলির বিষয় ভিত্তিক সিলেবাসের পুস্তিকা, প্রশ্ন কাঠামো বিতরণ করা দরকার।"

শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক কিংকর অধিকারী বলেন, "উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে সেমিস্টার প্রথা চালুর মাধ্যমে সহজে নম্বর তোলার সস্তা প্রক্রিয়া শুরু করতে চাইছে সরকার কিন্তু এর মাধ্যমে উচ্চশিক্ষায় যাওয়ার আগে ছাত্র-ছাত্রীদের শক্ত ভিত্তি তৈরি করার প্রক্রিয়াটি বাধাগ্রস্ত হবে। এই পদ্ধতি এবং সিলেবাস পরিবর্তনের বিষয়ে বিশেষ কয়েকজনের মতামতের ভিত্তিতে নয়, প্রত্যক্ষভাবে ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে যাঁরা প্রতিনিয়ত কাজ করেন সেই শিক্ষকদের সঙ্গে কোন আলোচনা না করে সেমিস্টার প্রথা অথবা সিলেবাস পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ অবৈজ্ঞানিক।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।