AI এর কারনে সামনের দিনে অনেকেই চাকরি হারা হতে পারেন বলে শঙ্কায় আছেন। তবে কোন কোন চাকরির ওপর AI এর প্রভাব পড়বে না জেনে নিন।

একাংশের আশঙ্কা AI এর কারণে আগামী দিনে চাকরি হারাতে পারেন বহু মানুষ। অনেকেই আবার বলছেন AI টুলস না জানা থাকলে কর্পোরেট ওয়ার্ল্ডে টিকে থাকা খুব কঠিন হবে। ফলে এখন অনেকে ভাবছেন, এমন কোন পেশা বেছে নেওয়া উচিত যেগুলোকে ভবিষ্যতে কোনওভাবেই AI রিপ্লেস করতে পারবে না। সেই তালিকাতেই রইল এমন ১০টি পেশা, যেগুলো মানুষের অনুভূতি, সৃজনশীলতা এবং নৈতিক বিচারের উপর নির্ভরশীল—যাকে রিপ্লেস করা AI-এর পক্ষে সম্ভব নয়।

১.স্বাস্থ্যক্ষেত্র ডাক্তার, নার্স বা মেডিক্যাল প্র্যাকটিশনারদের কাজ শুধু প্রযুক্তিগত জ্ঞান নয়; রোগীর যত্ন, সহমর্মিতা ও নৈতিক সিদ্ধান্তের প্রয়োজন হয়—যা AI-এর পক্ষে বোঝা কঠিন। ২.শিক্ষকতা শিক্ষক কেবল বইয়ের জ্ঞান দেন না, ছাত্রদের চরিত্র গঠন, নৈতিক মূল্যবোধ ও ব্যক্তিগত দিশা দেওয়ার কাজও করেন। এই মানবিক দিকটি AI কখনও পূরণ করতে পারবে না।

৩. সৃজনশীল শিল্পী লেখক, চলচ্চিত্র নির্মাতা, কিছু ক্ষেত্রে ইলাস্ট্রেটর বা ডিজাইনাররা তাঁদের শিল্পে মানবিক আবেগ, সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপট ও জীবনের অভিজ্ঞতা মিশিয়ে দেন। এই অনুভব AI-এর নাগালের বাইরে।

৪. রাঁধুনি এবং এই ধরনের পেশা রান্না মানে কেবল রেসিপি মেনে চলা নয়। স্বাদের সূক্ষ্মতা, পরিবেশনের নান্দনিকতা ও সংস্কৃতির ছাপ বোঝার ক্ষমতা চাই—যা কেবল মানুষের মধ্যেই থাকে।

৫. বিজ্ঞানী ও গবেষক নতুন আবিষ্কার বা গবেষণার জন্য কৌতূহল, কল্পনা ও পরীক্ষার সাহস দরকার। এই সৃজনশীল অনুসন্ধান AI-এর সীমার বাইরে।

৬. কাউন্সেলর ও থেরাপিস্ট মানসিক স্বাস্থ্যকর্মীরা রোগীর যন্ত্রণাকে বোঝেন, মনোযোগ দিয়ে শোনেন ও সহানুভূতি দেন—যা কোনও মেশিনের পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয়।

৭.সমাজকর্মী বিভিন্ন সম্প্রদায়ের সঙ্গে গভীর যোগাযোগ, তাঁদের সমস্যা বোঝা এবং মানবিক সমাধান দেওয়ার দক্ষতা সামাজিক কর্মীদের বিশেষ করে তোলে। এই সংবেদনশীল কাজ AI করতে পারবে না।

৮. নেতৃত্বের পদ একটি দলকে একত্রিত রাখা, সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া এবং কর্মীদের অনুপ্রাণিত করা—এমন দক্ষ নেতৃত্ব এখনো একান্ত মানবিক গুণ।

৯. কারিগরি বা হাতে-কলমের পেশা রংমিস্ত্রি, মিস্ত্রি, ইলেকট্রিশিয়ান বা প্লাম্বার—এই ধরনের পেশায় শারীরিক কৌশল, সমস্যা সমাধান এবং পরিস্থিতি বোঝার মানবিক ক্ষমতা অপরিহার্য।

প্রযুক্তি যতই এগিয়ে যাক, মানুষের অনুভূতি, সৃজনশীল চিন্তা, সহমর্মিতা এবং নৈতিক বিচারের জায়গা কখনও AI নিতে পারবে না। তাই ক্যারিয়ার বাছাইয়ের সময়ে এইসব ক্ষেত্রেই ভবিষ্যতের জন্য সবচেয়ে বেশি নিরাপদ দিশা মিলবে। তবে নিজেকে সময়ের সঙ্গে আপডেট করার জন্য AI-এর ব্যবহার জানাটা জরুরি। এতে কাজ অনেকবেশি সহজ হবে সে কথা বলার অপেক্ষা করে না।