আগামী পাঁচ বছর কাজের বাজার কেমন হবে? সমীক্ষার রিপোর্ট দেখলে ঘুম ছুটবে ভারতীয়দের
- FB
- TW
- Linkdin
কোভিড বিশ্বে চাকরি হ্রাস
কোভিড পরবর্তী সময় চাকরির বাজার সঙ্কুচিত হচ্ছে। নামি দামি কোম্পানি থেকে চাকরি হারাচ্ছে বহু মানুষ। তথ্য প্রযুক্তি সংস্থার পাশাপাশি অন্যান্য সংস্থাগুলিতেও ছাঁটাই অব্যাহত।
চাকরির আকাশে কালো মেঘ
এই অবস্থায় চাকরির আকাশে কালো মেঘ দেখছেন অনেকেই। বিশ্বের মতই পরিস্থিতি ভারতে। এখানেই চাকরি হারিয়ে বেকার বহু উচ্চ শিক্ষিত যুবক।
রিপোর্ট ঘিরে তোলপাড়
এই অবস্থায় প্রকাশ্যে এসেছে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের সমীক্ষা রিপোর্ট। যা আগামী পাঁচ বছর ভারত-সহ বিশ্বের একাধিক দেশের চাকরির পূর্বাভাস দিয়েছে। রিপোর্ট ঘিরে তোলপাড় শুরু হয়েছে।
রিপোর্ট শঙ্কা
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের সমীক্ষার রিপোর্ট বলা হয়েছে চাকরির বাজারে মন্থন চলব। অর্থাৎ কাজ হারাবেন বহু মানুষ। যা নিয়ে চাকরি প্রার্থীদের মধ্যে সংকট বাড়ছে।
আশার আলো
শুধু শঙ্কা নয়। রিপোকর্ট রয়েছে আশার আলো। পুরনো নয়, নতুন ক্ষেত্রে কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়বে বলেও আশার আলো দেখান হয়েছে রিপোর্টে। তবে রিপোর্টে বলা হয়েছে কাজ হারানোদের তুলনায় এই সংখ্যাটা রীতিমত নগন্য।
ভারতের অবস্থা
ফিউচার অফ জবস রিপোর্টে বলা হয়েছে, প্রায় ৬১ শতাংশ ভারতীয় কোম্পানি মনে করে যে পরিবেশ, সামাজিক এবং শাসনের (ESG) মানগুলির বিস্তৃত প্রয়োগ চাকরি বৃদ্ধিকে চালিত করবে। একইভাবে, ৫৯ শতাংশ কোম্পানি মনে করে নতুন প্রযুক্তি গ্রহণ করলে কর্মসংস্থানের বিকাশ ঘটবে, যেখানে ৫৫ শতাংশ মনে করে ডিজিটাল অ্যাক্সেসের প্রসার ঘটলে আরও বেশি কর্মসংস্থান হতে পারে।
নিয়োগে প্রতিভার গুরুত্ব
নিয়োগের সময় প্রতিভার প্রাপ্যতার বিষয়ে দেশগুলির দৃষ্টিভঙ্গীর সঙ্গে তুলনা করার ক্ষেত্রে ভারত ও চিন বিশ্বের বাকি দেশগুলির থেকে সবথেকে বেশি এগিয়ে। চাকরির ক্ষেত্র তৈরিতে ভারত রয়েছে প্রথম সাতটি দেশের মধ্যে।
চাকরি হারানোর কারণ
ভবিষ্যতে চাকরি হারানোর মূল কারণই হবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স। আত্যাধুনিক প্রযুক্তি আর যন্ত্র মানুষের কাজের সুযোগ কেড়ে নেবে।
ভারতেরও প্রভাব
গোটা বিশ্বের সঙ্গে এর প্রভাব পড়বে ভারতেও। তবে প্রযুক্তি আর ডিজিটালাইজেশনের পথে হাঁটার কারণে ভারতে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে। তবে তার জন্য নতুন করে প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা করতে হবে।
সমীক্ষা করা হয়েছিল
বিশ্বের ৪৫টি দেশের ৮০৩টি কোম্পানি এই সমীক্ষাটি করেছেনয যারা একত্রিত হয়ে ১১.৩ মিলিয়নেরও বেশি কর্মী নিয়োগ করেছে।