সংক্ষিপ্ত

ভাইরাল হয়েছে ইউপিএসসি টপার শ্রুতি শর্মার মক ইন্টারভিউ। একের পর এক প্রশ্নবান রীতিমত সামলেছেন শ্রুতি। পড়াশুনা, বর্তমান আর্থ সামাজিক অবস্থা থেকে শুরু করে তাঁর নিজের বিষয় ইতিহাস- সবক্ষেত্রেই ছিল তাঁর অবাধ বিরচরণ। 

ভাইরাল হয়েছে ইউপিএসসি টপার শ্রুতি শর্মার মক ইন্টারভিউ। একের পর এক প্রশ্নবান রীতিমত সামলেছেন শ্রুতি। পড়াশুনা, বর্তমান আর্থ সামাজিক অবস্থা থেকে শুরু করে তাঁর নিজের বিষয় ইতিহাস- সবক্ষেত্রেই ছিল তাঁর অবাধ বিরচরণ। 

অধিকাংশ প্রশ্নের উত্তর দিলেও একটি প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেননি তিনি। স্পষ্ট করেই জানিয়ে দিয়েছেন এই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবেন না। বিতর্ক ইস্যুতে তিনি জানিয়েছেন, তিনি যখন ছাত্র ছিলেন তখন থেকেই তিনি বিতর্কে অংশ নিয়েছেন। এটি তাঁর প্রিয় বিষয়গুলির মধ্যেই পড়ে। 

শ্রুতি শর্মাকে এক প্রশ্নকর্তা ওয়ার্ল্ড সিনেমার মত কঠিন বিষয় নিয়েও প্রশ্ন নিজের মত করে সামলে দেন তিনি। পাশাপাশি সরকারি প্রকল্পগুলি নিয়েও একাধিক প্রশ্ন করা হয় তাঁকে।  কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ বিষয় প্রশ্ন করা হলে তাও সামলে দেন নিজের মত করে শ্রুতি। 

শ্রুতিকে নিজের সম্পর্কে প্রথমেই বলতে বলা হয়েছিল। সেই সময় তিনি নিজের পড়াশুনা নিয়ে একাধিক কথা বলেন। প্রশ্ন কর্তা তাঁকে প্রশ্ন করেন তিনি কেন সিভিল সার্ভিসের মত চাকরি করতে চান। তার উত্তরে শ্রুতি  বলেন, তিনি জনগণে আর দেশের উন্নয়নের জন্য কিছু করতে চান। মূলত জনগণের সেবা করার জন্যই তিনি এই চাকরি বেছে নিয়েছেন। তাঁর এই জন্য তিনি কঠোর পরিশ্রম করেছেন। ডিজিটাল কারেন্সি থেকে সাম্প্রতিক নানা বিষয় নিয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়। সবই তিনি ভালোকরে উত্তর দেন। 


উত্তর প্রদেশের বিজনৌরের বাসিন্দা শ্রুতি শর্মা। পড়াশুনা দিল্লির সেন্ট সস্টিফেন কলেজ থেকে। স্নানকোত্তর স্তরের জন্য দিল্লির জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলেন। কিন্তু এখনও এম.এ পড়ার শেষ করতে পারেননি তিনি। তিনি জানিয়েছেন জামিয়া মিলিয়া রেসিডেন্সিয়াল কোটিং একাডিমির পড়াশুনাই তাঁকে এই সাফল্য এনে দিয়েছে। উত্তর প্রদেশের উত্তর প্রদেশের বিজনৌরের বাসিন্দা শ্রুতি। তাঁদের পারিবারিক ব্যবসা রয়েছে। শ্রুতির এই সাফল্যে রীতিমত খুশির হাওয়া তাঁর পরিবারের সদস্যদের মধ্যে। শ্রুতির পরিবারের তাঁর এই সাফল্য উদযাপনের ভিডিও ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে। 

শ্রুতি জানিয়েছেন, তাঁর সাফল্যের চাবিকাঠি হল কঠোর পরিশ্রম। তিনি বলেছেন, মেইনস পরীক্ষার জন্য তিনি প্রচুর অনুশীলন করেছিলেন।  বিগত বছরের পরীক্ষার প্রশ্নগুলি দেখে দেখে তিনি নিজেই নোটস তৈরি করেছিলেন। পাশাপাশি সাহায্য নিয়েছিলেন সংবাদপত্রের। নিজের ভুলত্রুটি নিজেই বুঝতে পেরে সেগুলি সংশোধন করার চেষ্টা করেছিলেন। তিনি আরও জানিয়েছেন ধারাবাহিকতাই তাঁর সাফল্যের চাবিকাঠি। আর এর জন্য দিনের অনেকটা সময় তিনি পড়াশুনা করতেন। তিনি আরও বলেছেন সরকারি চাকরিতে যোগ দিয়ে দেশের সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে চান তিনি।