সংক্ষিপ্ত

উত্তর প্রদেশের বিজনৌরের বাসিন্দা শ্রুতি শর্মা। পড়াশুনা দিল্লির সেন্ট সস্টিফেন কলেজ থেকে। স্নানকোত্তর স্তরের জন্য দিল্লির জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলেন। কিন্তু এখনও এম.এ পড়ার শেষ করতে পারেননি তিনি।

প্রথমবার ইউপিএসসি সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা দিয়েই শীর্ষ  শ্রুতি শর্মা। তিনি জানিয়েছেন তিনি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবেন সেবিষয়ে আত্মবিশ্বাসী ছিলেন। কিন্তু এভাবে  প্রথমবার পরীক্ষা দিয়ে তিনি সফল হবেন, এটা ভাবেননি- এটা তাঁর কাছে অনেকটা স্বপ্নের মত।  

উত্তর প্রদেশের বিজনৌরের বাসিন্দা শ্রুতি শর্মা। পড়াশুনা দিল্লির সেন্ট সস্টিফেন কলেজ থেকে। স্নানকোত্তর স্তরের জন্য দিল্লির জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলেন। কিন্তু এখনও এম.এ পড়ার শেষ করতে পারেননি তিনি। তিনি জানিয়েছেন জামিয়া মিলিয়া রেসিডেন্সিয়াল কোটিং একাডিমির পড়াশুনাই তাঁকে এই সাফল্য এনে দিয়েছে। উত্তর প্রদেশের উত্তর প্রদেশের বিজনৌরের বাসিন্দা শ্রুতি। তাঁদের পারিবারিক ব্যবসা রয়েছে। শ্রুতির এই সাফল্যে রীতিমত খুশির হাওয়া তাঁর পরিবারের সদস্যদের মধ্যে। শ্রুতির পরিবারের তাঁর এই সাফল্য উদযাপনের ভিডিও ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে। 

শ্রুতি জানিয়েছেন, তাঁর সাফল্যের চাবিকাঠি হল কঠোর পরিশ্রম। তিনি বলেছেন, মেইনস পরীক্ষার জন্য তিনি প্রচুর অনুশীলন করেছিলেন।  বিগত বছরের পরীক্ষার প্রশ্নগুলি দেখে দেখে তিনি নিজেই নোটস তৈরি করেছিলেন। পাশাপাশি সাহায্য নিয়েছিলেন সংবাদপত্রের। নিজের ভুলত্রুটি নিজেই বুঝতে পেরে সেগুলি সংশোধন করার চেষ্টা করেছিলেন। তিনি আরও জানিয়েছেন ধারাবাহিকতাই তাঁর সাফল্যের চাবিকাঠি। আর এর জন্য দিনের অনেকটা সময় তিনি পড়াশুনা করতেন। তিনি আরও বলেছেন সরকারি চাকরিতে যোগ দিয়ে দেশের সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে চান তিনি। 

শ্রুতি জানিয়েছেন, 'আমি এমন কিছু করতে চান যা সমাজের উন্নতিতে সাহায্য করবে। আমি মনে করি ইউপিএসসি বা সিভিল সার্ভিস হল তেমনই একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম।' তাঁর ওপর যে দায়িত্ব দেওয়া সেটি তিনি যথাযথভাবে পালন করবেন বলেও জানিয়েছেন। 


শ্রুতি জানিয়েছেন, প্রথম স্থান অধিকার করতে পারে তাঁর ভালে লাগছে। তাঁর আরও ভালো লাগছে তিনি একজন মহিলা হিসেবে এই সম্মান পেয়েছেন বলেছ। তিনি আরও বলেছেন শুধুমাত্র আমলাতন্ত্র নয় বাকি ক্ষেত্রগুলিতেও এখন মহিলারা সফল হয়েছেন। এই বছর ইউপিএসসি পরীক্ষায় প্রথম তিনটি স্থান দখল করেছেন মহিলারা। প্রথম দ্বিতীয় আর তৃতীয় হয়েছে- শ্রুতি শর্মা, অঙ্কিতা আগরওয়াল, গামিনী সিঙ্গালা। প্রথম স্থানীধিকারী শ্রুতি শর্মা দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট স্টিফেন কলেজের প্রাক্তন ছাত্রী। চলতি বছর ইউপিএসসি পরীক্ষায় ৬৮৫ জন প্রার্থী উত্তীর্ণ হয়েছেন। 

ইউপিএসসি সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় দ্বিতীয় স্থান অধিকার করলেন বাংলার মেয়ে অঙ্কিতা আগরওয়াল। তিনি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির ছাত্রী। বেশ কয়েক বছর ধরেই সরকারি চাকরির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন।