সংক্ষিপ্ত
বিহারের জালালপুর জেলার বাসিন্দা দিব্যা শক্তি। চিকিৎসক পরিবারের সন্তান। প্রথম থেকেই মেধাবী ছাত্রী হিসেবে তাঁর পরিচিত ছিল। মুজাফ্ফরপুর হাইস্কুলের পর ডিপিএস বোকারোতে পড়ুাশুনা করেন।
রীতিমত নজির তৈরি করলেন দিব্যা শক্তি। পরপর দুবার ইউপিএসসি পরীক্ষায় সফল হলেন তিনি। প্রথমবার পরীক্ষায় বসেই সফল হয়েছিলেন তিনি। আইপিএস-এর জন্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। কিন্তু তাতে সন্তুষ্ট ছিলেন না দিব্যা। তাঁর প্রথম থেকেই লক্ষ্য ছিল আইএএস। আইপিএস হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করলেই নিজের লক্ষ্যে অবিচল ছিলেন দিব্যা। এবার তাতেই সফল হলেন তিনি।
বিহারের জালালপুর জেলার বাসিন্দা দিব্যা শক্তি। চিকিৎসক পরিবারের সন্তান। প্রথম থেকেই মেধাবী ছাত্রী হিসেবে তাঁর পরিচিত ছিল। মুজাফ্ফরপুর হাইস্কুলের পর ডিপিএস বোকারোতে পড়ুাশুনা করেন। তারপর কম্পিউটার ইঞ্জিয়ারিংএ ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। অর্থনীতিতে এমএসসি করেন তিনি। দুবছর আমেরিকার একটি বহুজাতিক সংস্থাকে কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। ২০১৯ সালে প্রথম ইউপিএসসি পরীক্ষায় বসেন।
প্রথমেই তিনি সফল হন। তাঁর ব়্যাঙ্ক ছিল ৭৯। তবে তাঁর স্বপ্ন ছিল আইএএস অফিসার হওয়ার । তাই আইপিএস-র চাকরি নিলেও তিনি পড়াশুনা চালিয়ে যান। আইএএস পাশের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ নেন। ২০২২ সালে পরীক্ষায় বসেন। এই বছর ৫৮ ব়্যাঙ্ক করেন তিনি। এই খবর পেয়ে তাঁর পরিবার রীতিমত আনন্দিত। তাঁর বাবা সকরাকি হাসপতালের প্রাক্তন সুপারিনটেনডেন্ট।
এই বছর ইউপিএসসি পরীক্ষায় প্রথম তিনটি স্থান দখল করেছেন মহিলারা। প্রথম দ্বিতীয় আর তৃতীয় হয়েছে- শ্রুতি শর্মা, অঙ্কিতা আগরওয়াল, গামিনী সিঙ্গালা। প্রথম স্থানীধিকারী শ্রুতি শর্মা দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট স্টিফেন কলেজের প্রাক্তন ছাত্রী। চলতি বছর ইউপিএসসি পরীক্ষায় ৬৮৫ জন প্রার্থী উত্তীর্ণ হয়েছেন। ইউপিএসসি সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় দ্বিতীয় স্থান অধিকার করলেন বাংলার মেয়ে অঙ্কিতা আগরওয়াল। তিনি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির ছাত্রী। বেশ কয়েক বছর ধরেই সরকারি চাকরির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। চলচি বছর ইউপিএসসি পরীক্ষা মহিলাদের জয়জয়াকার দেখা গেছে। যা নিয়ে রীতিমত উৎসাহী দেশের বুদ্ধিজীবিরা। নারীদের ক্ষমতায়নের দিকে এই ঘটনা অনেকটাই এগিয়ে নিয়ে যাবে বলেও আশা প্রকাশকরেছেন তাঁরা। তাঁরা জানিয়েছেন আগামী দিনে মহিলাদের আরও বেশি প্রশাসনিক দায়িত্ব গ্রহণ করা জরুরু।