সংক্ষিপ্ত
- তারকাহীন বসিরহাট দক্ষিণ বিধানসভা
- গুরুত্ব এক ফোঁটা কমেনি বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এই কেন্দ্রের
- শমীক ভট্টাচার্যকে সরিয়ে নিয়েছে বিজেপি
- একটা সময় বামেদের একাধিপত্য ছিল
তাপস দাস, প্রতিনিধি, ময়দানে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে অনেক গোল করেছেন। এবার সেমসাইড গোলই করে ফেললেন বসিরহাট দক্ষিণ কেন্দ্রের বিধায়ক দীপেন্দু বিশ্বাস।
তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী তালিকায় নিজের নাম না দেখে যাঁরা বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন, তাঁদের অন্যতম দীপেন্দু। মার্চ মাসের গোড়ায় দল পাল্টে ফেলেছিলেন, এবং টিকিট না পেয়েই যে তাঁর ভিন দলে গমন, সে কথা গোপন করেননি। কিন্তু বিজেপি তাঁকে টিকিট দেয়নি। এদিকে শমীক ভট্টাচার্যকে এই কেন্দ্র থেকে সরিয়ে নিয়েছে বিজেপি। তাঁকে দেওয়া হয়েছে রাজারহাট গোপালপুর কেন্দ্রের টিকিট।
এবার তৃণমূলের সঙ্গে বিমল গুরুং, বিধানসভার ভোট নিয়ে দার্জিলিং জমজমাট ...
এ অবস্থায় গত কয়েক বছর ধরে বিধানসভা ভোটে যে নেতাদের লড়াই দেখতে অভ্যস্ত ছিল বসিরহাট দক্ষিণ, সে তুলনায় প্রার্থী বিচারে এবার এ কেন্দ্র অনেকটাই জৌলুসহীন, ম্যাড়মেড়ে। তাতে অবশ্য গুরুত্ব কমে না এই বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী বিধানসভা কেন্দ্রের। সীমান্ত এলাকা বলেই ভোট এখানে জোরদার।
২০১১ সালের নির্বাচনে, বাম পতনের সময়েও এই কেন্দ্র থেকে জিতেছিলেন সিপিএম প্রার্থী। নারায়ণ মুখার্জি হারিয়েছিলেন, তৃণমূলের নারায়ণ গোস্বামীকে। জয়ের ব্যবধান ছিল ১২ হাজারের বেশি ভোট।
নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানিয়ে দুটি বার্তা, ভোটের মরশুমে বাংলার মত জয় করতে মরিয়া প্রধানমন্ত্রী ...
২০১৪ সালে বসিরহাট বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেবার জিতলেন শমীক ভট্টাচার্য। প্রথম পদ্মপতাকা উড়ল সেখানে। সামান্য ব্যবধানে হেরে গেলেন তৃণমূলের ফুটবলার প্রার্থী দীপেন্দু বিশ্বাস। মাত্র ১৫৮৬ ভোটে পরাজিত হন তিনি।
লাদাখের পর এবার ব্রহ্মপুত্রের দিকে নজর চিনের, তিব্বতে বাঁধ তৈরির পরিকল্পনায় উদ্বেগ ভারতের ...
২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে অবশ্য দীপেন্দু তুলনায় বেশ বড় ব্যবধানেই হারান শমীক ভট্টাচার্যকে। ২৪ হাজারেরও বেশি ভোটে জয়লাভ করেন দীপেন্দু।
২০১১ সালে, বিজেপির এখানে প্রায় কিছুই ছিল না। হাজারিলাল সরকার পেয়েছিলেন ৭২৮২ ভোট। ২০১৪ সালের নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী শমীক তো জিতেইছিলেন, পেয়েছিলেন ৭১ হাজারেরও বেশি ভোট। ২০১৬ সালে তিনি হেরেছিলেন, পেয়েছিলেন ৬৪ হাজারেরও বেশি ভোট।
বসিরহাট দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্র বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্ভুক্ত। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে এই কেন্দ্র থেকে এগিয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের নুসরত জাহান। এই বিধানসভা থেকে তিনি পেয়েছিলেন ১ লক্ষ ৫ হাজার ৪০৬ ভোট। বিজেপি প্রার্থী সায়ন্তন বসু পেয়েছিলেন ৯০ হাজার ৫০৬ ভোট।
২০২১ বিধানসভা ভোটে এই কেন্দ্র থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী ডক্টর সপ্তর্ষি ব্যানার্জি। বিজেপির প্রার্থী তারকনাথ ঘোষ। এই কেন্দ্রে কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছেন অমিত মজুমদার।
১৭ এপ্রিল স্থির হবে, এই কেন্দ্র কার দখলে থাকবে।