সংক্ষিপ্ত

 

  • কাঁথি দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের দাপট ছিল 
  • অধিকারীদের একচেটিয়ে রাজ ছিল এই কেন্দ্রে 
  • শিশির শুভেন্দু দিব্যেন্দু জিতেছেন এই কেন্দ্র থেকে 
  • বিধানসভা নির্বাচনে ত্রিমুখী লড়াই হবে 

উত্তর কাঁথি বিধানসভা কেন্দ্রের মত দক্ষিণ কাঁথি বিধানসভা কেন্দ্রটিও শুভেন্দু অধিকারীর গড় বললে খুব একটা ভুল হবে না। এই কেন্দ্রে ২০০১ সাল থেকেই অধিকারী পরিবারের দাপট ছিল। ২০০১ সালে তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে এই কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিলেন শিশির অধিকারী। তারপরের নির্বাচনে জয়ি হন শুভেন্দু। তিনি লোকসভায় চলে গেলে ২০০৯ সালের উপনির্বাচনে এই কেন্দ্রের প্রার্থী হয়ে বিধানসভায় গিয়েছিলেন শুভেন্দুর ভাই দিব্যুন্দু অধিকারী। পরপর দুটি নির্বাচনে তিনি এই কেন্দ্রের বিধায়ক হন। পরবর্তীকালে ২০১৭ সালের উপনির্বাচনে এই কেন্দ্র থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিতিয়ে আনেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকে। যদিও চন্দ্রিমার জয়ের পিছনেও অন্যতম কারিগর ছিল অধিকারী পরিবার। কিন্তু এবার দক্ষিণ কাঁথি বিধানসভা কেন্দ্র রীতিমত সম্মানের লড়াই তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপির কাছে। 


দক্ষিণ কাঁথি বিধানসভা কেন্দ্রের তিন প্রধান রাজনৈতিক দলের প্রার্থী 
তৃণমূল কংগ্রেসে প্রার্থী                জ্যোতির্ময় কর 
বিজেপি প্রার্থী                              অরূপ কুমার দাস 
বাম প্রার্থী                                     অনুরূপ কুমার পণ্ডা

বামেদের এই কেন্দ্রে হারানোর কিছু নেই। তবুও বামেদের একটা ভোট রয়েছে এই কেন্দ্রে। এখন পরোখ করে দেখার বাম কংগ্রেস আর সংযুক্ত মোর্চা নিজেদের ভোট ব্যাঙ্ক ধরে রাখতে পারে কিনা? সূত্রের খবর তৃণমূল কংগ্রেস মনেপ্রাণে চাইছে দলত্যাগী শুভেন্দুর গড় থেকে দলীয় প্রার্থী জ্যোতির্ময় করকে জিতিয়ে এনে তাঁকে উচিৎ শিক্ষা দিতে। আর শুভেন্দুই চাইছেন অরূপ কুমার দাসকে জেতাতে। কারণ শুভেন্দুর কাছে এটা অনেকটা পেশি শক্তি পরীক্ষার মতই। মমতার ছত্রছায়া থেকে বেরিয়ে এসে নিজের অস্তিত্ব প্রমাণ করা। সেই কারণে নন্দীগ্রামের মতই উত্তর ও দক্ষিণ কাঁথি বিধানসভা কেন্দ্রের নির্বাচনী ফলাফল তাঁরকাছে অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ। 


২০১৬ সালের নির্বাচনে দক্ষিণ কাঁথি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে দিব্যেন্দু অধিকারী ৩০ হাজারেরও বেশিভোটে পরাজিত করেছিলেন নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সিপিআই-এর উত্তম প্রধানকে। কিন্তু মাত্র এক বছরের মধ্যেই এই কেন্দ্রের রাজনৈতিক সমীকরণ বদলে যায়। ২০১৭ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বামেরা এই কেন্দ্রীয় তৃতীয় স্থানে চলে আসে। ৯৫ হাজারেরও বেশি ভোট পেয়েছিলেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। দ্বিতীয় স্থানে থাকে বিজেপি প্রার্থী সৌরিন্দ্র মোহন জানা ৫২ হাজারেরও বেশি ভোট পেয়েছিলেন। অর্থাৎ ২০১৭ সাল থেকেই এই কেন্দ্রে বিজেপি শক্তি বাড়াচ্ছিল। শুভেন্দু দলবদল করায় বিজেপি আরও শক্তিশালী হবে বলেও আশা করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাই এই কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীকে জোর লড়াইয়ের মধ্যে দিয়ে যেতে হবে বলেও মনে করা হচ্ছে। 

মেদিনীপুর জেলার কাঁথি বিধানসভা কেন্দ্রটি কাঁথি পৌরসভা, কাঁথি ১ ব্লক, দুরমুথ, কুসুমপুর গ্রাম পঞ্চায়েত, কাঁথি তিন ন্মবপ ব্লক, নিয়ে তৈরি হয়েছে। এটি কাঁথি লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত।