সংক্ষিপ্ত
- নন্দীগ্রামের বাসিন্দা প্রলয় পাল
- বিজেপির জেলার সহসভাপতি
- বিজেপি নেতাকে ফোন করেছিলেন তিনি
- শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ট হিসেবেই পরিচিত
প্রলয় পাল, একটা সময় এলাকার দাপুটে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা হিসেবে পরিচিত ছিলেন। কিন্তু বর্তমানে তিনি এলাকায় বিজেপির অন্যতম নেতা। সূত্রের খবর বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীর ভোট ম্যানেজারও তিনি। সেই তাঁর কাছেই নাকি সাহায্য চেয়ে ফোন করেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বর্তমানে ভাইরাল তাঁদের কথোপকথনের সেই ওডিও ক্লিপ।
অডিও ক্লিপের কথাবার্তা অনুযায়ী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু তা সবিনয় প্রত্যাক্ষাণ করেন প্রলয়। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েও তিনি স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছিলেন বিজেপির সঙ্গে কোনও রকম বিশ্বাসঘাতকতা করবেন না তিনি। বিজেপির তমলুক জেলা সাংগঠনিক সহসভাপতি। শুভেন্দু অধিকারীর আগে থেকেই বিজেপিতে নাম লিখিয়েছিলেন তিনি। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে থেকেই তিনি গেরুয়া শিবিরের সদস্য। নন্দীগ্রামে বিজেপির উত্থান তাঁর হাতে ধরেই। বর্তমানে তিনি শুভেন্দুর অনুগত সৈনিক হিসেবেই কাজ করতে চান বলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন। যদিও যে অডিও ক্লিপটি ভাইরাল হয়েছে তার সত্যতা যাচাই করে দেখেনি এশিয়ানেট নিউজ বাংলা।
প্রলয় পালের বাবা কংগ্রস রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। বিরুলিয়া এলাকায় যথেষ্ট দাপট ছিল। বাম জমানায় চরম হুমকির মুখে দাঁড়িয়ে শিশির অধিকারীকে তিনি নিয়ে এসেছিলেন নন্দীগ্রামে। সেই থেকেই অধিকারী পরিবারের সঙ্গে পাল পরিবারের সখ্যতা তৈরি হয়েছিল। আর সেই সূত্র ধরেই প্রলয় এদিন বলেন তিনি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলেও অধিকারীর পরিবার সম্পর্কে বাজে কথা বললেননি। দুই পরিবারের মধ্যে আত্মীয়ের সম্পর্ক তৈরি হয়েছে বলেও তিনি জানিয়েছেন। অধিকারী পরিবারের কাছে তিনি কৃতজ্ঞ বলেও জানিয়েছেন। প্রলয় পালের কথা থেকেই স্পষ্ট যে বাম আমল থেকেই তিনি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। যদিও সেই সময় বাম বিরোধী রাজনৈতিক সঙ্গেই তাঁর যোগ ছিল। পূর্ব মেদিনীপুরের অধিকারী পরিবারের সঙ্গে তাঁদের পারিবারিক সম্পর্ক অত্যন্ত ভালো ছিল বলেও দাবি করেছেন তিনি। একই সঙ্গে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়তেও স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন অধিকারী পরিবারের বিরুদ্ধে যাওয়া তাদের পক্ষে কখনই সম্ভব নয়।
তবে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কুণাল ঘোষ, জানিয়েছে দলের নেত্রী যদি তাঁর বিক্ষুদ্ধ কোনও সৈনিককে ফোন করেন তাহলে ক্ষতি কোথায়? একই সঙ্গে তিনি বলেন এটা নেত্রীর বড় মানসিকতার পরিচয়। দলের সুপ্রিমো হলেও কোনও দ্বিধা ছাড়াই তিনি নিচুতলার এক বিক্ষুদ্ধ কর্মী, যে দল ছেড়ে চলে গেছে তাঁকে ফোন করেছেন। তবে এটা মানতেই হবে অ়ডিও ক্লিপ ফাঁস হওয়ার পর রাতারাতি জনপ্রিয়তার শীর্ষ পৌঁছে গেলেন তিনি। বিজেপি নেতার অমিত মালব্যও তাঁকে নিয়ে টুইট করেছেন।