সংক্ষিপ্ত
৩৪টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে কমছে কোভিড-১৯ (COVID-19) সংক্রমণ। আর কী কী সুখবর দিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক (Union Health Ministry)?
দেশের ৩৪ টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে কোভিড-১৯ (COVID-19) দৈনিক নতুন সংক্রমণের সংখ্যা (Daily New COVID-19 Cases) এবং ইতিবাচকতার হার (COVID-19 Positivity Rate), দুটোই বর্তমানে কমছে। বৃহস্পতিবার বিকালে সাংবাদিক বৈঠক করে জানালো কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক (Union Health Ministry)। এদিন স্বাস্থ্য মন্ত্রকের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, বর্তমানে দৈনিক সক্রিয় কোভিড-১৯ কেস (COVID-19 Active Cases) অর্থাৎ চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা, দৈনিক ইতিবাচকতার হার - এবং দুই পরিমিতি অনুযায়ীই সংক্রমণের বিস্তার ধারাবাহিকভাবে হ্রাস পাচ্ছে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব লব আগরওয়াল (Lav Agarwal) জানান, বর্তমানে দেশে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত যে তথ্য আসছে, তা থেকে ইঙ্গিত মিলছে, করোনার বর্তমান রূপান্তরটি, আগের করোনা তরঙ্গগুলির তুলনায় নিরাপদ এবং কোভিড পজিটিভ রোগীদের মধ্যে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত জটিলতা বা মৃত্যুর সম্ভাবনার অনেকটাই কম। এর আগে করোনা রোগীদের অস্ত্রোপচার করা হচ্ছিল না। তবে, এদিন লব আগরওয়াল জানিয়েছেন, বর্তমান কোভিড-১৯ রূপান্তরটি 'সার্জারি সেফ' (Surgery Safe)। তাই, কোভিড রোগীদের যাদের অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন, তাদের অস্ত্রোপচার করতে কোনও বাধা নেই।
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের কর্মকর্তারা আরও জানিয়েছেন, কোভিড-১৯ (COVID-19)-এর দ্বিতীয় তরঙ্গের সময় ৫৫ বছর বয়সী ব্যক্তিরা বেশি সংক্রামিত হয়েছিলেন। তবে, চলতি তরঙ্গের সময়, দেখা গিয়েছে, বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন ৪৪ বছর বয়সীরা। মন্ত্রকের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে চলতি কোভিড তরঙ্গে, রোগীদের মধ্যে গলা ব্যথার মতো সাধারণ উপসর্গই বেশি দেখা গিয়েছে। চিকিত্সার জন্য ওষুধ বা অন্যান্য চিকিৎসা পদ্ধতির ব্যবহারও উল্লেখযোগ্যভাবে কম ছিল।
তবে, স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্যে ভারতের দুটি রাজ্যের জন্য বিপদের ইঙ্গিত মিলেছে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, দক্ষিণের রাজ্য কেরল এবং উত্তর-পূর্বের রাজ্য মিজোরামে কোভিড-১৯ সংক্রমণের সংখ্যা এবং ইতিবাচকতার হার ক্রমেই বাড়ছে। সরকারের পক্ষ থেকে এদিন আরও বলা হয়েছে, টিকাকরণের সংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে কোভিড-১৯ জনিত মৃত্যুর হার। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, গত ৩ জানুয়ারি শুরু হওয়ার পর থেকে ইতিমধ্য়েই ভারতের ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সী কিশোর-কিশোরী জনসংখ্যার ৬৫ শতাংশ তাদের কোভিড-১৯ টিকার প্রথম ডোজ পেয়ে গিয়েছে। অন্যদিকে ১৬ টি রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে প্রাপ্তবয়স্ক জনসংখ্যার ১০০ শতাংশই কোভিড টিকার প্রথম ডোজ দিয়ে দিয়েছে। আরও চারটি রাজ্যে ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে টিকার প্রপথম ডোজ পেয়েছেন প্রাপ্তবয়স্ক জনসংখ্যার ৯৬-৯৯ শতাংশ।