সংক্ষিপ্ত
ভারতের এক তৃতীয়াংশ মানুষ এখনও ,সংক্রমণের ঝুঁকিতে। ৫০ শতাংশ শিশু ইতিমধ্যেই এসেছে করোনাভাইরাসের সংস্পর্শে।
মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানালো শিশুসহ ভারতীয় জনসংখ্যার দুই-তৃতীয়াংশের দেহে কোভিড-১৯'এর বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। তবে, এখনও প্রায় ৪০ কোটি মানুষ, অর্থাৎ, জনসংখ্য়ার প্রায় এক-তৃতীয়াংশের এই ভাইরাল সংক্রমণের ঝুঁকি রয়েছে, এমনটাই জানিয়েছেন আইসিএমআর প্রধান ডা. বলরাম ভার্গব বলেছেন। এদিন জাতীয় সেরো সার্ভের চতুর্থ দফার ফল প্রকাশ করা হল। এই সেরো-সার্ভেতেই এই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রকাশ পেয়েছে।
এর আগে যে তিনবার জাতীয় সেরোসার্ভে করা হয়েছে, কোনওবারই শিশু-কিশোরদের সেই সমীক্ষার আওতায় ধরা হয়নি। কিন্তু, করোনার আসন্ন তৃতীয় তরঙ্গের ক্ষেত্রে অনূর্ধ্ব ১৮দের নিয়ে বাড়তি উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। তাই, কোভিড-১৯ সামনে শিশু-কিশোরদের দুর্বলতার মূল্যায়ন করতে এইবার সেরো-সমীক্ষায় বাচ্চাদেরও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল।
সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে ভারতের ৬ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিশু-কিশোরদের প্রায় ৫০ শতাংশেরও বেশি, ইতিমধ্য়েই কোভিড-১৯'এর সংস্পর্শে এসেছে। তাই তাদের দেহে কোভিড প্রতিরোধের অ্যান্টিবডিও তৈরি হয়েছে। বাচ্চাদের দুটি বয়স-গোষ্ঠীতে বাগ করা হয়েছিল - ৬ থেকে ৯ এবং ১০ থেকে ১৭ বছর। ৬-৯ বছরের বিভাগে সিরো-বিস্তৃতি ছিল ৫৭.২ শতাংশ এবং ১০-১৭ বছরের বিভাগে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে ৬১.৬ শতাংশের দেহে।
আরও পড়ুন - পেগাসাস - কেন্দ্রীয় আইটি মন্ত্রীর নামে ভুয়ো খবর, কাঠগড়ায় এনডিটিভি
আরও পড়ুন - 'হজম করতে পারছে না কংগ্রেস' - চাপের মুখে প্রতিআক্রমণকেই রক্ষণের কৌশল বাছলেন মোদী
আরও পড়ুন - কেন কমিয়ে দেখানো হয়েছে কোভিড-মৃত্যু, টিকার ঘাটতিই বা কতটা - কী জানালেন মনসুখ
এছাড়া সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে ভারতে এখনও পর্যন্ত ,সবথেকে বেশি করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৪৫ থেকে ৬০ বছর পর্যন্ত বয়স-গোষ্ঠীর মানুষরাই। এই বয়স-গোষ্ঠীর ৭৭.৬ শতাংশের দেহে করোনা অ্যান্টিবডি তৈকরি হয়েছে। এরপর রয়েছে ষাটোর্ধ্বরা। এই বয়স-গোষ্ঠীর ৭৬.৭ শতাংশ মানুষ ইতিমধ্যেই করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। আর সবশেষে আছে ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সীরা। এঁদের মধ্যে ৬৬.৭ শতাংশের দেহে মিলেছে করোনার অ্যান্টিবডি।