সংক্ষিপ্ত


পেগাসাস কাণ্ড নিয়ে উত্তাল ভারতের রাজনৈতিক মহল। এরই মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে এনডিটিভির বিরুদ্ধে ভুয়ো খবর প্রকাশ করার অভিযোগ করা হল।

বাদল অধিবেশনের প্রথম দিন সংসদ উত্তাল পেগাসাস কাণ্ড নিয়ে। এবার পেগাসাস স্পাইওয়্যার-এর ব্যবহার নিয়ে ভুয়ো খবর করার অভিযোগ করা হল কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে। এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রীর মুখে একটি মিথ্যা বক্তব্য বসিয়ে দিয়েছে এনডিটিভি, এমনটাই দাবি করল সরকারি তথ্য মন্ত্রক। পিআইবি ফ্যাক্ট চেক করে জানালো এনডিটিভির ওই খবরটি ভুয়ো।

এদিন, এনডিটিভির পক্ষ থেকে এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছিল, আইটি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেছেন, 'পেগাসাসের ব্যবহার নজরদারি করার সমান, এটা প্রমাণ করার মতো কোনও সত্য ভিত্তি নেই'। পিআইবি-র ফ্যাক্ট চেক বলছে, 'এই দাবিটি ভুয়ো'। তাদের দাবি এনএসও, অর্থাৎ যে ইসরাইলি সংস্থা এই পেগাসাস স্পাইওয়্যারটির নির্মাতা, তাদের এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়াটি উদ্ধৃত করেছিলেন অশ্বিনী বৈষ্ণব। এনএসও সংস্থা এই বিষয়ে এক বিবৃতি দিয়ে 'তথ্যের ব্যবহার কোনওভাবে নজরদারি করার সমতুল্য, এটা বোঝানোর মতো কোনও সত্য ভিত্তি থাকতে পারে না'।

রবিবার,  ১৮ জুলাই ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছিল, ভারতের বেশ কয়েকজন বর্তমান মন্ত্রিসভার মন্ত্রী, বিরোধী নেতা, ব্যবসায়ী এবং সাংবাদিকদের ফোনে নজরদারি চালানো হচ্ছে পেগাসাস স্পাইওয়্যার ব্যবহার করে। শুধু ভারতেই নয়, মন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, রাজনৈতিক নেতা, ব্যবসায়ী, ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব, শিক্ষাবিদ, এনজিও কর্মচারী, ইউনিয়ন কর্মকর্তা, সরকারী কর্মকর্তা মিলিয়ে বিশ্বজুড়ে প্রায় ৫০,০০০ এর বেশি মানুষের ফোনে আড়ি পাতা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে।

আরও পড়ুন - সাবধান! ভুল করেও বেনামী লিঙ্কে ক্লিক নয়, পেগাসাস থেকে সাবধান হওয়ার পরামর্শ সাইবার বিশেষজ্ঞর

আরও পড়ুন - Pegasus spyware: ফোন হ্যাক করা হয়েছিল প্রশান্ত কিশোর, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের

আরও পড়ুন - পেগাসাসঃ সংসদে দাঁড়িয়ে অভিযোগ ওড়ালেন নতুন মন্ত্রী, বললেন 'এটি কাকতালীয় নয়'

রবিবারই, এনএসও গোষ্ঠী সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদন খণ্ডন করে একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছিল। তারা বলেছে, প্রতিবেদনটি ভুয়ো অনুমান নির্ভর। এই প্রতিবেদনের সূত্রদের নির্ভরযোগ্যতা এবং স্বার্থ সম্পর্কে গুরুতর সন্দেহ রয়েছে। অজ্ঞাতপরিচয় সূত্রগুলি এমন সব তথ্য সরবরাহ করেছে যার কোনও সত্যিকারের ভিত্তি নেই এবং বাস্তব থেকে অনেকটাই অলাদা। তারা আরও বলেছে, এই সূত্রেরা এমন অনেক তথ্য দাবি করেছে, যা সমর্থন করার মতো কোনও দলিল বা নথিপত্র নেই। এইসব তথ্যাদির কোনও সত্যিকারের ভিত্তি নেই। তাদের সার্ভার থেকে তথ্য ফাঁসের অভিযোগ সম্পূর্ণ 'মিথ্যা ও হাস্যকর'। কারণ তাদের সার্ভারগুলিতে এই জাতীয় ডেটা কখনও ছিলই না।