সংক্ষিপ্ত
চিকিৎসক সংগঠনের সঙ্গে বৈঠক অমিত শাহর
বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী
স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের কাজের প্রশংসা
সরকার তাঁদের সঙ্গে রয়েছে বলে জানিয়েছেন অমিত শাহ
করোনাভাইরাসের সংক্রমণের বিরুদ্ধে প্রথম থেকেই লড়াইয়ের ময়দানে রয়েছেন চিকিৎসকরা। কিন্তু তাঁদেরই উপযুক্ত ও পর্যাপ্ত ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম নেই বলে প্রথম থেকেই অভিযোগ উঠেছিল। পাশাপাশি করোনাভাইরাসের মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াই করার মত হাসপাতালের পরিকাঠামো নেই বলেও অভিযোগ উঠেছিল। এই অবস্থায় দাড়িয়ে দিন রাত এক করে আক্রান্তদের সেবা করেও বারবার জনতার হাতে আক্রান্ত হতে হয়েছে। মোরাদাবাদ থেকে ইন্দোরসহ দেশের একাধিক জায়গায় আকান্ত হয়েছেন চিকিৎসকরা। এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছে আগামী ২৩ এপ্রিল গোটা দেশ জুড়ে প্রতীকি কালাদিবস পালন করার কথা ঘোষণা করেছিল ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন। তাঁদের দাবি ছিল অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় আইন প্রয়োগ করতে হবে। তার আগে বুধবার রাত ৯টায় সব হাসপাতালে কর্মরত নার্স, স্বাস্থ্য কর্মী ও চিকিৎসকরা মোমবাতি জ্বালিয়ে প্রতিবাদে সামিল হবে বলেও জানান হয়েছিল সংগঠনের পক্ষ থেকে। এটিকে সাদা সতর্কতা হিসেবেই ব্যক্ত করেছেন প্রতিবাদী চিকিৎসকরা।
কিন্তু তার আগেই পরিস্থিতি সামাল দিতে মাঠে নেমেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী হর্ষ বর্ধনকে পাশে বসিয়ে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বুধবার করালেই ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে। সেই বৈঠকেই অমিত শাহ জানিয়েছেন, চিকিৎসক, নার্স ও সব স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তার দায়িত্ব সরকারের। কর্মক্ষেত্রে তাঁরা যাতে আক্রান্ত না হন সে দিকে বিশেষ নজর দেওয়া হবে। পাশাপাশি করোনাভাইরাসের সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মীদের কাজের রীতিমত প্রশংসাও করেন তিনি। অমিত শাহ আরও জানিয়েছেন, সরকার তাঁদের সঙ্গে রয়েছে, তাই অবিলম্বে চিকিৎসকদের সংগঠন যেন প্রতিবাদের পথ থেকে সরে আসেন।
জনতা কারফিউর দিনে বিকেলেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ডাকে গোটা দেশ স্বাস্থ্য পরিষেবা ও জরুরী পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের স্বাগত জানিয়ে থালা, কাঁসর ঘণ্টা বাজিয়েছিল। করোনাভাইরাসের সংক্রমণের বিরুদ্ধে এঁদেরই প্রথম সারির সৈনিক হিসেবে চিহ্নিত করেছিল। কিন্তু তারপরেও মধ্য প্রদেশ, উত্তর প্রদেশ, রাজস্থানসহ একাধিক জায়গায় এলাকার উন্মত্ত জনতার হাতে আক্রান্ত হতে হয়েছে স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের। এর আগেও চিকিৎসকদের বেশ কয়েকটি সংগঠন বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে চিঠি লিখে অনুরোধ জানিয়েছিল।
আরও পড়ুনঃবেঙ্গালুরুতে বসে চমক বঙ্গ বিজ্ঞানীর, করোনাকে জব্দ করতে 'ট্রিবই'মাস্কের আবিষ্কার ...
আরও পড়ুনঃ করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ লড়াই সাফল্য এনেছে, যুদ্ধ জয়ের পর বললেন 'টিচার আম্মা' ..