সংক্ষিপ্ত
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্টগুলি মোকাবেলায় সক্রিয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য প্রতিদিন কোভিডের তথ্য আপডেট করা গুরুত্বপূর্ণ। তথ্যের দ্রুত এবং ক্রমাগত আপডেট করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করবে।
সব কিছু ঠিকঠাকই ছিল। ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছিল পরিস্থিতি। কিন্তু, আবার নতুন করে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। এই পরিস্থিতিতে কেরালা সরকারকে প্রতিদিন কোভিড কেস আপডেট করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে। দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা পজিটিভিটির হার ১৬৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই সঙ্গে নতুন করে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যাও ৯০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্টগুলি মোকাবেলায় সক্রিয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য প্রতিদিন কোভিডের তথ্য আপডেট করা গুরুত্বপূর্ণ। তথ্যের দ্রুত এবং ক্রমাগত আপডেট করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করবে। পাশাপাশি ট্র্যাকিং এবং পর্যবেক্ষণে সাহায্য করার সঙ্গেই কেন্দ্র, রাজ্য এবং জেলা স্তরে কৌশল এবং পরিকল্পনা নিতেও সাহায্য করবে।
আরও পড়ুন- চতুর্থ তরঙ্গের ধাক্কা নয়াদিল্লিতে, একদিনে সংক্রামিত ৫১৭ জন
এর আগে ১৩ এপ্রিল থেকে কেরালার সরকারের তরফে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যার আপডেট দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, এই মুহূর্তে আবারও বাড়ছে করোনার দৈনিক সংক্রমণ। তারপরই কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, এই দৈনিক আপডেট দেশে গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ সূচক। কোভিড একটি অত্যন্ত সংক্রামক রোগ এবং নতুন রূপের এটির উত্থানে বড় রকমের ঝুঁকি রয়েছে।
তিন দিনের গুজরাট সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, তাঁর সঙ্গে থাকবেন বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান
অন্যদিকে নয়াদিল্লিতেও ফের ছড়াচ্ছে কোভিড আতঙ্ক। রবিবার নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৫১৭ জন। শনিবারের তুলনায় প্রায় ৫৬টি কেস বেশি। সিটি হেল্থ ডিপার্টমেন্ট জানাচ্ছে করোনা পজেটিভিটির হার ৪.২১ শতাংশ। যেখানে ১৫ই এপ্রিল পজেটিভিটি রেট দাঁড়িয়েছিল ২.৩৯ শতাংশে। এই নতুন সংক্রমণের সাথে, রাজধানীর কোভিডে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮,৬৮,৫৫০ এবং মৃতের সংখ্যা ২৬,১৬০। শনিবার দিল্লিতে ৪৬১টি কোভিড কেস রেকর্ড করা হয়। মৃত্যু হয়েছে দু'জনের। শুক্রবার দিল্লিতে ৩৬৬ জন করোনা আক্রান্ত হন। বৃহস্পতিবার, করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩২৫।
দেশে কোভিড সংক্রমণে কালো ছায়া, ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে ৯০ শতাংশ
সোমবার সকাল পর্যন্ত, দিল্লির হাসপাতালে কোভিড -১৯ রোগীদের জন্য ৯৬৬২ টি খালি শয্যা রয়েছে। রাজধানীতে বর্তমানে ৯১৫৬টি খালি কোভিড - ১৯ অক্সিজেন শয্যা এবং ২১৭৪টি আইসিইউ শয্যা রয়েছে। দিল্লির হাসপাতালে কোভিড -১৯ রোগীদের জন্য ভেন্টিলেটর সহ প্রায় ১২৪৬টি আইসিইউ শয্যাও পাওয়া যায়। ৮ই এপ্রিল দিল্লিতে করোনা আক্রান্ত হন ১৪৬ জন। তখন পজেটিভিটি রেট ছিল ১.৩৯ শতাংশ। সেই সময় হোম আইসোলেশনে ছিলেন ৩৮৮জন। দিল্লির স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা বলছেন ১৪ই এপ্রিলের মধ্যে তা বেড়ে ৫৭৪য়ে দাঁড়িয়েছে।