সংক্ষিপ্ত

সূত্রের তরফে জানানো গিয়েছে, করোনা সব বয়সের শিশুর উপরই প্রভাব ফেলেছে। তবে করোনায় আক্রান্ত হয়ে শিশুদের মৃত্যুর হার ও আক্রান্ত হওয়ার হারও অনেকটাই কম। তাই স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে এটাই পড়ুয়াদের স্কুলে ফেরার উপযুক্ত সময়।

করোনা পরিস্থিতির (Corona Situation) জেরে পড়ুয়াদের (Student) স্বাস্থের কথা মাথায় রেখে বেশিরভাগ রাজ্যেই বন্ধ রয়েছে স্কুল ও কলেজ (School-College)। তার মধ্যে আবার কিছু রাজ্য স্কুল ও কলেজ খোলার কথা ঘোষণা করেছে। শোনা যাচ্ছে, স্কুল খোলা নিয়ে খুব শীঘ্রই রাজ্যগুলিকে নির্দেশিকা দিতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার (Central Government)। সূত্রের খবর, দেশের সব স্কুল খোলার উপায় ও স্কুলগুলিতে ক্লাস কীভাবে হবে তা জানতে চেয়ে জাতীয় বিশেষজ্ঞ দলের কাছে পরামর্শ চেয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্তব্য (Mansukh Mandaviya)। 

সূত্রের তরফে জানানো হয়েছে, করোনা সব বয়সের শিশুর উপরই প্রভাব ফেলেছে। তবে করোনায় আক্রান্ত হয়ে শিশুদের (Child Corona) মৃত্যুর হার ও আক্রান্ত হওয়ার হারও অনেকটাই কম। তাই স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে এটাই পড়ুয়াদের স্কুলে ফেরার উপযুক্ত সময়। তবে স্কুলে খোলা হবে কিনা সেটা নির্ভর করছে রাজ্যগুলির (State) উপরে। কারণ তারা এই সময় স্কুল খোলার জন্য প্রস্তুত নাও থাকতে পারে।

আরও পড়ুন- এবার থেকে খোলা বাজারে কোভিশিল্ড আর কোভ্যাক্সিন বিক্রি, জানালেন স্বাস্থ্য মন্ত্রী

করোনা এখনও পর্যন্ত দেশ থেকে বিদায় নেয়নি। আর সেই কথা মাথায় রেখেই প্রায় সব রাজ্যেই বন্ধ রাখা হয়েছিল স্কুল ও কলেজ। কিন্তু, করোনা পরিস্থিতি একটু স্বাভাবিক হওয়ার পর ফের স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছিল পড়ুয়ারা। খুলে গিয়েছিল একাধিক স্কুলের দরজা। তারপর আবার দাপট দেখাতে শুরু করে করোনার তৃতীয় ঢেউ। তার জেরে ফের স্কুলের দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়। কিন্তু, অনলাইনে ক্লাস করার মতো পর্যাপ্ত পরিকাঠামো নেই অনেক পড়ুয়ার কাছেই। সেই কারণে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে তাদের। পড়াশোনা করতে না পেরে পিছিয়ে পড়ছে অনেকেই। আর তাদের কথা মাথায় রেখেই এবার স্কুল খোলা নিয়ে শীঘ্রই রাজ্যগুলিকে নির্দেশিকা দিতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার।

আরও পড়ুন- ভারতে সক্রিয় ওমিক্রনের উপবংশ, সংক্রমণ রুখতে কোভিড বিধি মেনে চলার পরামর্শ

অল্প কিছু রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ইতিমধ্যেই দশম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির জন্য স্কুল খুলে দিয়েছে। তবে তাতে শর্ত আছে, ১৫ থেকে ১৮ বছরের কিশোরদের অবশ্যই অন্তত টিকার একটা ডোজ নিতে হবে, তবেই তারা ‘অফলাইন’ অর্থাৎ সশরীরের স্কুলে আসতে পারবে। স্কুলের সব কর্মী এবং ১৮-র ঊর্ধ্বে সবাইকে করোনার দুটি ডোজ নিতে হবে। এদিকে দেশের মধ্যে করোনা সংক্রমণের নিরিখে এগিয়ে রয়েছে মহারাষ্ট্র। তবে সেখানে সব শ্রেণির জন্যই স্কুল খুলে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি দশম থেকে দ্বাদশের জন্য স্কুল খুলে দিয়েছে হরিয়ানা এবং চণ্ডীগড়।  

আরও পড়ুন- Omicron Alert: 'ওমিক্রন করোনার শেষ রূপ', এই ধারনা বিপজ্জন বলল WHO

৩ জানুয়ারি থেকেই দেশে ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের করোনার টিকাকরণ (Corona Vaccine) শুরু হয়ে গিয়েছে। স্কুল যাতে সঠিক সময় খোলা যায় তার জন্য টিকাকরণের উপর বেশি জোর দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে বৃহস্পতিবার জানানো হয়েছে, দেশে ইতিমধ্যেই ৯৫ শতাংশের প্রথম ডোজ সম্পন্ন হয়েছে।