সংক্ষিপ্ত
- লকডাউন আর করোনাভাইরাসের কারণে মন্দা
- রীতিমত সংকটে পড়তে চলেছে রেস্তোরাঁ শিল্প
- ধাক্কা কাটিয়ে উঠেতে লাগবে ২ বছর
- আঘাত পাচ্ছে সবকটি শিল্প
লকাডাউন আর করোনাভাইরাসের জোড়া ধাক্কায় রীতিমত স্তব্ধ ভারতের জনজীবন। আর সেই কারণে রীতিমত স্লথ হয়েগেছে ভারতের অর্থনীতির উন্নয়েনের গতিও । যা সরাসরি আঘাত করছে ভারতের রেস্তোরাঁ আর রিয়েল এস্টেট শিল্পকে। বর্তমানে প্রায় থেমে গেছে এই দুটি ক্ষেত্রের কাজ। লকডাউনের কিছু আগে থেকেই করোনাভাইসরাসের সংক্রমণের কারণে কিছুটা হলেও প্রভাব পড়তে শুরু করেছিল রেস্তোরাঁগুলিতে। আর এখন তো কথাই নেই। বন্ধে দেশের ছোটবড় প্রায় সকল রেস্তোরাঁ। একই অবস্থা রিয়েল এস্টেট শিল্পেও। সেখানেও কাজ বন্ধ রয়েছে। বন্ধ রয়েছে নতুন বুকিংও।
এফআইসিসিআই একটি সার্ভেতে জানিয়েছে, এই ধাক্কা কাটিয়ে ওঠা খুব একটা সহজ কাজ নয়। এক থেকে দুবছর লাগতে পারে রেস্তোরাঁ ও রিয়েল এস্টেট শিল্পে সংকট কাটিয়ে উঠতে। তবে আগামী দিনে লকডাউনের প্রভাব পড়বে দেশের সমস্ত রকম শিল্প ক্ষেত্রে তা অবশ্য এখনই স্পষ্ট করে দিয়েছে ফিকি। লকডাউনের কারণে ইতিমধ্যেই অনেক অভিবাসী শ্রমিক কাজ হারিয়েছে। আগামী দিনে এই সংখ্যাটা বাড়বে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
তবে এফআইসিসিআর এর সমীক্ষা জানাচ্ছে ধাক্কা খেয়েছে দেশের পোষাক, সৌন্দর্য পন্য, কৃষি ও বিমা শিল্প। তবে এইসব শিল্পগুলি আগামী ৯থেকে ১২ মাস কঠিন লড়াই চালিয়ে গেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারবে। একই অবস্থায় ধাতু ও খনি শিল্পের। বেশ কিছুটা সমস্যায় পড়তে পারেন দেশের অন্নদাতা কৃষকরা। কারণ লকডাউন চলায় অনেকেই ফসল নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করছেন। তবে দেশের শিল্প ক্ষেত্রে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে কেন্দ্রীয় সরাকারের ৯ থেকে ১২ লক্ষ কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করা উচিৎ বলেও জানান হয়েছে। যা দেশের বর্তমান জিডিপির প্রায় ৪-৫ শতাংশ। ফিকির পক্ষ থেকে আরও জানান হয়েছে, শিক্ষা ক্ষেত্রেও কেন্দ্রের আর্থিক সাহায্যের প্রয়োজন রয়েছে।
আরও পড়ুনঃ আর্ন্টাটিকা সফর অধরা, বিলাসতরীর ৬০ শতাংশ যাত্রী করোনায় আক্রান্ত
আরওপড়ুনঃ লকডাউনের কারণে মানসিক অবসাদ বাড়ছে, তাই কি ঘরোয়া হিংসার শিকার শিশুরা
আরও পড়ুনঃ করোনাভাইরাস দীর্ঘসময় বেঁচে থাকে ফেস মাস্ক আর প্ল্যাস্টিকে, তেমনই দাবি বিশেষজ্ঞদের
এই ছবি শুরু ভারতেই নয়। গোটা বিশ্বেই আর্থিক সংকটের শুরু হতে চলেছে। ওয়াল্ড ট্রেড অর্গানাইজেশনের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে, পরিস্থিতি রীতিমত সংকটজনক। দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের পর বিশ্ব কখনও এমন আর্থিক সংকটের সামনাসামনি হয়নি। তাই রাষ্ট্র সংঘ আগেই বিশ্বের সমস্ত দেশের কাছে পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করা আর্জি জানিয়েছিল।