সংক্ষিপ্ত
- দেশের নানা প্রান্তে চিকিৎসক নিগ্রহের ঘটনা
- ইন্দোরের পর আক্রান্ত হায়দরাবাদের চিকিৎসক
- করোনা রোগীর হাতেই আক্রান্ত হলেন চিকিৎসক
- আত্মীয়ের মৃত্যুর খবর পেয়েই চালান হল হামলা
গত বুধবারই মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে করোনা স্ক্রিনিংয়ে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের হাতে হেনস্থা হতে হয়েছে স্বাস্থ্যকর্মীদের। লাঠি, কাচের বোচল, পাথর নিয়ে হামলা চালান হয়েছে তাঁদের উপর। বাদ যায়নি মহিলা চিকিৎসকরাও। এই ঘটবনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ফের চিকিৎসক নিগ্রহের ঘটনা সামনে এল এদেশে। এবারের ঘটনাস্থল টেক সিটি হায়দরাবাদ।
হায়দরাবাদের গান্ধী হাসপাতালে চিকিৎসা চলছিল দুই কোভিড ১৯ আক্রান্তের। সম্পর্কে আবার তারা ভাই। এদের মধ্যে গত বুধবার ৫৬ বছরের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। ভাইয়ের মৃত্যুর খবর পেয়েই উপস্থিত চিকিৎসকের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে আরেক করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি। হাসপাতালের নয় তলার আইসোলেশন ওয়ার্ডে ঘটে এই ঘটনা। ওই করোনা রোগী নিজের রাগ প্রকাশ করতে জানালার কাঁচও ভেঙে দেন বলে জানা যাচ্ছে।
এই ঘটনায় অভিযুক্ত করোনা আক্রান্ত ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তেলেঙ্গানার স্বাস্থ্যমন্ত্রী এতেলা রাজেন্দের। তিনি জানান, " দুই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিই একই পরিবারের সদস্য। এক জনের মৃত্যুর খবর পেয়েই অপরজন চিকিৎসককে মারধর শুরু করেন।"
করোনা অভিযানে গিয়ে আক্রান্ত স্বাস্থ্যকর্মীরা, পালাতে হল চিকিৎসককে, দেখুন সেই লজ্জাজনক ভিডিও
লকডাউন তুলে নেওয়ার ইজ্ঞিত মিলতেই ফের বুকিং শুরু রেলের, একই পথে এগোল বিমান সংস্থাগুলিও
ট্রাম্পের দেশে ৬ সপ্তাহের শিশুকেও কেড়ে নিল মারণ করোনা, একদিনেই মৃত্যু প্রায় হাজার খানেকের
গোটা ঘটনার নিন্দা করে রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, " কোনও অবস্থাতেই বিষয়টিকে হালকাভাবে নেওয়া হচ্ছে না। আক্রমণকারীর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে। নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চিকিৎসকরা যখন আমাদের বাঁচাচ্ছেন, তখন তাঁদের রক্ষা করা আমাদের কর্তব্য।"
গোটা বিশ্বের সঙ্গে তাল রেখে ভারতেও লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে চলেছে করোনা আক্রান্তেরং সংখ্যা। গোটা দেশে লকডাউনের মধ্যেও নিজেদের প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে আক্রান্তদের সুস্থ করতে ময়দানে নেমেছেন চিকিৎসক সহ অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীরা। দিন, রাত এক করে কাজ করছেন তাঁরা। তার মধ্যে খোদ করোনা রোগীর হাতে চিকিৎসকের এভাবে নিগ্রহের ঘটনা চিন্তার ভাজ ফেলছে। বিষয়টির প্রতিবাদে ক্ষোভে ফেটে পড়েন গান্ধী হাসপাতালের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তাহীনতার অভিযোগ তুলে ক্ষোভ উগড়ে দেন তাঁরা। অন্যান্য হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মীরাও বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। দাবি করা হয় তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ। পরিস্থিতি সামল দিতে স্বয়ং হাসপাতালে আসতে হয় হায়দরাবাদের পুলিশ কনমিশনারকে। এরপরেই গান্ধী হাসপাতালের নিরাপত্তা কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেওয়া হয়।