সংক্ষিপ্ত
- কাজ করতে গিয়ে আক্রান্ত হলেন স্বাস্থ্যকর্মীরা
- করোনা আক্রান্তের খোঁজে গিয়ে হামলার শিকার
- পাথর ও ইঁট বৃষ্টি চলে স্বাস্থ্যকর্মীদের লক্ষ্য করে
- মহিলা চিকিৎসকরাও রক্ষা পেলেন না জনতার রোশ থেকে
দেশে হু হু করে বাড়ছে সংক্রমণ। বুধবার নতুন করে ৩০০ বেশি আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে সারা দেশে। সারা দেশের মধ্য মধ্যপ্রদেশেও বাড়ছে কোভিড ১৯ রোগীর সংখ্যা। পরিস্থিতি সামল দিতে বিপুল আর্থিক ক্ষতির বোঝা মাথায় নিয়ে দেশজুড়ে চলছে লকডাউন। কিন্তু যাদের জন্য এত উদ্যোগ তারাই এখনও বাড়াচ্ছেন না সহযোগিতার হাত। এখনও পথেঘাটে দেখা মিলছএ উৎসাহী জনতার। আর এবার মধ্যপ্রদেশে যা ঘটল, তা তো চরম লজ্জাজনক। ইন্দোরে করোনা স্ক্রিনিং করাতে গিয়ে জনতার হাতে আক্রান্ত হলেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। রেহাই পেলেন না দুই মহিলা চিকিৎসকও।
দেশে করোনা আক্রান্তদের সুস্থ করতে জানপ্রাণ দিয়ে লড়ছেন চিকিৎসক, নার্স সহ অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীরা। এদেশের চিকিৎসা ক্ষেত্রে পরিকাঠআমোর নানা খামতি থাকা সত্বেও নিজেদের প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে রোগীজের সেবা করছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। জনতা কারফিউয়ের দিন জরুরী পরিষেবা ক্ষেত্রের মানুষদের অবদান মনে করিয়ে দেশবাসীকে হাততালি দিয়ে সম্মান জানাতে বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেদিন সারা দেশ বেরিয়ে থালা বাজিয়েছিল। আর তার সপ্তাহ খানেক কাটতে না কাটতেই সেই স্বাস্থ্যকর্মীদের উপরই হামলা চালাল উন্মত্ত জনতা। চলল পাথরবৃষ্টিও। ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে এই লজ্জাজনক ভিডিও।
করোনা আক্রান্তের সংস্পর্শে এসেছেন ইন্দোরের তাত পাত্তি বাখাল এলাকার এক ব্যক্তি। এই খবর জানতে পেরে বুধবার দুপুরে এলাকায় খোঁজখবর নিতে গিয়েছিলেন ৩ চিকিৎসক সহ ৮ জন স্বাস্থ্যকর্মীর এক দল। কিন্তু করোনা স্ক্রিনিংয়ের জন্য স্বাস্থ্যকর্মীদের দেখেই মুহুর্তে বদলে যায় পরিস্থিতি। উত্তেজিত জনতা হামলা চালাতে থাকে স্বাস্থ্যকর্মীদের দিকে। প্রথমে পুরুষ স্বাস্থ্যকর্মীদের দিতে ধেয়ে আসে তারা। কারও হাতে ছিল লাঠি, কারত হাতে কাচের বোতল। আবার কেউ ছুঁড়তে শুরু করে পাথর। বাধ্য হয়ে সরু গলি দিয়ে প্রাণ বাঁচাতে ছুটতে হয় স্বাস্থ্যকর্মীদের। আর উন্মত্ত জনতা তাঁদের ধাওয়া করতে থাকে।
লকডাউন তুলে নেওয়ার ইজ্ঞিত মিলতেই ফের বুকিং শুরু রেলের, একই পথে এগোল বিমান সংস্থাগুলিও
ট্রাম্পের দেশে ৬ সপ্তাহের শিশুকেও কেড়ে নিল মারণ করোনা, একদিনেই মৃত্যু প্রায় হাজার খানেকের
স্বামীকে বিরক্ত না করে মেকআপ করুন, লকডাউনে সময় কাটাতে পরামর্শ দিল দেশের সরকার
স্বাস্থ্যকর্মীদের উপর হামলার খবর পেয়েই বিশাল পুলিশবাহিনী ওই এলাকায় আসে। উন্মত্ত জনতাকে সামলে গাড়ির পিছন ও ভাঙা বাড়ির ভিতরে লুকিয়ে প্রাণ বাঁচানো স্বাস্থ্যকর্মীদের উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় মোট পাঁচজন স্বাস্থ্যকর্মী আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে রয়েছে ২ মহিলা চিকিৎসকও। এই ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হতেই সোশ্যাল মিডিয়া নিন্দার ঝড় ওঠে। এই ঘটবনায় ইতিমধ্যে তাত পাত্তি বাখাল এলাকার স্থানীয়দের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় ইন্দোরে নতুন করে ১৯ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণের প্রমাণ মিলেছে। ফলে শহরে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৭৫। আর মধ্যপ্রদেশে কোভিড ১৯ রোগের শিকারের সংখ্যা প্রায় সেঞ্চুরি করতে চলেছে। ইন্দোরে ৬০০ জন মানুষকে নতুন করে কোয়ারেন্টাইনে পাঠান হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্য স্বাস্থ্য সচিব ডঃ প্রবীণ জাদিয়া। বুধবারই ইন্দোরে করোনা সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ৬৫ বছরের এক প্রৌঢ়ের।