সংক্ষিপ্ত
- প্রয়াগরাজে গঙ্গার চরে দেহ
- উদ্ধার শতাধিক মরদেহ
- করোনা আতঙ্ক স্থানীয়দের মধ্যে
- গঙ্গার পবিত্রতা নিয়েও প্রশ্ন
উত্তর প্রদেশের প্রয়াগরাজ যেন কবর স্থান। একের পর এক মরদেহ উদ্ধার হচ্ছে। যা আদতে সামনে আনছে উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যানাথের ব্যর্থতা। তেমনই দাবি করেছেন বিরোধীরা। সাংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে এখনও পর্যন্ত কয়েক হাজার পচা মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। গত দুই থেকে তিন মাস ধরে স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদের আত্মীয় পরিজনদের দেখ প্রয়াগরাজের গঙ্গাতী তীরে সমাহিত করেছিল। কিন্তু খুব ভালো করে সমাহিত করা হয়নি। আর সেই কারণেই প্রবল হাওয়ায় বালি উড়ে যায়। তাতেই বেরিয়ে পড়ে পচাগলা সারসার দেহ।তবে এই ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে রীতিমত আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। কারণ অনেকেই মনে করছেন এই পচা দেহগুলি রোগজীবাণু ছড়িয়ে দেবে।
তবে প্রয়াগরাজের ঘটনা কিছুটা হলেও বিড়ম্বনায় ফেলে দিয়েছে যোগী আদিত্যনাথকে। স্থানীয় বাসিন্দা সঞ্জয় শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন, কোভিড মহামারিকালে রাজ্য প্রশাসনের আরও তৎপর থাকা প্রয়োজন ছিল। কারণে এখান থেকে দুষণ ছড়িয়ে পড়তে পারে। করোনাকালে একাধিক মানুষের মত্যু হচ্ছে। একই পরিবারে একাধিক সদস্যদের মৃত্যু পরিবারটিকে আর্থিক সংকটের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। পিছিয়ে পড়া পরিবারগুলির হাতে পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় তাঁরা প্রিয়জনদের দেহ বালি চাপা দিয়ে গেছেন। রাজ্য সরকারের উচিৎ করোনা আক্রান্তদের দেহ সৎকালের জন্য আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া পরিবারকে সাহায্য করা।
স্থানীয় অনেক বাসিন্দাই গঙ্গা নদী ও প্রয়াগরাজের পবিত্রতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। এভাবে মরদেহ নদীর চরে ফেলে যাওয়ায় পবিত্রতা ক্ষুন্ন হচ্ছে বলেও দাবি করা হয়েছে। গোটা এলাকায় দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে। যা স্বাস্থ্যকর নয় বলেও দাবি স্থানীয়দের। স্থানীয়বাসিন্দারা জানিয়েছেন কমপক্ষে ৫০০-৬০০ দেহ সমাহিত করা হয়েছে। অথচ এটি একটি পবিত্র স্থান। এখানে নিত্যদিন প্রচুর মানুষ স্নান করতে আসত। পবিত্র জল নিয়ে যেত পুজোর জন্য। কিন্তু এখন এখানে মানুষ আসতে চাইবে না বলেও অভিযোগ করেন স্থানীয় মহিলা।
গ্রামীণ এলাকায় করোনা মহামারি রুখতে কেন্দ্রের চিঠি, একগুচ্ছ পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ রাজ্যকে ...
কোভিড-এ বেআব্রু গ্রমীণ ভারত, গাছেই আইসোলেন ওয়ার্ড বানালেন করোনা আক্রান্ত ...
এটাই প্রথম নয়। এর আগে উত্তর প্রদেশের উন্নাওয় জেলায় একই ছবি দেখা গিয়েছিল। গতসপ্তাহে বিহারের বক্সার ও উত্তর প্রদেশের গঙ্গায় মৃতদের ভাসাছিল। স্থানীয় প্রশাসনের তৎপরতায় দেহগুলি নদী থেকে তুলে সমাহিত করা হয়েছে। কিন্তু তারপরেও সামনে আসছে এজাতীয় ঘটনা। অবিলম্ব যাতে নদী পরিচ্ছন্ন করা হয় তারই দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। অনেকেই মনে করছেন মৃতদেহগুলি করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের। যদি তাই হয় তাহলেও এজাতীয় ঘটনায় করোনা আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যার পরিসখ্যনে গরমিল করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠতে পারে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া তঅথয অনুযায়ী উত্তর প্রদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১৩ লক্ষ ৮৫ হাজারের বেশি। সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা ১.৯৩,৮১৫। শুধুমাত্র প্রয়াগরাজে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১৬৫ জন। ৫২১ জন সুস্থ হয়েছেন। আর মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের।