সংক্ষিপ্ত

  • করোনা সংক্রমণ ছড়িয়েছে মালয়েশিয়াতেও
  • পরিস্থিতি সামাল দিতে লকডাউন ঘোষণা সরকারের
  • লকডাউনের ফলে বাড়িতেই রয়েছেন পুরুষরা
  • গৃহ অশান্তি দূর করতে অদ্ভূত সমাধান সরকারের

বিশ্বের অন্যান্য প্রান্তের মত করোনাভাইরাসের প্রকোপে নাজেহাল মালয়েশিয়াও। ইতিমধ্যে দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা তিন হাজারের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে। মৃতের সংখ্যা ৪০ ছাড়িয়েছে। পরিস্থিতি যা, তাতে সংক্রমণ আটকাতে লকডাউনের পথেই হেঁটেছে মালয়েশিয়া সরকার। গত ১৮ মার্চ থেকে দেশটিতে শুরু হয়েছে লকডাউন। এর মধ্যেই মালয়েশিয়ার নারী ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের একটি নোটিস নজর কেড়েছে সকলের। 

মালয়েশিয়ার মত করোনা সংক্রমণ আটকাতে ভারতো লকডাউনের পথই অনুসরণ করেছে। ফলে বন্ধ রয়েছে অফিস-কাছারি, কল-কারখানা। জরুরী বিষয় ছাড়া বাকি দফতরের কর্মীরাই এখন বাড়িতে রয়েছেন। সেখান থেকেই অনেকে ওয়ার্ক ফ্রম হোম করছেন। আর স্বামীরা বাড়িতে থাকায় স্ত্রীরা তাঁদের দিয়ে বাড়ির কাজ করাচ্ছেন অথবা হুকুম চালাচ্ছেন, এমন সব জোকসে এখন ছেয়ে গিয়েছে এদেশের সোশ্যাল মিডিয়া। তবে স্বামীদের লকডাউনের সময় বাড়িতে থাকার বিষয়টিকে কিন্তু একেবারেই হালকা ভাবে নেয়নি মালয়েশিয়া সরকার। সেখানে মহিলাদের অনুরোধ করা হয়েছে, লকডাউনের সময় স্বামীর সঙ্গে ঝামেলা না করে বরং বাড়িতে যেন মেকআপ করে সুন্দরী সেজে থাকেন তাঁরা।

দেশবাসীর মঙ্গল কামনায় হিন্দু ধর্মের ওম মন্ত্র জপছেন স্পেনের চিকিৎসকরা, ভাইরাল ভিডিও

স্বেচ্ছায় আইসোলেশন গেলেন থাইল্যান্ডেন রাজা, সঙ্গী হলেন ২০ জন সুন্দরী

করোনার থাবায় বন্ধ হয়েছে উৎপাদন, বিশ্ব জুড়ে চরমে এবার 'কন্ডোম' সংকট

সম্প্রতি মালয়েশিয়ার সোস্যাল মিডিয়ায় বেশ কিছু পোস্ট দেখা গেছে। যেখানে লকডাউনের সময় বাড়িতে থাকা স্বামীকে নানা ভাবে হেনস্থা করছেন স্ত্রীরা। এই সব পোস্টারগুলি গত ৩১ মার্চ নিজেদের সাইটে শেয়ারও করে মালয়েশিয়ার নারী  ও পরিবার কল্যাণ  মন্ত্রক। এর পরেই পরামর্শ দেওয়া হয়, গৃহশান্তি বজায় রাখতে যাতে দেশের মহিলার স্বামীদের সঙ্গে ভদ্র ব্যবহার করেন, এবং বাড়িতে সেজেগুজে থাকেন ও সুমিষ্ট স্বরে নিজের পতিদেবের সঙ্গে কথা বলেন। 

মালয়েশিয়ার সরকারের এই ধরণের আচরণে দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। নারীবাদী বিভিন্ন সংগঠন বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ জানাতে শুরু করে। লিঙ্গ বৈষম্যের আওয়াজ তোলা হয়। তার পরেই নিজেদের বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইতে দেখা যায় নারী ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রককে। 

 

 

নিজেদের বিবৃতিতে নারী ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক বলে, " আমাদের পোস্ট করা বেশকয়েকটি ছবি নিয়ে আপত্তি উঠেছে, এবং বেশকিছু সংগঠন প্রতিবাদও জানিয়েছে, আমরা তার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী।" পাশাপাশি বিতর্কিত পোস্টারগুলিও পরে সরিয়ে নেয় মন্ত্রক।