সংক্ষিপ্ত

আছড়ে পড়েছে করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গ

সবথেকে খারাপ অবস্থা মহারাষ্ট্রে

তারপরও লকডাউন জারি করা হল না

তবে প্রায় সমতূল্য বিধিনিষেধ জারি হল

সরাসরি লকডাউন জারি করা না হলেও, রাজ্যে লকডাউনের মতোই কঠোর কোভিড-১৯ বিধি কার্যকর করার সিদ্ধান্ত নিল মহারাষ্ট্র সরকার। রবিবার এই বিষয়ে একটি বৈঠক হয় মহারাষ্ট্রের মন্ত্রিসভার। তাতে সিদ্ধান্ত হয়েছে, রাজ্যে পুরোপুরি লকডাউন জারি করা হবে না। কিন্তু, সোমবার থেকে নাইট কারফিউ ও সাপ্তাহিক লকডাউন জারি করা হবে।

নাইট কারফিউ থাকবে রাত ৮ টা থেকে পরদিন সকাল ৭টা পর্যন্ত। আর দিনের বেলার থাকবে ১৪৪ ধারার মতো বিধিনিষেধ। সেইসঙ্গে সপ্তাহান্তে লকডাউন অর্থাৎ, শুক্রবার রাত ৮টা থেকে সোমবার সকাল ৭টা পর্যন্ত লকডাউন জারি থাকবে। এই সময়ে প্রয়োজনীয় পরিষেবাগুলিতে কাজ করা ব্যক্তিরা ছাড়া অন্য কাউকে ভ্রমণ করার অনুমতি দেওয়া হবে না। হোটেল এবং রেস্তোঁরাগুলি চালু থাকলেও সেখানে বসে খাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে না। ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত এই কঠোর নির্দেশিকা কার্যকর হতে পারে।

সরকারি অফিস খোলা থাকবে ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে। থিয়েটার, পার্কগুলি বন্ধ থাকবে। ছোট মাপের ফিল্ম-শুটিং চলতে পারে। বাজার, শিল্প-কারখানা ইত্যাদির জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশিকা জারি করা হবে। মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষ হওয়ার পর সরকার বিভিন্ন খাতের নির্দেশিকাগুলি জারি করবে। মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী নবাব মালিক জানিয়েছেন, এটা মন্ত্রীসভার সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত। রাজ্যবাসীকে এই নির্দেশিকাগুলি অনুসরণ করার জন্য আবেদন করা হবে।

সূত্র মতে, এদিনের বৈঠকে সম্পূর্ণ লকডাউন জারির বিষয়ে আলোচনা হয়। কিন্তু, মন্ত্রীদের বড় অংশই সেই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছেন। লকডাউন শব্দটি ব্যবহার না করে 'সরকারী আদেশ বা নির্দেশিকাগুলি কঠোরভাবে প্রয়োগ করা হবে' - এই বয়ান ব্যবহারের প্রস্তাব দেওয়া হয়। আদতে যা লকডাউনেরই সামিল।

শনিবার, মহারাষ্ট্রে ৪৯,৪৪৭ টি নতুন কোভিড সংক্রমণের ঘটনা নথিবদ্ধ করা হয়েছে। গত বছর করোনভাইরাস মহামারী শুরু হওয়ার পর থেকে এই রাজ্যই ভারতের মধ্যে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত। তবে করোনার প্রথম তরঙ্গের সময়ও একদিনে এতজন একসঙ্গে করোনায় আক্রান্ত হয়নি। ওই একই সময়ে করোনা জনিত কারণে এই রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ২৭৭ জনের। এই মুহূর্তে রাজ্য়ে মৃত্যুর হার ১.৮৮ শতাংশ।