সংক্ষিপ্ত

  • মধ্যপ্রদেশের এক খুনের আসামী এখন কোভিড দেহ শেষকৃত্যের কাজে ব্যস্ত
  • দিনরাত এক করে সে করে চলেছে শেষকৃত্য
  • তার প্যারোলের মেয়াদ দু মাস বাড়ানো হয়েছে
  • ২০০৯ সালে এক খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত হয়ে সে জেল খাটছে

হয়তো প্রায়শ্চিত্তই হবে। বা হয়তো বিবেকের তাড়না। মানুষ খুন করে জেল খাটা কয়েদিই এখন কোভিড আক্রান্ত পরিত্যক্ত মৃতদেহর শেষকৃত্যের কাজে ব্যস্ত। ঘটনাটা ঘটছে মধ্যপ্রদেশে। যেখানে অনেকেই করোনায় মৃত্যুর পর মৃতের কোনও আত্মীয় বা পরিবারের কেউ শেষকৃত্যের কাজে এগিয়ে আসছেন না। খুনের আসামী শ্যাম বাবা প্যারোলে মুক্ত হয়ে সেইসব দেহ শেষকৃত্য করছেন নিজের হাতে। 

আরও পড়ুন: মাত্র দশ মিনিটে পৌঁছে যাবে অক্সিজেন, সুরেশ রায়নার পোস্ট দেখা মাত্রই তৎপর সোনু

২০০৯ সালে এক খুনের মামলা শ্যাম বাবা জেলে আটক। ক দিন আগে প্যারোলে মুক্ত হন। এরপর ঝাঁপিয়ে পড়েন কোভিড আক্রান্তদের পাশে। এমন একটা বিষয়ের দায়িত্ব নেন যেটা এলাকার বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়াচ্ছিল। কোভিডে মৃতদের দেহ পোড়াতে আত্মীয়রা কেউ এগিয়ে আসছিলেন না। তখন শ্যাম বাবাই ঝাঁপিয়ে পড়েন। দিনের বেশি সময় শ্মশানেই কাটে শ্যামের। গাড়িতে করে কোভিড মৃতদেহ এলে, তিনি এগিয়ে গিয়ে ধরাধরি করে নিয়ে যান শেষ অবধি। আর তারপর কোনও মৃতের কোনও আত্মীয়-বন্ধ না থাকলে নিজেই শেষকৃত্যের কাজ করেন। সম্মানের সঙ্গে যাতে সব মৃতদেহের শেষকৃত্য হয়ে সেটা নিশ্চিত করেন। জেল কর্তৃপক্ষ দারুণ খুশি, শ্যাম বাবার কাজে। তাঁর প্যারোলের মেয়াদ আরও দু মাস বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: করোনায় আগামী কয়েক সপ্তাহ দেশের কাছে কঠিন, বলছেন বিশেষজ্ঞরা

অসংখ্য কোভিড মৃতদেহের সৎকার করা শ্যাম বাবা বলছেন, " চারিদিকে এত মৃত্যু দেখে খারাপ লাগে, খুব খারাপ লাগে। এবার এই মৃত্যু বন্ধ হোক এই প্রার্থনাই করি।" প্রসঙ্গত, কোভিড অবস্থার কথা মাথায় রেখে গত বছর প্রায় ১২ হাজার জেলবন্দিদের মুক্ত করে মধ্যপ্রদেশ সরকার। শ্যাম বাবা গত বছরও কোভিডের কাজে ঝাঁপিয়েছিলেন।