সংক্ষিপ্ত

লাল সতর্কতা জারি করার ভাবনা চিন্তা করা হচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। লাল সতর্কতা জারির সিদ্ধান্ত হলেই দিল্লি জুড়ে পূর্ণাঙ্গ লকডাউনের খাঁড়া নেমে আসতে পারে।

করোনা পজেটিভিটি রেট (Covid Positivity rate) প্রায় ৫ শতাংশ (5%)। ক্রমশ বাড়ছে উদ্বেগ। এই পরিস্থিতিতে পূর্ণাঙ্গ লকডাউনের (Total Lockdown) রাস্তায় হাঁটতে চলেছে নয়াদিল্লি (New Delhi), এরকম সম্ভাবনা ক্রমশ বাড়ছে। ইতিমধ্যেই দিল্লি জুড়ে জারি করা হয়েছে হলুদ সতর্কতা। চালু হয়েছে নাইট কার্ফু। ডিসেম্বরের শেষের দিকে যেখানে পজেটিভিটি রেট ১.২৯ শতাংশ ছিল, দুদিনের মধ্যে তা বেড়ে পাঁচ শতাংশ হয়ে গিয়েছে। বিধিনিষেধ আরোপ করার পরের দিনই আক্রান্তের সংখ্যা এক লাফে বেড়ে যায় অনেকটা। নতুন বছরের এই উৎসবের মরশুমে করোনা আক্রান্তের সংখ্যায় কপালে ভাঁজ পড়েছে কেজরিওয়াল প্রশাসনের। 

নয়াদিল্লির ডিসাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি অনুমোদন দিয়েছে গ্রেডেড রেসপন্স অ্যাকশন প্ল্যানকে। এর আওতায় নতুন করে জারি হতে পারে একাধিক কোভিড নীতি। রবিবার ৩১৯৪টি নতুন কেস রিপোর্ট করা হয়েছে, এমনকি পজেটিভির হার ৪.৫৯% বেড়েছে। GRAP-এর মতে, পরপর দুই দিনের জন্য পাঁচ শতাংশ কেস পজিটিভিটি রেট রিপোর্ট করা হলে একটি 'রেড অ্যালার্ট' জারি করা হবে। উল্লেখযোগ্যভাবে, দিল্লিতে গত সোমবার মাত্র ৩৩১ জন করোনা আক্রান্ত হয়। 

আরও পড়ুন- Omicron ঠেকাতে কেন কার্যকর Covid Vaccine, ৫টি কারণ জানালেন সৌম্যা স্বামীনাথন

করোনা সংক্রমণের হার বাড়তে থাকায় ২৮শে ডিসেম্বর হলুদ সতর্কতা জারি করা হয় দিল্লি জুড়ে। তবে লাল সতর্কতা জারি করার ভাবনা চিন্তা করা হচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। লাল সতর্কতা জারির সিদ্ধান্ত হলেই দিল্লি জুড়ে পূর্ণাঙ্গ লকডাউনের খাঁড়া নেমে আসতে পারে। রেড অ্যালার্ট মানে শহরে 'সম্পূর্ণ কারফিউ' কার্যকর করা। এর ফলে বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে বেশিরভাগ অর্থনৈতিক লেনদেন। সাপ্তাহিক বাজার এবং শপিং মলগুলি বন্ধ থাকবে। নিত্যপ্রয়োজনীয় ও জরুরি পরিষেবার দোকানগুলি খোলা রাখা হবে। 

যদিও দিল্লিতে ইতিমধ্যেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে স্কুল ও কলেজ। সিনেমা হল থেকে থিয়েটার হল সবকিছুই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বন্ধ জিম ও স্পা। অন্যদিকে দোকান ও শপিংমল জোড় বিজোড় ভিত্তিতে খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। মেট্রোসহ যেকোনও পাব্লিক ট্রান্সপোর্ট ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে চলাচল করতে পারে বলে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। জারি করা হয়েছে নাইট কার্ফু। 

আরও পড়ুন-  মাস্ক ব্যাবহার না করায় ১৫ জনকে আটক করল পুলিশ, সচেতনতার জন্য সকাল থেকেই শুরু মাইকিং

আরও পড়ুন- India's COVID-19 Tally: ভারতে করোনার বিস্ফোরণ, গত তিন মাসের মধ্যে শীর্ষে পৌঁছল সংক্রমণ

বিশেষজ্ঞদের কথায় ওমিক্রনের প্রভাবেই করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে দিল্লিতে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক  জানিয়ে দিয়েছে কোভিড ১৯-এর নতুন রূপ ওমিক্রন ডেল্টার  তুলনায় কমপক্ষে কংপক্ষে তিনগুণ বেশি সংক্রমণযোগ্য। দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, দিল্লিতে এমন ব্যক্তিরাও ওমিক্রনে আক্রান্ত হচ্ছেন, যাঁরা সম্প্রতি কোথাও ভ্রমণই করেননি। এর থেকেই স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে যে ধীরে ধীরে ওমিক্রন গোষ্ঠী সংক্রমণের দিকে এগোচ্ছে। রাজধানীতে গত একদিনে ১১৫টি নমুনার মধ্যে ৪৬ শতাংশের শরীরে ওমিক্রনের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গিয়েছে।

সত্যেন্দ্র জৈন আরও জানিয়েছেন, দিল্লির হাসপাতালগুলিতে (Hospital) এখন মোট ২০০ জন করোনা রোগী ভর্তি রয়েছেন। তার মধ্যে ১০২ জনই দিল্লির বাসিন্দা। ১১৫ জনের শরীরে করোনার কোনওরকম উপসর্গই নেই। তবে সতর্কতার জন্য তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে।