সংক্ষিপ্ত
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, দিল্লিতে এমন ব্যক্তিরাও ওমিক্রনে আক্রান্ত হচ্ছেন, যাঁরা সম্প্রতি কোথাও ভ্রমণই করেননি। এর থেকেই স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে যে ধীরে ধীরে ওমিক্রন গোষ্ঠী সংক্রমণের দিকে এগোচ্ছে। রাজধানীতে গত একদিনে ১১৫টি নমুনার মধ্যে ৪৬ শতাংশের শরীরে ওমিক্রনের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গিয়েছে।
করোনার (Corona) নতুন রূপ ওমিক্রনের (Omicron) আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে গোটা বিশ্বে (World)। একাধিক দেশেই থাবা বসিয়েছে এই ভাইরাস (Virus)। এর হাত থেকে রেহাই পায়নি ভারতও (India)। দেশে অত্যন্ত দ্রুত হারে ছড়িয়ে পড়ছে ওমিক্রন। একমাসেই বিশ্বের ১১৭টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে এই নতুন ভ্যারিয়েন্ট (Corona Variant)। ইতিমধ্যেই দেশে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ৯০০ পার করে গিয়েছে। সবথেকে বেশি উদ্বেগ বাড়াচ্ছে দিল্লি (Delhi)। দেশের মধ্যে সবথেকে বেশি সংখ্যক মানুষ ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন সেখানেই। সেই সংখ্যাটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬৩। সেখানে ধীরে ধীরে ওমিক্রন গোষ্ঠী সংক্রমণের (Omicron spreading in community) গিকে এগোচ্ছে বলে জানিয়েছেন দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন (Satyendra Jain)।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, দিল্লিতে এমন ব্যক্তিরাও ওমিক্রনে আক্রান্ত হচ্ছেন, যাঁরা সম্প্রতি কোথাও ভ্রমণই করেননি। এর থেকেই স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে যে ধীরে ধীরে ওমিক্রন গোষ্ঠী সংক্রমণের দিকে এগোচ্ছে। রাজধানীতে গত একদিনে ১১৫টি নমুনার মধ্যে ৪৬ শতাংশের শরীরে ওমিক্রনের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গিয়েছে।
সত্যেন্দ্র জৈন আরও জানিয়েছেন, দিল্লির হাসপাতালগুলিতে (Hospital) এখন মোট ২০০ জন করোনা রোগী ভর্তি রয়েছেন। তার মধ্যে ১০২ জনই দিল্লির বাসিন্দা। ১১৫ জনের শরীরে করোনার কোনওরকম উপসর্গই নেই। তবে সতর্কতার জন্য তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন- Omicron ঠেকাতে কেন কার্যকর Covid Vaccine, ৫টি কারণ জানালেন সৌম্যা স্বামীনাথন
দেশের মধ্যে এখনও পর্যন্ত দিল্লিতেই ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা সবথেকে বেশি। সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬৩। তালিকায় ঠিক তার পরেই রয়েছে মহারাষ্ট্র। সেখানে ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫২। আর দেশে মোট ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৬১। ওমিক্রন থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৩২০ জন।
গত সপ্তাহ থেকেই দিল্লিতে আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত গতিতে বাড়ছে। পজিটিভিটি রেট ১.২৯ শতাংশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে দিল্লিতে জারি করা হয়েছে হলুদ সতর্কতা। বিধিনিষেধ কার্যকর করার পর দিনই আক্রান্তের সংখ্যা এক লাফে বেড়ে যায় অনেকটা। বর্ষবরণের এই আনন্দের মাঝেই করোনা আক্রান্তের সংখ্যায় কপালে ভাঁজ পড়েছে কেজরিওয়াল প্রশাসনের।
আরও পড়ুন- Covid-19 Tally: বছর শেষে কোভিড আতঙ্ক, দেশে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে
যদিও সংক্রমণের উপর রাশ টানতে দিল্লিতে ইতিমধ্যেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে স্কুল, কলেজ, সিনেমা হল, থিয়েটার, জিম ও স্পা। অন্যদিকে দোকান ও শপিংমল জোড় বিজোড় ভিত্তিতে খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। মেট্রোসহ যেকোনও গণ পরিবহন ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে চলাচল করতে পারে বলে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি জারি হয়েছে নাইট কারফিউ।
বিশেষজ্ঞদের কথায়, ওমিক্রনের প্রভাবেই করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে দিল্লিতে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে কোভিড-১৯ এর নতুন রূপ ওমিক্রন অনেক বেশি তাড়াতাড়ি সংক্রমণ ছড়ায়। ডেল্টার থেকেও বেশি সংক্রামক। আর এই বিষয় নিয়ে সতর্ক থাকার জন্য রাজ্যগুলিকে চিঠি দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৩ হাজার ১৫৪ জন। দেশে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮২ হাজার ৪০২। আর মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ লক্ষ ৮০ হাজার ৮৬০।