সংক্ষিপ্ত

 

  • করোনা সংক্রমণ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে দেশে
  • আক্রান্তের সংখ্যা যেভাবে বাড়ছে তা ভয় ধরানোর জন্য যথেষ্ট
  • তারপরেও লকডাউন উপক্ষে করা পথে নামছেন অনেকেই
  • করোনার ভয়াবহতা বোঝাতে তাই অভিনব পদ্ধতি অবলম্বন পুলিশকর্তার

দেশে করোনা সংক্রমণের ঘটনা লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েই চলেছে।  গত শুক্রবার দেশে এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি,  নতুন করে ১৪৯ জনের শরীরে সংক্রমণের খবর পাওয়া গিয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় পৌঁছে গেছে ৯০০ গণ্ডিতে। যেকোন ভাবেই করোনার তৃতীয় পর্যায় অর্থাৎ গোষ্ঠী সংক্রমণ আটকাতে চাইছে প্রশাসন। কারণ জনবুল এই দেশে করোনা তৃতীয় পর্যায়ে পৌঁছে গেলে তা মহামারীর রূপ নেবে। ইতালি, চিন বা স্পেনের থেকেও তার পরিণতি হবে ভয়ঙ্কর। তাই আপাতত ২১ দিনের জন্য দেশকে করে দেওয়া হয়েছে লকডাউন। তার পরেও অবশ্য এখনও সচেতনতার অভাব দেখা গিয়েছে কিছু মানুষের মধ্যে। কী পরিস্থিতি তা দেখতে উৎসাহের বশে পথে নেমে পড়ছেন অনেকেই। তাদের করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ভয়াবহতা বোঝাতে এবার এক অভিনব পদ্ধতি নিলেন চেন্নাইয়ের এক পুলিশকর্মী। তিনি নিজেই সাজলেন মারণ ভাইরাস করোনা।

 

 

বারবার দেশের প্রধানমন্ত্রী, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা একটাই আবেদন করছেন, দেশবাসী যাতে লকডাউনের সময় বাড়ির বাইরে না বের হন। কারণ করোনার মত মারণ ভাইরাসকে আটকাতে এছাড়া আর কোনও উপায় নেয়। নতুন এই ভাইরাসের ওষুধ এখনও আবিষ্কার হয়নি। ভাইরাসটিকে নিয়ন্ত্রণ করতে লাগাতার পরীক্ষা-নিরিক্ষা চালিয়ে যাচ্ছেন বিভিন্ন দেশের গবেষকরা। তবে প্রতিষেধক তৈরি হতে এখনও কিছুটা লাগবে বলেই জানাচ্ছেন  বিজ্ঞানীরা। এই অবস্থায় সংক্রমণ আটকাতে সামাজিত দূরত্ব ছাড়া কোনও উপায় নেই। তাই লকডাউনের পথেই হাঁটছে করোনা আক্রান্ত  অধিকাংশ দেশ।

ট্রাম্পের দেশে করোনা সংক্রমণের ঘটনা লক্ষাধিক, ম্যালেরিয়ার ওষুধেই হচ্ছে চিকিৎসা

করোনা বদলে দিল সব সমীকরণ, মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন মোদীর, বাহিনী পাঠানোর আশ্বাস শাহের

নিজের পুরনো রেকর্ড ফের ভাঙল ইতালি, একদিনে মৃতের সংখ্যা ছুঁয়ে ফেলল হাজার

ভারতও লকডাউনের পথেই হেঁটেছে। বন্ধ রয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, অফিস-কাছারি, কারখানা, বিনোদন সবকিছুই। একমাত্র অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা নিরন্তর কাজ করে চলেছেন। আক্রান্তদের বাঁচাতে ২৪ ঘণ্টা সেবা করছেন চিকিৎসক, নার্স ও চিকিৎসাকর্মীরা। এরসঙ্গে অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে পুলিশের ভূমিকা। কঠিন এই পরিস্থিতিতে মানুষ যাতে বাড়ির বাইরে না বের হয় তারজন্য পথে নামা মানুষকে বারবার অনুরোধ করতে দেখা গেছে পুলিশকর্মীদের। এবার করোনা নিয়ে মানষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে একটি হেলমেট পড়লেন চেন্নাইয়ের এক পুলিশকর্তা। এই হেলমেটটিকে দেখতে একেবারে করোনাভাইরাসের মত। সেই হেলমেট পরেই পথে নামা মানুষকে করোনাভাইরাসের ভয়বহতা নিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করলেন পুলিশ আধিকারিক।

 

 

মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে গত কয়েকদিনে পুলিশের ভূমিকা প্রশংসিত হচ্ছে বিভিন্ন মহলে। কোথাও পথে নামা মানুষকে কেন এই সময় বাড়িতে থাকা প্রয়োজন তা বোঝাচ্ছেন তারা, কোথাও আবার দেখা যাচ্ছে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে হাত ধোওয়ার পাঠ দিচ্ছেন তাঁরা। শুধু তাই নয় লকডাউনের ফলে কাজ হারিয়েছেন এদেশের বহু মানুষ। এই দুঃস্থ মানুষগুলিকে দুবেলা দুমুঠো খাবার তুলে দিতে দেখা গেছে অনেক পুলিশকর্মীকেই। এবার মানুষের মধ্যে মারণ এই ভাইরাস নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে খোদ করোনাভাইরাস সাজতে দেখা গেল এক পুলিশ আধিকারিককে।