সংক্ষিপ্ত
- করোনা প্রতিহত করতে আরও আর্থিক বরাদ্দ
- ১৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ
- কেন্দ্র ও রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো উন্নয়নই লক্ষ্য
- কেনা হবে পিপিই, শষ্যসহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী
জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেওয়ার সময়ই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঘোষণা করেছিলেন দেশের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোকে ঢেলে সাজাতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছিলেন করোনাভাইরাসের সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াইতে কোনও রকম ছাড় দেওয়া হবে না। রীতিমত গুরুত্ব সহকারে চিকিৎসা দেশের দেশের মানুষ। প্রধানমন্ত্রী সেই ঘোষণা অনুযায়ী কেন্দ্রীয় সরকার ১৫ হাজার কোটি টাকার স্বাস্থ্য প্যাকেজে স্বীকৃতি দিল। ৭৭৭৪ কোটি টাকা জরুরী ভিত্তিতে খরচ করা হবে। বাকি টাকা আগামী চার বছরের জন্য মাঝারি অথবা মেয়াদী পরিকল্পনা খাতে ব্যায় করা হবে।
কেন্দ্রীয় সরকারের এই প্যাকেজের মূল উদ্দেশ্যই হল রোগ নির্নয়ক কেন্দ্রগুলির সুবিধে যাতে দেশের সব মানুষ পায়ে সেই দিকেই জোর দেওয়া। পাশাপাশি করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য যাবতীয় টাকাও খবর করা হবে এই প্রকল্পের মাধ্যমে। অধিকাংশ টাকা ব্যয় করা হবে ওষুধ কিনতে। পাশাপাশি চিকিৎসকদের নিরাপত্তা দিতেও এই প্রকল্প থেকে টাকা খরচ করা হবে বলে জানান হয়েছে। কারণ দেশে এখনও পর্যন্ত পার্সোনাল প্রোটেকসান ইকিউপমেন্ট পর্যাপ্ত পরিমানে নেই বলে অভিযোগ উঠছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের তত্ত্বাবধানে ১৫হাজার কোটি টাকা খরচ করা হবে বলেও জানান হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে। পাশাপাশি এই টাকা খরচ করে একাধিক হাসপাতালে বাড়ানো হবে আইসোলেশন ওয়ার্ড ও শয্যার সংখ্যাও। প্রয়োজনে কেনা হতে পারে অক্সিজেনও। এই টাকা শুধু কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণাধীন হাসপাতালেই খরচ হবে না। রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা উন্নয়নেও কাজে লাগানো হবে।
কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে প্রথম দফায় মহামারীর মোকাবিলা করার জন্যই এই প্রকল্পের টাকা খরচ করা হবে। পরবর্তীকালে এই টাকাই গবেষণাসহ নানা কাজে খরচ করা হবে। জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের মাধ্যমেই মূলত এই টাকা খরচ করা হবে। কেন্দ্র ও রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবার মান উন্নয়নই মূল লক্ষ্য।
আরও পড়ুনঃ করোনার কালো ছায়া রেস্তোরাঁয়, লকডাউনের ধাক্কা কাটাতে লেগে যেতে পারে ২ বছর
আরও পড়ুনঃ লকডাউনের কারণে মানসিক অবসাদ বাড়ছে, তাই কি ঘরোয়া হিংসার শিকার শিশুরা
আরও পড়ুনঃ করোনাভাইরাস দীর্ঘসময় বেঁচে থাকে ফেস মাস্ক আর প্ল্যাস্টিকে, তেমনই দাবি বিশেষজ্ঞদের
এখনও পর্যন্ত করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ক্রমশই বৃদ্ধি পাচ্ছে দেশে। আক্রান্ত সংখ্যা ৫৭০০। মৃত্যু হয়েছে ১৬৬ জনের। করোনা আক্রান্ত রাজ্যগুলির মধ্যে সবথেকে খারাপ অবস্থা মহারাষ্ট্রের। স্বাস্থ্য মনন্ত্রকের তরফ থেকে জানান হয়েছে করোনাভাইরাসের সংক্রমিতদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে কোনও রকম গাফিলতি হবে না।