সংক্ষিপ্ত
- লকডাউনের জেরে কাজকর্ম লাটে
- ঋণের টাকা দেবেন কী করে!
- ব্যাঙ্ককর্মীদের ঘিরে বিক্ষোভ মহিলাদের
- রামপুরহাটের ঘটনা
লকডাউনের জেরে কাজকর্ম লাটে উঠেছে, চরম আর্থিক অনটনে দিন কাটছে। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের কাছ থেকে ঋণের কিস্তির টাকা আদায় করতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়লেন বেসরকারি ব্যাঙ্কের কর্মীরা। স্থানীয় কাউন্সিলরের মধ্যস্থতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। সোমবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের রামপুরহাটের বাজারপাড়া এলাকায়।
আরও পড়ুন: করোনা নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট, যুবককে ঘিরে ধরে বেধড়ক 'মার' দুষ্কৃতীদের
জানা গিয়েছে, রামপুরহাট শহরের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের বাজারপাড়া এলাকায় বেশ কয়েকটি স্বনির্ভর গোষ্ঠী চালান স্থানীয় মহিলারা। বেসরকারি ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়েছেন তাঁরা। মাসিক কিস্তিতে সেই ঋণের টাকা শোধ করতে হয়। সোমবার সকালে যখন কিস্তির টাকা আদায় করতে যান ব্যাঙ্কের কর্মীরা, তখন তাঁদের ঘিরে তুমুল বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা। তাঁদের বক্তব্য, 'লকডাউনের পর কাজকর্ম বন্ধ। স্বামীরাও বাড়িতে বসে রয়েছে। আর্থিক অনটনে সংসার চালাতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে। কিস্তির টাকা কোথায় থেকে দেব?' কিন্তু ব্যাঙ্কের কর্মীরা কোন কথাই শুনতে চাননি, উল্টে টাকা আদায় করার জন্য স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের রীতিমতো হুমকি দেন বলে অভিযোগ। আর তাতেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
আরও পড়ুন: এবার ইতালির ছায়া বাংলাতেও, বারান্দায় দাঁড়িয়ে পাড়াসুদ্ধ লোক গেয়ে উঠল, "আগুনের পরশমণি"
আরও পড়ুন: লকডাউনে ভীড় কমাতে বাজার নামল মাঠে, সবজি নিয়ে মেদিনীপুরের রাস্তায় কৃষি বিপণন দপ্তর
ব্যাঙ্ককর্মীদের ঘিরে বিক্ষোভের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন স্থানীয় কাউন্সিলর শেখ কামালউদ্দিন ওরফে অমল। আসেন বেসরকারি ব্যাঙ্কের পদস্থ আধিকারিকরাও। শেষপর্যন্ত কাউন্সিলরের মধ্যস্থতাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। চাপের মুখে কিস্তির টাকা না নিয়েই ফিরে যান ব্যাঙ্কের কর্মীরা। কাউন্সিলর শেখ কামালউদ্দিনের বক্তব্য, লকডাউনে কারণে আগামী তিন মাস কিস্তির টাকা আদায় করা যাবে না বলে ঘোষণা করেছেন দেশের অর্থমন্ত্রী। তারপরে টাকা আদায়ের চেষ্টা তো করেইছেন, স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের জমায়েত করে লকডাইনের আইন ভেঙেছেন ব্যাঙ্কের কর্মীরা।