সংক্ষিপ্ত

কলকাতা সহ অন্যান্য জেলায় হু হু করে বাড়ছে করোনার গ্রাফ। স্বাস্থ্য দফতরের প্রকাশিত সর্বশেষ বুলেটিন অনুযায়ী গত ২৪ ঘন্টায় সংক্রমিত হয়েছেন ৮৫৩ জন।

একদিনে সংক্রমণ (Corona Infection) লাফিয়ে বাড়ল। বাংলা (West Begal) জুড়ে ফের চোখ রাঙাচ্ছে করোনা। ছট পুজোর (Chhath Puja) মধ্যেই করোনা সংক্রমণের এই বাড়বাড়ন্ত ভয় ধরাচ্ছে। কলকাতা(Kolkata) সহ অন্যান্য জেলায় হু হু করে বাড়ছে করোনার(Corona Infection) গ্রাফ। স্বাস্থ্য দফতরের (Health Dept) প্রকাশিত সর্বশেষ বুলেটিন অনুযায়ী গত ২৪ ঘন্টায় সংক্রমিত হয়েছেন ৮৫৩ জন। একদিন আগেও যে সংখ্যা ৮০০-র ঘর ছাড়ায়নি, একদিন পরেই তা ৮৫০-এর ঘরে ঢুকে পড়ল। 

বুধবার স্বাস্থ্য দফতরের প্রকাশিত বুলেটিন জানাচ্ছে গত ২৪ ঘন্টায় বাংলায় সংক্রমিতের সংখ্যা ৮৫৩। করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১৫ জনের। রাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৬,০০৭৩২ জন। উদ্বেগ বাড়াচ্ছে কলকাতা। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে সাতজন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন কলকাতায়। তালিকায় তারপরই রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, বীরভূম। 

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১৫ জনের। আর করোনাকে জয় করে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৮০৯ জন। রাজ্যে এখন সুস্থতার হার ৯৮.৩০ শতাংশ। মোট অ্যাক্টিভ করোনা রোগীর সংখ্যা ৭৯৪৫। মৃত্যুর হার ১.২০ শতাংশ। 

Mamata Banerjee-তেলের দাম বাড়িয়ে ৪লক্ষ কোটি টাকা আয় করেছে কেন্দ্র,দাবি মমতার

Modi in Approval ratings-বিশ্বনেতাদের ব়্যাঙ্কিংয়ে এক নম্বর, জনপ্রিয়তার শীর্ষে মোদী

দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলির মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় সবথেকে কম সংখ্যক মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম ও পূর্ব মেদিনীপুরে। ২৪ ঘণ্টায় পুরুলিয়া থেকেও নতুন করে আক্রান্ত হওয়ার খবর মেলেনি। আর তারপরই রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগণা। 

করোনাকে জয় করে গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৮০৯জন। এই মুহুর্তে রাজ্যে সুস্থ রোগীর সংখ্যা ১৫,৭৩,৫২০ জন। রাজ্যে করোনায় মোট মৃত্যু হয়েছে ১৯,২৬৭জনের। এদিকে, উত্তরবঙ্গে দার্জিলিং জেলায় একদিনে আক্রান্ত হয়েছেন ২৫ জন। এরপরেই রয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুর, সেখানে গত ২৪ ঘন্টায় ৫জন আক্রান্ত হয়েছেন। 

এদিকে, করোনার টিকাকরণে গতি আনতে এবার বাড়ি বাড়ি গিয়ে টিকা দেওয়ার উদ্যোগ নিল রাজ্য সরকার৷ এই মর্মে ইতিমধ্যে রাজ্যের তরফে নির্দেশিকাও জারি করা হয়েছে। যাঁরা এখনও টিকার প্রথম ডোজ নেননি অথবা শয্যাশায়ী থাকার কারণে টিকা পাননি, বাড়ি বাড়ি গিয়ে মূলত তাঁদেরকে চিহ্নিত করতেই এই পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে রাজ্য সরকার৷  কারণ করোনা সংক্রমণের দ্রুততা রুখতে পারে এই টিকাকরণ প্রক্রিয়াই। 

জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের শীর্ষ কর্তা এবং সচিব সৌমিত্র মোহন (Soumitra Mohan) বাড়ি বাড়ি গিয়ে টিকাকরণের কর্মসূচি শুরু করার জন্য ইতিমধ্যেই নির্দেশিকা জারি করেছেন (Corona Vaccination at Home)৷ সেখানে প্রতিটি জেলার জেলাশাসক এবং মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সর্বত্র স্বাস্থ্য এবং আশা কর্মীদের বাড়ি বাড়ি পাঠিয়ে টিকাকরণ নিয়ে খোঁজখবর নিতে বলা হয়েছে৷ এছাড়াও কলকাতা পুরসভাকেও এই একই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।