সংক্ষিপ্ত

সম্প্রতি কলকাতার দমদম বিমানবন্দর থেকে মুর্শিদাবাদে ফেরার পথে পথদুর্ঘটনায় এক শ্রমিক পরিবারের শিশু মহিলা, পৌঢ় সহ ৫ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। আহত হন ৬জন। 

তুলকালাম কাণ্ড, তৃণমূল কংগ্রেস(TMC) কর্মীদের হাতে আক্রান্ত হতে হল রাজ্যের  শাসকদলের মন্ত্রী ও বিধায়ক। নিরাপত্তা রক্ষীর বলয় ভেঙে  তাদের গাড়িতে হামলা চালায় হয়। গাড়ি ভাঙচুর করা হয় বলেও অভিযোগ।  বুধবার সন্ধ্যা নাগাদ মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) কান্দি মহাকুমার অন্তর্গত সোদপাড়া এলাকায় এই ঘটনায় রীতিমত আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।  এই ঘটনায় যাবতীয় অভিযোগের তীর খোদ তৃণমূলেরই স্থানীয় যুব ও ব্লক সভাপতি এবং তাদের অনুগামীদের দিকে।

সম্প্রতি কলকাতার দমদম বিমানবন্দর থেকে মুর্শিদাবাদে ফেরার পথে পথদুর্ঘটনায় এক শ্রমিক পরিবারের শিশু মহিলা, পৌঢ় সহ ৫ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। আহত হন ৬জন। এদিন মৃতের পরিবারকে সমবেদনা জানাতে গিয়েছিলে রাজ্যের উদ্যান পালন ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী  সুব্রত সাহা ও স্থানীয় বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা-সহ অন্যান্যরা।  প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরেই এলাকার  ব্লক তৃণমূল সভাপতি গোলাম মোর্সেদ ও যুব তৃণমূল সভাপতি মাহে আলমের সঙ্গে মন্ত্রীর সুব্রত সাহা ও স্থানীয় বিধায়ক জীবন কৃষ্ণ সাহা ঠান্ডা লড়াই চলে আসছে। সেক্ষেত্রে এদিন তৃণমূল ব্লক সভাপতি ও যুব সভাপতি তাদের কাউকেই না জানিয়ে মন্ত্রী ও বিধায়ক তাদের অনুগামীদের নিয়ে ঐ মৃত শ্রমিকদের পরিবার ও আক্রান্ত শ্রমিক পরিবারের সাথে দেখা করতে আসেন।  সমবেদনা ও আর্থিক সহায়তা প্রদানই ছিল উদ্দেশ্য। আর এই কথা জানার পরই সেখানে স্থানীয় ব্লক ও যুব তৃণমূল সভাপতির অনুগামীদের ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে যায়। তারপরই মন্ত্রী ও বিধায়কদের অনুগামীদের সঙ্গে শুরু হয়ে যায় ধস্তাধস্তি।মুহুর্তের মধ্যে হাতাহাতি থেকে শুরু করে মন্ত্রী ও বিধায়ক এর গাড়িতে তুলকালাম ভাঙচুর করে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব বলে অভিযোগ।

Chhat Pujo: ছট পুজোয় সামিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়, কোভিড বিধি মেনে উৎসব পালনের আর্জি

NSA Meet: আফগান সংকট মোকাবিলা, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের ৪টি পরামর্শ প্রধানমন্ত্রী মোদীর

বিধায়ক জীবন কৃষ্ণ সাহা বলেন, “আমি ও রাজ্যের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী সুব্রত সাহা নেত্রী মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে শোকার্ত পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। সেইমতো খুব অল্প সংখ্যক দলীয় কর্মীদের নিয়ে আমরা ওই অসহায় মৃত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে চাই। কিন্তু ব্লক সভাপতি ও যুব সভাপতি দলবল নিয়ে আমাদের ঢুকতে বাধা দেয়। পরে পুলিশের সাহায্যে এলাকায় ঢোকার চেষ্টা করি। পাশাপাশি ওই পরিবারের সঙ্গে দেখা করে তাদের আর্থিক সাহায্যের পাশাপাশি সমবেদনা জানাই। বেরিয়ে আসার সময় হঠাৎ ব্লক সভাপতি ও যুব সভাপতির লোকজন মারধর করতে শুরু করে আমাকে ও মন্ত্রীকে। ওরা বলে থাকে এমএলকে মার, মন্ত্রীকে মার। আমাদের দুজনের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।পুরো বিষয়টি শীর্ষ নেতৃত্বকে জানানো হয়েছে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে"।

Murder Update: সব্যসাচী মণ্ডল খুনে নয়া মোড়, উদ্ধার সুপারি কিলারের গাড়ি, চায়ের দোকানে কি খুনের ছক

এদিকে যাদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ সেই স্থানীয় ব্লক তৃণমূল যুব তৃণমূল সভাপতির বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে। স্থানীয় ব্লক তৃণমূল সভাপতি গোলাম মোর্শেদ বলেন বলেন," মন্ত্রী ও বিধায়ক এর ওপর আক্রমণের ঘটনায় কোনভাবেই আমি আমার অনুগামীরা কেউ জড়িত নয়। অন্ধকারের মধ্যে যারা আক্রমণ চালিয়েছে তারা দুষ্কৃতী পুলিশ তাদের তদন্ত করে খুজে বের করুন"। অন্যদিকে পাল্টা এই বক্তব্যকে সমর্থন করেছেন মাহে আলম।

  এদিকে খবর চাউর হতেই রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে।  পার্শ্ববর্তী একাধিক থানা থেকে বিশাল পুলিশবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। শেষ পাওয়া খবরে জানা যায় ঘটনার জেরে পুলিশ কমপক্ষে  ১৩ জনকে আটক করেছে। যারা সকলেই তৃণমূল কর্মী সমর্থক বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে।এদিকে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের এমন চূড়ান্ত নজিরবিহীন ঘটনা ঘটে যাওয়ায় রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়েছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। ড্যামেজ কন্ট্রোলে তড়িঘড়ি পুরো বিষয়টি রাজ্য নেতৃত্ব কে জানানো হয়েছে বলেই বিশেষ সূত্র মারফত জানা যায়। তবে এখনও থমথমে এলাকা।