সংক্ষিপ্ত
- করোনা আতঙ্কের গ্রাসে বাংলায়
- মুর্শিদাবাদে বাতিল একাধিক বিয়ের অনুষ্ঠান
- বিয়ে আটকে গেল পঞ্চায়েত সমিতি সদস্যের ছেলেরও
- উদ্বেগে পাত্রীর বাড়ির লোকেরা
দিনক্ষণ চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছিল। বিয়ের আয়োজনও সেরে রেখেছিলেন পরিবারের লোকেরা। কোনও কোনও বাড়িতে আবার চলে এসেছিলেন অতিথিরাও। কিন্তু চার হাত আর এক হল কই! লকডাউনের কারণে শেষপর্যন্ত বিয়ে বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিলেন অভিভাবকরাই। করোনা আতঙ্কে মাঝে এমনই ঘটনা ছড়াছড়ি মুর্শিদাবাদ জেলা জুড়ে।
আরও পড়ুুন: লকডাউনের মাঝেই নেশার টানে রাস্তায়, যুবককে কড়া শাস্তি দিলেন সিভিক ভলান্টিয়াররা
মুর্শিদাবাদের লালাগোলার মানিকচক গ্রামে থাকেন সদাগর হোসেন। একসময়ে সরকারি স্কুলের শিক্ষকতা করতেন, এখন অবসর নিয়েছেন। ছোট ছেলে রামিজের সঙ্গে নশিপুর গ্রামের বাসিন্দা লাবনী খাতুনের বিয়ের সম্বন্ধ করেছিলেন সদাগর। বিয়ে হওয়ার কথা ছিল রবিবার। কিন্তু করোনা আতঙ্কে যে জল ঢেলে আয়োজনে! সদাওগর হোসেন বলেন, 'পাকা কথা দেওয়া থাকলেও, বর্তমান পরিস্থিতিতে বিয়ে স্থগিত করে দিতে বাধ্য হলাম। পাত্রী পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ছেলের বিয়ে দেব।'
আরও পড়ুন: করোনা আতঙ্কে 'লিংক ফেল'-এর নোটিশ, অফিসে থেকেও 'নেই' পোস্ট অফিসের কর্মীরা
আরও পড়ুন: পায়ে হেঁটে বাড়ির পথে, লকডাউনের মাঝে বিহার থেকে উত্তর দিনাজপুরে ঢুকলেন শ্রমিকরা
একই অবস্থা ভগবানগোলা পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য সাগরিকা বিবি-রও। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে তাঁর ছেলে তৌফিসেরও বিয়ে হয়ে যেত। পাত্রের বাবা সেকেন্দার হোসেনের আক্ষেপ, 'ছেলের বিয়ে বলে কথা! বাড়িতে আত্মীয়স্বজনরাও চলে এসেছে। কিন্ত কী আর করা যাবে! এখন বিয়ের দিন পিছিয়ে দেওয়া ছাড়া তো আর কোনও উপায় নেই।' অনেকে আবার প্যান্ডেল ও কেটারিংয়ের লোককে টাকাও দিয়ে রেখেছিলেন। বিয়ে বাতিল হয়ে যাওয়ার আর্থিক মুখেও পড়েছেন পাত্রের বাড়ির লোকেরা। কবে মেয়েকে পার করতে পারবেন? উদ্বেগে পাত্রীর বাড়ি লোকেরাও।