সংক্ষিপ্ত
- লকডাউনে বিহারে আটক পড়েছিলেন সকলেই
- পায়ে হেঁটে বাড়ি ফিরছেন শ্রমিকরা
- উত্তর দিনাজপুরে ঢুকে পড়েছেন তাঁরা
- প্রশাসনের হেলদোল নেই
লকডাউনে আটকে পড়েছেন সকলেই। হাতে টাকা-পয়সা নেই, জুটছে না খাবারও। এভাবে আর কতদিন চলবে! বিহার থেকে পায়ে হেঁটেই বাড়ি ফিরছেন এ রাজ্যের একদল শ্রমিক। প্রশাসনের নির্দেশকে অমান্য করে ডালখোলা হয়ে উত্তর দিনাজপুর জেলায় ঢুকে পড়েছেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: জেনে শুনে কেন জেনারেল বেডে করোনা আক্রান্ত, হাসপাতাল 'লক' করে দিতে পারে স্বাস্থ্য ভবন
কেউ নলহাটির বাসিন্দা, তো কারও বাড়ি মুরারই-এ। বীরভূম থেকে জনা পঞ্চাশেক শ্রমিক কাজ করতে গিয়েছিলেন বিহারের মধুবনীতে। কিন্তু করোনা আতঙ্কের জেরে যে এমন বিপর্যয় ঘটবে, তা কে জানত! লকডাউনে কারণে বন্ধ বাস, চলছে না ট্রেনও। ভিন রাজ্যে আটকে পড়েন এ রাজ্যের শ্রমিকরা। সামান্য যেটুকু টাকা ছিল, তাই দিয়ে কোনওমতে চলে যাচ্ছিল। কিন্তু যতদিন যাচ্ছে, আর্থিক সংকটও ততই বাড়ছে। পরিস্থিতি এখন এতটাই খারাপ যে,দু'বেলা খাবার জোগাড় করতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে তো অনাহারে মরতে হবে! বিহারের মধুবনী থেকে ৬০০ কিমি পথ হেঁটে বীরভূমে ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। সেই দলে রয়েছে আট বছরের শিশুও। মঙ্গলবার বিহারে কর্মরত শ্রমিকরা পৌঁছন উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে। কিন্তু গন্তব্য যে এখনও অনেক দূর! পথের ধারেই বিশ্রাম নিয়ে ফের হাঁটা শুরু করলেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: রাস্তার মোড়ে মোড়ে করোনার ছবি এঁকে অভিনব প্রচার পুলিশ
আরও পড়ুন: হাসপাতাল চত্বরে ভিনরাজ্যের ভবঘুরে মহিলা, করোনা আতঙ্ক ছড়াল বারাসতে
এর আগে করোনা আতঙ্কে ভিনরাজ্য থেকে অনেকেই ফিরেছেন। কিন্তু লকডাউন জারি হওয়ার পর এখন কিন্তু অন্য রাজ্য থেকে এ রাজ্যে প্রবেশ আইনত নিষিদ্ধ। সোমবার কলকাতা থেকে ভিডিও কনফারেন্সে সমস্ত জেলা প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকে জেলায় ভিনরাজ্যে কর্মরত শ্রমিকরা প্রবেশ রুখতে উত্তর দিনাজপুরের পুলিশ সুপারকে সতর্ক থাকার নির্দেশ নির্দেশ দেন। তারপরেও কীভাবে রায়গঞ্জে পৌঁছে গেলেন বিহারে কর্মরত বীরভূমের শ্রমিকরা? প্রশ্ন উঠছে।