সংক্ষিপ্ত

রাজ্যের পরিস্থিতি খুঁটিয়ে দেখতে ইতিমধ্যেই বেসরকারি হাসপাতাল গুলোর সঙ্গে তড়িঘড়ি বৈঠক সেরেছে স্বাস্থ্য দফতর। যে সমস্ত বেসরকারি হাসপাতালে কোভিড রোগীর চিকিৎসা হবে সেখানে কতগুলো শয্যা, ভেন্টিলেটর আছে তার যথাযথ তালিকা স্বাস্থ্য দফতরে পাঠানো র নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

কোভিড(Covid) পরিস্থিতির রেশ যেন কিছুতেই কাটছে না ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের চোখ রাঙানির পরই এবার ওমিক্রনের দাপট(Omicron)। গোটা বিশ্ব জুড়ে ওমিক্রনকে ঘিরে উদ্বেগ ক্রমশ বাড়ছে বই কি কমছে। এই রাজ্যেও থাবা বসিয়েছে করোনার তৃতীয় তরঙ্গ ওমিক্রন। তাই রাজ্যের পরিস্থিতি খুঁটিয়ে দেখতে ইতিমধ্যেই বেসরকারি হাসপাতাল(Private Hospital) গুলোর সঙ্গে তড়িঘড়ি বৈঠক সেরেছে স্বাস্থ্য দফতর(Dept Of Health)। করোনার প্রথম স্রোত থেকেই বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালকে করোনা রোগীদের জন্য নোডাল হাসপাতাল হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। মাঝখানে করোনার দাপট কিছুটা স্থিতিশীল হওয়ার দরুণ বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালের চিত্রও খানিকটা বদলে ছিল। কিন্তু ওমিক্রনের দাপট যেভাবে বাড়ছে তাতে আবার যে পুরনো পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে সেই বিষয় কিছুটা আঁচ করছে স্বাস্থ্য দফতর। আর এই বিষয়টাকেই সামনে রেখে করোনার তৃতীয় তরঙ্গ ওমিক্রনের সঙ্গে নতুন লড়াইতে চিকিৎসার  জন্য বেলেঘাটা আইডি হাসপাতের কী ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত সেই বিষয় হাসপাতলকে একগুচ্ছ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এই বৈঠকে(Guideline Announced In Meeting)। 

ওমিক্রন মোকাবিলায় রাজ্যের যে হাসপাতালগুলো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে সগুলোর মধ্যে রয়েছে আমরি, বেলভিউ, উঝল্যান্স, সিএমআরআি, চার্ণক ও ফর্টিসের মত বেসরকারি হাসপাতলগুলো। এগুলো ছাড়াও রয়েছে আরও বেশ কিছু বেসরকারি হাসাপাতাল। যেমন রুবি, আইএলএস ও আরএটেগর। এই সকল হাসপাতাল গুলোর তরফের উচ্চপদস্থ কর্তারা স্বাস্থ্য দফতরের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। সেখানে উপস্থিত একজন স্বস্থ্যকর্তার মতে, এই মুহুর্তে বড় হাসপাতালগুলোতে ৩ টি আলাদা ওয়ার্ড করা সম্ভব নয়। রাজ্যের স্বস্থ্য সচিব সঞ্জয় বনশাল ও স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয়কুমার চক্রবর্তীর উপস্থিতিতেই এই বৈঠকের আয়োজন করা হয়। সেই বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুয়ায়ীই কোভিড, ওমিক্রন আক্রান্ত এবং ওমিক্রন সন্দেহে ভর্তি রোগীদের ৩ টি পৃথক ওয়ার্ডে রাখা হবে। একটিতে থাকবে সাধারণ কোভিড আক্রান্ত রোগী,অন্যটিতে থাকবে ওমিক্রন সন্দেহে ভর্তি হয়েছে এমন রোগী এবং তৃতীয়টিতে থাকবে ওমিক্রন পজেটিভ রোগী।  ওমিক্রন সংক্রমন যাতে বেশী ছড়িয় না যায় সেই জন্য এই ধরনের কোভিডের অন্য ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত অন্য রোগীর থেকে পৃথবভাবে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বৈঠকে। 

আরও পড়ুন-Mamata On Omicron: রাজ্যে জারি হতে পারে কড়া কোভিড বিধি, ইঙ্গিত দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

আরও পড়ুন-দ্রুত কোভিড-১৯ টিকা দিতে হবে, ভোটমুখী রাজ্য নিয়ে কেন্দ্রকে সতর্ক করল নির্বাচন কমিশন

আরও পড়ুন-Beleghata ID: ওমিক্রন ঠেকাতে বেলেঘাটা আইডি প্রস্তুত, চিকিৎসায় ছাড় আরও ৬টি হাসপাতালকে

এই বৈঠকে আরও বলা হয়েছে, ওমিক্রন আক্রান্ত রোগীর রিপোর্ট যদি ৪৮ ঘন্টার মধ্যে দুবার নেগেটিভ আসে তাহলেই তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছাড়া হবে। অন্যথায় নয়। যতক্ষণ পর্যন্ত না রিপোর্ট আসছে ততক্ষণ রোগীকে হাসপাতেলই থাকাতে হবে। যে সমস্ত বেসরকারি হাসপাতালে কোভিড রোগীর চিকিৎসা হবে সেখানে কতগুলো শয্যা, ভেন্টিলেটর আছে তার যথাযথ তালিকা স্বাস্থ্য দফতরে পাঠানো র নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।