সংক্ষিপ্ত

দেশজুড়ে ওমিক্রনের বাড়বাড়ন্ত নিয়ন্ত্রণে রাখতেই স্বাস্থ্য দফতরের তরফে এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, বিদেশ থেকে আসা কোনও যাত্রীর কলকাতা বিমানবন্দরে করোনা পরীক্ষা বাধ্যতামূলক। আর যদি তাঁর রিপোর্ট পজিটিভ আসে তাহলে তাঁকে আর গন্তব্যে যেতে দেওয়া হবে না। 

দেশে ওমিক্রনে (Omicron) আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় প্রতিদিনই বেড়ে চলেছে। দেশের ১২টি রাজ্যে ইতিমধ্যেই থাবা বসিয়েছে ওমিক্রন। অবশ্য রাজ্যে (West Bengal) এখন ওমিক্রনের বাড়বাড়ন্ত তেমন দেখা যায়নি। কিন্তু, তা হলেও সতর্কতার দিক থেকে কোনও খামতি রাখতে চায় না প্রশাসন। বিদেশ (Foreign) থেকে আসা একাধিক যাত্রীর শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে ইতিমধ্যেই। এখনও পর্যন্ত তাঁরা ওমিক্রন পজিটিভ কি না, তা নিশ্চিত করা যায়নি। আর এই পরিস্থিতিতেই রাজ্যে নতুন নির্দেশিকা জারি করল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর (West Bengal Health Department)। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, বিদেশ থেকে আসা কোনও যাত্রীর কলকাতা বিমানবন্দরে (Kolkata Airport) করোনা পরীক্ষা (Corona Test) করার পর যদি দেখা যায় যে তিনি আক্রান্ত তাহলে তাঁকে গন্তব্যে যেতে দেওয়া হবে না। বরং আইসোলেশনে রাখা হবে।

দেশজুড়ে ওমিক্রনের বাড়বাড়ন্ত নিয়ন্ত্রণে রাখতেই স্বাস্থ্য দফতরের তরফে এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, বিদেশ থেকে আসা কোনও যাত্রীর কলকাতা বিমানবন্দরে করোনা পরীক্ষা বাধ্যতামূলক। আর যদি তাঁর রিপোর্ট পজিটিভ আসে তাহলে তাঁকে আর গন্তব্যে যেতে দেওয়া হবে না। বরং পৃথকভাবে তাঁকে আইসোলেশনে থাকতে হবে। ঝুঁকিপ্রবণ দেশ থেকে এলে, বিমানবন্দরে নামা মাত্র নমুনা সংগ্রহের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ হলে তাঁর সোয়াবের নমুনা সংগ্রহ করে তা জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য পাঠানো হবে। আর যদি মনে হয় যে ওই ব্যক্তি ওমিক্রনে আক্রান্ত তাহলে তাঁকে অন্য করোনা রোগীদের সঙ্গেও রাখা যাবে না। একেবারেই আলাদা করে রাখা হবে তাঁকে। 

আরও পড়ুন- করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, বড়দিনের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি

তবে শুধুমাত্র আলাদা করে রাখলেই চলবে না। তাঁর শৌচালয়ও পৃথক করে দিতে হবে। আর তিনি যে ঘরে থাকবেন সেই ঘরে পিপিই না পরে কেউ প্রবেশ করতে পারবেন না। আসলে ওমিক্রন কোনও ভাবেই যাতে না ছড়িয়ে পড়ে সেই ব্যবস্থা করার জন্যই স্বাস্থ্য দফতরের তরফে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর কেউ যদিও ওমিক্রন আক্রান্ত হন তাহলে তাঁকে রিপোর্ট নেগেটিভ না আসা পর্যন্ত হাসপাতালেই থাকতে হবে। উপসর্গ না থাকলেও তাঁকে অন্য কোথাও যেতে দেওয়া হবে না। 

গোটা বিশ্বেই এখন উদ্বেগ বাড়াচ্ছে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন। দক্ষিণ আফ্রিকায় সবার প্রথমে এই রোগের হদিশ পাওয়া গিয়েছিল। অবশেষে এই ভ্যারিয়েন্ট এখন সর্বত্রই ছড়িয়ে পড়ছে। ভারতে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ২০০ পার করে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের তরফে রাজ্যগুলির কাছে সতর্কবার্তা পাঠানো হয়েছে। ওমিক্রন নিয়ে ২৩ ডিসেম্বর একটি পর্যালোচনা বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর তার আগেই সতর্কতা হিসেবে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের তরফে এই নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে।