সংক্ষিপ্ত
মহিলা মোর্চার সভানেত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল অগ্নিমিত্রা পলকে। তার জায়গায় আনা হয়েছে তনুজা চক্রবর্তীকে। একই সঙ্গে যুব মোর্চার রাজ্যসভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে, সোমিত্র খাঁকে
কলকাতা পুরসভা নির্বাচনে দলের ভরাডুবির পরই রাজ্য বিজেপিতে (BJP) বড় রদবদল। রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় (Locket Chatterjee)। রাজ্য বিজেপির সহসভাপতি হলেন সৌমিত্র খা (Soumitra Khan)। মহিলা মোর্চার দায়িত্ব থেকে সরিয়ে অগ্নিমিত্রা পলকে (Agnimitra Pul) রাজ্য বিজেপি-র সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে।
মহিলা মোর্চার সভানেত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল অগ্নিমিত্রা পলকে। তার জায়গায় আনা হয়েছে তনুজা চক্রবর্তীকে। একই সঙ্গে যুব মোর্চার রাজ্যসভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে, সোমিত্র খাঁকে। তার জায়গায় দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, ইন্দ্রনীল খাঁ। রাজ্য বিজেপির সারাধারণ সম্পাদকের পদ খোয়ালেন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু।
তবে বিজেপি সূত্রের খবর, রাজ্য বিজেপিতে এই রদবদলের পিছনে কোনও রাজনৈতিক কৌশল নেই। চলতি বছর সেপ্টেম্বরেই রাজ্য বিজেপির সভাপতি দায়িত্ব পেয়েছেন সুকান্ত মজুমদার। বিজেপির নিয়ম অনুযায়ী তিনি চাইলে রাজ্য কমিটিতে রদবদল করতেই পারেন। সেই অনুযায়ী পুরভোটের ব্যস্ততা মিটেযেতেই এই রদবদল বলেও দাবি করা হয়েছে বিজেপি সূত্রের। সূত্রের খবর আগামী দিনে তিনি জেলাস্তরের সভাপতির পদেও পরিবর্তন করতে পারেন।
বুধবার বিজেপির এই রদবদলে বিজেপির রাজ্য সহসভাপতির পদ পেলেন জগন্নাথ সরকার। সৌমিত্র খাঁয়ের সঙ্গে তিনিও এই দায়িত্ব পালন করবেন। রাজ্য বিজেপির সহসভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়ে জয়প্রকাশ মজুমদার ও সুভাষ সরকারকে।
অন্যদিকে অর্জুন সিং আগে থেকেই রাজ্য বিজেপির সহসভাপতির পদে ছিলেন। এবার তাঁর সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবেন খগেন মুর্মু। তবে তাঁকে তফসিলি মোর্চা থেকে সরিয়ে সহ-সভাপতি করা হয়েছে।
এক নজরে দেখে নিন কে কোন পদে রয়েছেঃ
সহসভাপতিঃ জগন্নাথ সরকার, অর্জুন সিং, রথীন বসু, খগেন মুর্মু, শ্যামাপ্রসাদ মণ্ডল, সঞ্জয় সিং, অনিন্দ্য বন্দ্যোপাধ্যায়, সৌমিত্র খাঁ, কৃষ্ণ বৈদ্য, সমিত দাস, মধুছন্দা কর।
সাধারণ সম্পাদক- লকেট চট্টোপাধ্যায়, জ্যোতির্ময় সিং মাহাত, অগ্নিমিত্রা পল, দীপক বর্মন, জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়।
সম্পাদক- শঙ্কর ঘোষ, গোপাল সাহা, গৌরী শঙ্কর ঘোষ, ফাল্গুনি পাত্র, প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল, অশোক দিন্দা, বিমান ঘোষণ, নবারুণ নায়েক, সোনালি মুর্মুস লক্ষ্ণণ ঘোড়ুই, দীপাঞ্জন গুহ, উমেশ রাই।
প্রধান মুখপাত্রঃ শমীক ভট্টাচার্য, মুখপাত্র, জয়প্রকাশ মজুমদার। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন মোহিত রায়, শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী, সম্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়, বিমলশঙ্কর নন্দ, দেবজিৎ সরকারসহ অনেকে।
মিডিয়া প্যানেলিস্ট- অর্চনা মজুমদার, দীপ্তিমান সেনগুপ্ত, কেয়া ঘোষ, রাজলক্ষ্মী বসু, সজল ঘোষ, অরুণ শাহ, রাজর্ষি লাহিড়ী। পলাস অধিকারী, তমসা চট্টোপাধ্যায়।
মোর্চার সভাপতি- তনুজা চক্রবর্তী
তফসিলি জনজাতি- জোয়েল মুর্মু, অনগ্রসর শ্রেণীর মোর্চা- অজিত দাস
কিষাণ মোর্চা- মহাদেব সরকার
সংখ্যালঘু মোর্চা- চার্লস নন্দী
মিডিয়া বিভাগের দায়িত্বে রয়েছেন তুষারকাণ্ডি ঘোষ. সপ্তর্ষী চৌধুরী, কালীচরণ শা।
এদিন রাজ্য বিজেপির পক্ষ থেকে যে নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে তাতে সম্পাদক হিসেবে রয়েছে দীপক বর্মন, শিশিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ, গোপাল ঘোষ, ফাল্গুনি পাত্র। প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল ও অশোক দিন্দার দায়িত্ব আগের তুলনায় আরও বাড়ান হয়েছে।