সংক্ষিপ্ত

ফের রাজ্য়ে রেকর্ড ভাঙা সংক্রমণ

নববর্ষের দিন দৈনিক সংক্রমণ প্রায় ৭,০০০-এ পৌঁছে গেল

ক্রমশ চাপ বাড়ছে চিকিৎসাধীন রোগীরও

এই অবস্থায় সেফ হোমের সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে

 

ফের রাজ্য়ে রেকর্ড ভাঙা সংক্রমণ। বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল), নববর্ষের দিন দৈনিক সংক্রমণের সংখ্য়া ৬,৭৬৯-এ পৌঁছে গেল। চলতি সপ্তাহের শুরুতেই ৪ হাজার পার করেছিল দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা। তারপর আরও একবার ভেঙে গিয়েছিল সেই রেকর্ড। তারপর এদিন আবার এক রেকর্ড ভাঙা করোনা সংক্রমণের সাক্ষী থাকল বাংলা। এর ফলে বাংলার মোট কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৬,৩০,১১৬ জন।

এদিন রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর থেকে যে কোভিড বুলেটিন প্রকাশ করা হয়েছে, সেই বুলেটিন অনুযায়ী গত ২৪ ঘন্টায় রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ২২ জনের। এর মধ্যে কলকাতার থেকে ৭ জনের নাম রয়েছে। উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণায় কোভিড জনিত কারণে মৃত্যুর সংখ্যা যথাক্রমে ৬ ও ৫। বস্তুত এমন একটিও জেলা নেই যেখানে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা বাড়ছে না। এর মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগণার। দুই জেলায় এদিন নতুন সংক্রমণ নথিভুক্ত হয়েছে যথাক্রমে ১৬১৫ ও ১৩৫৪ জন।

সবথেকে যেটা উদ্বেগের বিষয়, তা হল চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা। এদিন রাজ্যের চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৬,৯৮১-তে। করোনার প্রথম তরঙ্গে সর্বোচ্চ চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা ছিল ৩৭ হাজারের বেশি। এই অবস্থায় হাসপাতালে কোভিড শয্যার অভাব দেখা দিতে শুরু করেছে। স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন বলছে রাজ্যে মোট ৫৬ টি কোভিড হাসপাতাল আছে, আর কোভিড রোগীদের জন্য চিহ্নিত করা শয্যার সংখ্যা ৭,৪২৮। এরমধ্যে এই মুহূর্তে ফাঁকা আছে ৩৪ শতাংশ শয্যা। ৭,৪২৮টি কোভিড শয্যার মধ্যে আইসিউইউ বা এইচডিইউ শয্যার সংখ্যা, ১,৭৯৬। আর রাজ্যের কোভিড হাসপাতালগুলিতে মোট ভেন্টিলেটর আছে ৫২৫টি।

এই অবস্থায়, হাসপাতালগুলিরউপর চাপ কমাতে রাজ্য ফের হোম কোয়ারেন্টাইন, সেফ হোম-এর মতো ব্যবস্থার পরামর্শ দিচ্ছে। অনেক হাসপাতালে কয়েকদিন আগেও কোভিড রোগী না থাকায়, কোভিড শয্যায় অন্য রোগী ভর্তি করা হয়েছিল। হাসপাতালগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সেই রোগীরা সুস্থ হয়ে উঠলেই ওই শয্যাগুলি ফের কোভিড রোগীদের জন্য রাখতে হবে। বেশ কয়েকটি হাসপাতালের পক্ষ থেকে বিভিন্ন হোটেলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে বলেও জানা গিয়েছে। হোটেলের কক্ষে সেফ হোম তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছে। এই মুহূর্তে রাজ্যের সেফ হোমগুলিতে মোট ১১,৫০৭টি শয্যা রয়েছে। এই মুহূর্তে ভর্তি আছে ৪৬টি শয্যা। আর হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন ৯,৮৩৯ জন কোভিড রোগী।