সংক্ষিপ্ত

 

  • আসানসোলে কাজ করতেন তিনি
  • বাড়ি ফিরে করোনায় আক্রান্ত ভিনরাজ্যের শ্রমিক
  • ঘটনায় নড়েচড়ে বসল প্রশাসন
  • আতঙ্কিত শহরের মানুষ
     

কাজ করতেন আসানসোলে। ঝাড়খণ্ডে ফিরে গিয়ে করোনা আক্রান্ত হলেন এক শ্রমিক। আক্রান্তের সংস্পর্শে এসেছেন, এমন পাঁচজন চিহ্নিত করেছে প্রশাসন। ৩ জন ভর্তি আসানসোল জেলা হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ডে। বাকি দু'জনকে আপাতত ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।

আরও পড়ুন: প্রেগন্যান্সি পরীক্ষার মতো স্ট্রিপ বলবে শরীরে করোনার উপস্থিতি, ২ বাঙালি বিজ্ঞানীর কামাল

জানা গিয়েছে, আসানসোলে পরিবহণ সংস্থায় অফিসে কাজ করতেন ঝাড়খণ্ডের এক শ্রমিক। লকডাউনের মাঝেই ২৮ মার্চ হাজারিবাগে বাড়িতে ফিরে যান তিনি। বাড়ি ফিরে পরেই অসুস্থ পড়লে, তাঁকে ভর্তি করা হয় হাজারিবাগ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। লক্ষণ সন্দেহজনক হওয়ার রোগীর লালারস বা সোয়াব পরীক্ষার জন্য পাঠান চিকিৎসকরা। রিপোর্টে করোনা ধরা পড়েছে। এখন রাঁচির একটি হাসপাতালে ভর্তি আক্রান্ত ব্যক্তি।

আরও পড়ুন: নিজামুদ্দিনকাণ্ডের জের,মসজিদে প্রবেশ করতে পারবেন না বহিরাগতরা

আরও পড়ুন: করোনা মোকাবিলায় বিধায়কই 'স্বাস্থ্যকর্মী', এলাকায় ঘুরছেন থার্মোমিটার হাতে

এদিকে এই ঘটনার কথা জানাজানি হতেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে আসানসোলে। নড়েচড়ে বসেছে জেলা প্রশাসন। আক্রান্ত ব্যক্তি  যে পরিবহণ সংস্থার অফিসে কর্মরত ছিলেন, সেই অফিসটিকে চিহ্নিত করেছে আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ। খোঁজ নিয়ে জানা গিয়েছে, আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেছিলেন পাঁচজন। তাঁদের সকলেই স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হয় আসানসোল জেলা হাসপাতালে। হাসপাতালের সুপার নিখিলচন্দ্র দাস জানিয়েছেন, সামান্য জ্বর ছাড়া তেমন কোনও উপসর্গ নেই। তিনজনকে ভর্তি করা হয়েছে আইসোলেশন ওয়ার্ডে। বাকি দু'জনে বাড়িতেই আলাদা থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। 

হাসপাতাল সূ্ত্রে খবর, শনিবার দুপুরে দুবাই ফেরত এক ব্যক্তি শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে ভর্তি হয়েছেন। শুক্রবার ভর্তি হন মুম্বই ও দিল্লির ফেরত আরও দু'জন। ফলে সবমিলিয়ে এখন আইসোলেশন ওয়ার্ডে পর্যবেক্ষণে রয়েছেন ৬ জন।  তাঁদের সকলেই দুর্গাপুরের হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হবে বলে জানা দিয়েছে।