সংক্ষিপ্ত
- করোনা প্রতিরোধে লকডাউন চলছে রাজ্যে
- আসানসোলে গৃহবন্দি বেশিরভাগ মানুষই
- জনসংযোগের জন্য অভিনব পদক্ষেপ মেয়রের
- চালু করলেন অনলাইন চেম্বার
করোনা আতঙ্কে এখন ঘরবন্দি শহরের বাসিন্দারা। তাঁদের অভাব-অভিযোগ শোনার জন্য সোশ্যাল মিডিয়াকেই হাতিয়ার করলেন আসানসোলের মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি। চালু করলেন অনলাইন চেম্বার।
আরও পড়ুন: ফের দেখা গেল মানবিক মুখ, পরিচারিকা-রিক্সা ও ঠেলাওয়ালাদের ঘরে ফেরাল পুলিশ
বাইরে বেরনোর উপায় নেই। করোনা মোকাবিলায় লকডাউন চলছে রাজ্যে। ঘরবন্দি থাকার কারণে মানুষের দুর্ভোগ আরও বেড়েছে। কেউ হয়তো প্রয়োজনীয় ওষুধ পাচ্ছেন না, তো কোথাও আবার কালোবাজারি অভিযোগ উঠেছে। বছরের অন্য সময়ে আসানসোল পুরনিগমে মেয়রের দপ্তরে গিয়ে নিজেদের সমস্যা কথা জানাতে পারতেন ভুক্তিভোগীরা। কিন্তু এখন সেই সুযোগ নেই, বরং সংক্রমণ রুখতে সকলেই 'সোশ্যাল ডিসট্যান্স' বা 'সামাজিক দূরত্ব' বজায় রাখতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা। কড়া নজরদারি চলছে সর্বত্রই। তাহলে সাধারণ মানুষ যাবেন কোথায়? নিজের ফেসবুকে পেজে লাইভ করে অনলাইন চেম্বার চালু করার সিদ্ধান্ত নিলেন আসানসোলের মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি। তিনি বলেন, 'ফেসবুকে লাইভে আসানসোলের মানুষ নিজেদের সমস্যার কথা জানাতে পারবেন। আমার বিধানসভা কেন্দ্র থেকে যদিও কেউ সাহায্য চান, তাহলেও আমি প্রস্তুত।' উল্লেখ্য, স্রেফ আসানসোলে পুরনিগমের মেয়রই নন, জিতেন্দ্র তিওয়ারি পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়কও বটে।
আরও পড়ুন: এশিয়ানেট নিউজ বাংলার খবরের জের, গাছ থেকে হোম কোয়রান্টিনে পুরুলিয়ার সাত যুবক
বস্তুত, বছরভরই সোশ্যাল মিডিয়ায় অত্যন্ত সক্রিয় থাকেন আসানসোলের মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি। সম্প্রতি তৃণমূল বিধায়কদের ফেসবুক পেজ নিয়ে সমীক্ষা ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোর ওরফে পিক ও তাঁর সহযোগীরা। তালিকায় প্রথম পাঁচে রয়েছেন পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক। তাঁর ফেসবুকে পেজের ফলোয়ারের সংখ্যা ২৫ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। ইনস্টাগ্রাম ও টুইটারেও অ্যাকাউন্ট আছে জিতেন্দ্র তিওয়ারির।