সংক্ষিপ্ত

  • করোনা রুখতে রাজ্য় জুড়ে চলছে লকডাউন 
  •  লকডা়উনে আটকে পরিচারিকা-ঠেলাওয়ালা 
  • এদের বাড়ি বসিরহাট মহকুমার সীমান্ত এলাকায় 
  • এদের প্রত্য়েককে দায়িত্ব নিয়ে ঘরে ফেরাল পুলিশ 

করোনা রুখতে রাজ্য় জুড়ে চলছে লকডাউন। আর তারই মধ্য়ে জরুরী পরিষেবার জন্য়ই শুধু বাইরে যাওয়া যেতে পারে। এদিকে লকডা়উনে আটকে পরিচারিকা-রিক্সা ও ঠেলাওয়ালা। এদের বাড়ি  বসিরহাট মহকুমার  ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের স্বরূপনগরের বিভিন্ন গ্রামে। তাদের ঘরে ফেরাল পুলিশ। 

আরও পড়ুন, ৪জনের বেশি ঢুকতে বাধা শ্মশানে, করোনা রুখতে নয়া বিধি পুরসভার

কাজের সূত্রে গত ১০ বছর লক্ষ্মী শ্যামল রা  কলকাতায় গড়িয়াতে থাকতো এরা কাউর বাড়ির পরিচারিকার কাজ করতো আবার কেউ রিক্সাওয়ালা আবার কলকাতার রাজপথে ঠেলা গাড়ি চালাতে করোণা ও লকডাউন এর জের। প্রায় ৩২ জন মহিলা শিশু পুরুষ এরা আটকে পড়েছিল  গড়িয়াহাটে। স্বরূপনগর থানার পুলিশ আধিকারিক তুষার বিশ্বাস ও অরিন্দম হালদার কাছে এদের আত্মীয়-স্বজন অভিযোগ জানায়। তারা আর গড়িয়াতে থাকতে পারছেনা মালিকপক্ষ তাদেরকে বাড়ি চলে যেতে বলছে। অনেকের বাড়ি পরিচারিকার কাজ ছাড়িয়ে দিয়েছে। রিকশা ও ঠেলা গাড়ি বন্ধ হয়ে গেছে ।যার ফলে একদিকে খাবার সংকট। 

আরও পড়ুন, জলাশয়ের জ্য়ান্ত মাছ এবার আসবে বাড়ি, লকডাউনে প্রতিশ্রুতি রাজ্য মৎস্য উন্নয়ন নিগমের

 অন্যদিকে অর্থনৈতিক সমস্যায় পরেছে ১৩২ জন।প্রত্যেকে নিজের আত্মীয়ের কাছে বাড়িতে ফোন করছে । তারা ঘরে ফিরতে চায় । এই কথা জানাজানি হতে পুলিশের কাছে নির্দিষ্ট ঠিকানা দেয়ার পর । স্বরূপনগর থানার পুলিশ কলকাতার গড়িয়া থেকে ৩২ জন কে আজ রবিবার দুপুর বেলায় সরকারি বাসে করে স্বরূপনগর থানায় নিয়ে আসে । তারপরে তাদের নির্দিষ্ট ঠিকানায় তাদের বাড়িতে পৌঁছে দেয়। পুলিশের মানবিক মুখ দেখে। সরুপনগর ব্লকের বিস্তীর্ণ অঞ্চলের মানুষ বাহবা দিচ্ছেন। এরা নিজের ঘর ফিরে পেয়ে খুশি ফিরে আসা পরিবার থেকে বাসিন্দারা। 

আরও পড়ুন, বাজারে গিয়ে সামাজিক দূরত্ব না মানলে যেতে হবে বেলেঘাটা আইডি, হুঁশিয়ারি মিমির