সংক্ষিপ্ত

 

  •  অক্সিজেনের কালোবাজারিতে তদন্ত অভিযান বারাসাতে
  •   কাঠগড়ায়  অক্সিজেন সাপ্লাইয়ের কোম্পানির মালিক 
  • অক্সিজেন সিলিন্ডারের সঙ্গে রেজিস্টার স্টকের অমিল 
  •  ২৪ ঘন্টার মধ্যে সমস্ত কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে 

 অক্সিজেনের কালোবাজারির অভিযোগে তদন্ত অভিযান চালাল জেলা পুলিশ ও জেলা ড্রাগ কন্ট্রোল। ঘটনাটি ঘটেছে  উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বারাসাত পৌরসভার ১৯ নাম্বার ওয়ার্ড এলাকায় কাজীপাড়া সংলগ্ন (বার্মা কলোনি) সুবর্ণ পত্তনে। কাঠগড়ায়  অক্সিজেন সাপ্লাইয়ের কোম্পানির মালিক।

আরও পড়ুন, ১২ ঘণ্টা ঝড়-বৃষ্টিতে বাড়ি উঠোনেই পড়ে কোভিড দেহ, মাতৃদিবসে মায়ের শেষযাত্রায় গেলেন কন্যা   

 

 


প্রসঙ্গত সারাদেশ জুড়েই অক্সিজেনের আকাল। অক্সিজেনে অভাবে শ্বাসকষ্টে ভুগে চরম যন্ত্রণা পেয়ে প্রাণ হারাচ্ছে একের পর এক কোভিড রোগী। দিল্লির ভয়াবহ ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। এদিকে পশ্চিমবঙ্গেও নেই পর্যাপ্ত অক্সিজেন। যতটুকু আছে তা দিয়ে কোভিডের সঙ্গে মোকাবিলা করা সম্ভব হবে বলে আশঙ্কা। তাই সোমবার মন্ত্রীসভায় শপথের পর নবান্নে এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় নিজে জানিয়েছেন, 'প্রতিটি মেডিক্যাল কলেজকে অক্সিজেনে সেন্টার করা নির্দেশ দিচ্ছি।  বহু কর্পোরেট সেক্টর আমাদের সাহায্য করেছে। অনেকেই ইতিমধ্য়ে অক্সিজেন দিয়েছে। আমাদের প্রয়োজন ৫৫০ মেট্রিক টন অক্সিজেন।' ইতিমধ্য়েই অশোকনগরে  তৈরি হচ্ছে অক্সিজেন প্ল্যান্ট। ৫০০ লিটার পার মিনিট অক্সিজেন প্ল্য়ান্ট বানানো হবে। এমন এক ভয়াবহ পরিস্থিতিতে  অক্সিজেনের কালোবাজারি লাফিয়ে বেড়েছে। প্রশাসন এবিষয়ে সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছে। আর এমনই এক বিপদকালীন পরিস্থিতিতেই কালোবাজারির খবর মেলে বারাসাতের অক্সিজেন সাপ্লাইয়ের কোম্পানির মালিকের বিরুদ্ধে।

আরও পড়ুন, শুধু পশ্চিমবঙ্গেই প্রায় সাড়ে ১২ হাজার মৃত্যু, শ্মশানেও দেওয়া যাচ্ছে না সামাল, কী বলছে পুরসভা 

 


মা মেডিকেল সেন্টার এন্ড অক্সিজেন সাপ্লায়ার  নামে ওই কোম্পানির মালিকের একটি গোডাউনে আচমকা হানা দিয়ে তল্লাশি  চালায়। পুলিশ সূত্রে খবর জানা গেছে কালোবাজারির অভিযোগ রয়েছে এই  অক্সিজেন সাপ্লাই ইউনিট এর মালিকের বিরুদ্ধে। এর পরেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে আচমকা হানা দেয় এই অক্সিজেন সাপ্লাইয়ের গোডাউনের ডেরায়। সেখানে অসঙ্গতি মেলে গোডাউনে উপস্থিত অক্সিজেন সিলিন্ডারের সঙ্গে রেজিস্টার স্টকের  কোন মিল নেই। ড্রাগ কন্ট্রোলের তরফ থেকে শোকজ লেটার ধরানো হয়েছে এই কোম্পানির মালিককে। ২৪ ঘন্টার মধ্যে সমস্ত কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ পেয়েই অক্সিজেন কালো বাজারি রুখতে জেলা পুলিশ ও জেলা ড্রাগ কন্টেলের যৌথ উদ্যোগে এদিন অভিযান চলে বারাসতের বিভিন্ন এলাকায় । সোমবার দুপুরে কালো বাজারি রুখতে বারাসাত জেলা পুলিশের ডিএসপি জেলা ইনফসমেন্ট ব্রাঞ্চের অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা রোহেদ শেইখ ও জেলা ড্রাগ কন্টেলের আধিকারিক অনুমেষ সরকারের নেতৃত্বেই এই অভিযান চলেছে।