- Home
- West Bengal
- শুধু পশ্চিমবঙ্গেই প্রায় সাড়ে ১২ হাজার মৃত্যু, শ্মশানেও দেওয়া যাচ্ছে না সামাল, কী বলছে পুরসভা
শুধু পশ্চিমবঙ্গেই প্রায় সাড়ে ১২ হাজার মৃত্যু, শ্মশানেও দেওয়া যাচ্ছে না সামাল, কী বলছে পুরসভা
- FB
- TW
- Linkdin
রবিবারের স্বাস্থ্য ভবনের করোনা বুলেটিন অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গে একদিনে করোনা নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা ১২৪ জন এবং এর মধ্যে কলকাতায় একদিনে মৃত্যু সংখ্যা ২৮ জন। কলকাতায় মোট মৃতের সংখ্যা ৩,৬৭৮। উত্তর ২৪ পরগণায় মৃত্যু হয়েছে ৩৪ জনের।
রবিবারের স্বাস্থ্য ভবনের করোনা বুলেটিন অনুযায়ী, একদিনে কলকাতায় করোনার নতুন ঢেউয়ে আক্রান্তের সংখ্যা ৩৯৯ জন থেকে বেড়ে ৩৯৬৬ জন এবং কলকাতায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২২৬,৮৮৩ জন। রাজ্যে এই মুহূর্তে মোট আক্রান্ত ৯৯৩, ১৫৯ জন।
করোনার নতুন ঢেউয়ে উত্তর ২৪ পরগণায় একদিনে আক্রান্ত ৮৮৭ থেকে বেড়ে ৩৯৯৭ জন। চিন্তা বাড়িয়ে সব জেলা সহ কলকাতাকেও পিছনে ফেলে করোনায় প্রথম স্থানে ফের উত্তর ২৪ পরগণা । একদিনে বাংলায় করোনা আক্রান্ত ১৯ হাজার ৪৪১ জন।
রবিবারের স্বাস্থ্য ভবনের করোনা বুলেটিন অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গেএই অবধি মোট অ্য়াক্টিভ আক্রান্তের সংখ্য়া বেড়ে ১২৬, ০২৭ জন।
রবিবারের স্বাস্থ্য ভবনের করোনা বুলেটিন অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গে একদিনে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৮, ৪৫৪ জন। তাই বাংলায় কোভিডজয়ীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৮৫৪ , ৮০৫ জন। সুস্থতার হার ৯৭.৬৪ শতাংশ থেকে কমে ৮৬.০৭ শতাংশ।
মেরামতির জন্য আগামী ৪৮ ঘন্টা বন্ধ নিমতলা মহাশ্মশান। আজ থেকে ৪৮ ঘন্টা নিমতলা মহাশ্মশানে শুধু করোনার মৃতদেহ সৎকার করা হবে। এমনটাই জানিয়েছে কলকাতা পুরসভা। এরপর মঙ্গলবার সকাল ৬ টা থেকে ফের অন্য মৃতদের সৎকার হবে।
শহরে মাত্র ১০ টি চুল্লিতে করোনার মৃত দেহ দাহ করা হয়। এর মধ্যে ধাপায় ৬ টি, নিমতলায় ২টি, বিরজুনালায় ২ টি চুল্লি রয়েছে। একটি চুল্লিতে দিনে ১৫ টি করে দেহ দাহ করা হয়। একটি দেহ দাহ করতে ১ ঘন্টা সময় লাগে।
গত একমাসে দেখা গিয়েছে কোনও কোনও ক্ষেত্রে করোনা রোগীর মত্যুর ২০ ঘন্টা পর্যন্ত পড়ে ছিল দেহ। আবার কোথাও তা পেরিয়েছে ২৪ ঘন্টা। তাই এবার থেকে করোনার মৃতদেহ পরিবারের কাছে তুলে দেওয়া হবে। কিন্তু ওই মৃতদেহ বাড়ি নেওয়া যাবে না, সরাসরি সৎকার করতে হবে বলে নির্দেশ স্বাস্থ্য দফতরের।
একদিনে ১৫ টির বেশি দেহ দাহ করা সম্ভব হয়না। জানা গিয়েছে, করোনা দেহ সৎকারের চাপ সামলাতে দুটি নয়া শ্মশান এবং এক কবরস্থান তৈরি করছে কলকাতা পুরসভা।