সংক্ষিপ্ত

  • করোনার কোপ পড়ল এবার এক্সপ্রেস ট্রেন চলাচলেও 
  • ট্রেনটি শুক্রবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে  
  • পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ঝাড়খন্ড মিলিয়ে অন্তত ১৬ ট্রেন বাতিল
  • এক্সপ্রেস ট্রেন বন্ধের জেরে  চূড়ান্ত ভোগান্তির মুখে যাত্রীরা 


লোকাল ট্রেনের পরে এবার করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে কোপ পড়ল এক্সপ্রেস ট্রেন চলাচলেও। সেইমতো  গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রাথমিকভাবে লালগোলা – কলকাতা শাখা ভায়া জিয়াগঞ্জ হয়ে ধনধান্য এক্সপ্রেস বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিল পূর্ব রেল। এই ট্রেনটি শুক্রবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য চলাচল বন্ধ থাকবে। চূড়ান্ত ভোগান্তির মুখে রেলযাত্রীরা।

 

 

আরও পড়ুন, বেধড়ক মারে BJP কর্মীর মৃত্যু, পরিবারকে শারীরিক নিগ্রহ, হিংসার মামলায় বেঞ্চ গঠন হাইকোর্টের  


  মুর্শিদাবাদ রেলওয়ে প্যাসেঞ্জার অ্যাসোশিয়েসানের সম্পাদক এ আর খান এদিন বলেছেন , 'অতিমারীর হাত থেকে মানুষ কে রক্ষা করতে রেল একটি বড় পদক্ষেপ করেছে। এই সিদ্ধান্ত কে আমরা স্বাগত জানিয়েছি ।এই ব্যাপারে রেল আগে থেকেই মানুষ সচেতন করতে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে ।' লালগোলা-কলকাতা শাখার ধনেধান্য এক্সপ্রেস অর্থাৎ ০৩১১৮- ডাউন ট্রেনটি লালগোলা থেকে সপ্তাহের সোমবার , বুধবার , শুক্রবার এবং শনিবার সকাল সাত  পাঁচ মিনিটে চিতপুর স্টেশানের উদ্দেশ্যে রওনা দিত। অপর দিকে সপ্তাহের রবিবার , মঙ্গলবার এবং বৃহস্পতিবার বিকেল ৪ টে ১০ মিনিটে চিতপুর থেকে লালগোলার উদ্দেশ্যে রওনা দিত ওই ট্রেন টি । ওই ট্রেনে করে জেলার মানুষ সকালে রওনা দিয়ে অফিস কিংবা অন্যান্য কাজ সেরে অতি সহজেই ফের ওই ট্রেনে করে বাড়ি ফিরতেন। কিন্তু করোনা আবহে ওই ট্রেনটি আপাতত শুক্রবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। এই ব্যাপারে রেল স্টেশনে প্রচার শুরু করেছে।

আরও পড়ুন, কোভিড রুখতে ফিল্ড হাসপাতাল, এই নম্বরে ফোন করলেই অক্সিজেন নিয়ে বাড়িতে পৌঁছবে অ্য়াম্বুলেন্সও  

 

 

 সুত্র মারফৎ জানা গিয়েছে শুধু ধনেধান্য এক্সপ্রেস নয় পরিস্থিতির কথা ভেবে ওই শাখার আরও কিছু ট্রেন চলাচলে কোপ পোড়তে পারে। এই ব্যাপারে নিত্যযাত্রী সারজামান শেখ সঞ্জয় সরকার , স্বাগতা দাস বলেন , ' আমাদের যাতায়াতে সমস্যা হবে বটে কিন্তু রেল যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা গ্রহন যোগ্য । করোনা পরিস্থিতিতে এ ছাড়া কোন পথ নেই।' প্রসঙ্গত, রেল সূত্রে খবর,  পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ঝাড়খন্ড মিলিয়ে অন্তত ১৬ টি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। ৭ মে থেকে পরবর্তী নির্দেশ না হওয়া পর্যন্ত এই ট্রেনগুলি বাতিল করা হয়েছে। পূর্ব রেলের এক প্রবীণ আধিকারিকের মতে, এই ট্রেনগুলি গত বছর করোনার সময়ে চালানো হয়েছিল। কিন্তু কখনও খুব বেশি যাত্রী পাওয়া যায়নি। এদিকে একুশে কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি বাংলায়। যার জেরে যাত্রী সংখ্যা এবারও অনেক কমে গিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে রেলওয়ে এই ট্রেনগুলি বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।