সংক্ষিপ্ত
- ভোট পরবর্তী হিংসার মামলায় বেঞ্চ গঠন করল কলকাতা হাইকোর্ট
- কেন্দ্রীয় দলও দেখা করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে
- কেন্দ্রীয় দলের রাজ্যে সফরের দিনেই নৈহাটিতে বিজেপি কর্মীর মৃত্যু
- বারাসাতে বিজেপি কর্মীদের বাড়ি ভাঙচুর,পরিবারের শারীরিক নিগ্রহ
ভোট পরবর্তী রাজনৈতিক হিংসা বেড়েই চলেছে। নৈহাটিতে আরও এক বিজেপি কর্মীর মৃত্যু এবং ভেঙে চুরমার করে দেওয়া হয়েছে বারাসাতে বিজেপি নেতা-কর্মী -সমর্থকদের বাড়ি। এমনই পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক হিংসা নিয়ে রিপোর্ট তলব করেছিল অমিত শাহের মন্ত্রক। ইতিমধ্য়েই কলকাতায় এসেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের ৪ সদস্যের প্রতিনিধি দল। রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে বৈঠকও করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অতিরিক্ত সচিব গোবিন্দ মোহন। এবার রাজনৈতিক হিংসা বৃদ্ধিতে ভূমিকা নিল কলকাতা হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন, ভোট পরবর্তী হিংসা, রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের ৪ সদস্যদের প্রতিনিধি দলের
৫ বিচারপতিকে নিয়ে বিশেষ বেঞ্চ গঠন করেছেন প্রধান বিচারপতি
একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই ক্রমশ বেড়েই চলেছে রাজনৈতিক হিংসা। এবার ভোট পরবর্তী হিংসা সংক্রান্ত মামলায় বিশেষ বেঞ্চ গঠন করল কলকাতা হাইকোর্ট। পাঁচ জন বিচারপতিকে নিয়ে বিশেষ বেঞ্চ গঠন করেছেন প্রধান বিচারপতি। ভোট পরবর্তী হিংসার ইস্যুতে ইতিমধ্য়েই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে বিজেপি। দলের মুখপাত্র তথা আইনজীবী গৌরব ভাটিয়া সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজ্যের আইন শৃঙ্খলার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আসা স্বারাষ্ট্র মন্ত্রকের চার সদস্যের প্রতিনিধি দল শুক্রবার দেখা করেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে। রাজভবন সূত্রের খবর এদিন দীর্ঘ সময় তাঁরা রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন। গতকালই দিল্লি থেকে এসেছেন প্রতিনিধি দলের চার সদস্য। প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে রয়েছেন মন্ত্রকের অতিরিক্ত সচিব গোবিন্দ মোহন এবং রয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও।
কেন্দ্রীয় দলের রাজ্যে আসার দিনেই নৈহাটিতে বিজেপি কর্মীর মৃত্যু
কেন্দ্রীয় দলের রাজ্য সফরের দিনেই নৈহাটি বিধানসভার বেনেপুকুর এলাকায় বিজেপি কর্মীর অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। জানা গিয়েছে, বছর আঠাশের ওই বিজেপি কর্মীর নাম সন্তু মন্ডল। ২ মে দুষ্কৃতীরা তাঁর বাড়িতে চড়াও হয়ে তাঁকে বেধড়ক মারধর করে এবং ভাঙচুর চালায় বাড়িতেও। বরাবরের মতোই এই ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠেছে তৃণমূলের দিকে। যদিও তৃণমূল এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। নৈহাটি শহর তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা সনৎ দে জানিয়েছেন, 'প্রশাসন মৃতদেহের ময়না তদন্ত করে দেখছে। রিপোর্ট আসলে সব বোঝা যাবে।' তবে ওই বিজেপি কর্মীর মৃত্যুতে পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ,' ওই মারধরের ঘটনার পর সন্তু অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাঁকে বৃহস্পতিবার নৈহাটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর ফের দুষ্কৃতীরা তার ওপর হামলা চালায়। দুষ্কৃতীদের হাত থেকে বাঁচতে গিয়ে দৌড়ে পালাতে যায় ওই বিজেপি কর্মী। এরপেরই ফের সন্তুকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে।
আরও পড়ুন, যাদবপুরের BJP প্রার্থী রিংকু নস্করের বাড়িতে হামলা, কাঠগড়ায় তৃণমূল
বারাসাতে বিজেপি নেতা-কর্মী -সমর্থকদের বাড়ি ভাঙচুর-পরিবারের শারীরিক নিগ্রহ
অপরদিকে, বারাসাতে ভেঙে চুরমার করে দেওয়া হয়েছে বিজেপি নেতা-কর্মী -সমর্থকদের বাড়ি। বৃহস্পতিবার রাতে বারাসাতের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে কানাপুকুর এলাকায় উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলা অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের সহ সভাপতি উৎপল রায়ের বাড়ি আক্রমণ ও ভাঙচুর চালায় একদল দুষ্কৃতী। এলাকার আরও পাঁচ -ছটি বাড়িতে চলে একইধরণের তান্ডব। বহুমূল্য জিনিস ভাঙচুর করে প্রাণে মারার হুমকি দেওয়া হয়। অভিযোগ আক্রান্ত পরিবারগুলির সদস্যদের নিগ্রহ করা হয় শারীরিক ভাবে।যে ছটি বাড়িতে ভাঙচুর চলে তারমধ্যে এবিভিপি নেতা উৎপল রায়ের বাড়িতে যেন দুষ্কৃতীদের রোষ ছিল সবচেয়ে বেশি। উৎপল রায় জানান,সুকুমার,সমীর দাস,কনক অধিকারী,সঞ্জীব অধিকারী ,সীমান্ত অধিকারী ,বাপি প্রামানিক,অজয় অধিকারী সহ এলাকার পরিচিত তৃণমূল মুখ সহ শতাধিক দুষ্কৃতী রাতের অন্ধকারে হামলায় অংশ নিয়েছিল। এলাকার প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর ও পৌরসভার প্রশাসক মন্ডলীর সদস্য চম্পক দাস জানান, এক শ্রেণীর অবাধ্য কর্মীর বলগাহীন আচরণ জন্য দল দায় নিতে নারাজ, পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন, 'ডবল সেঞ্চুরি' হাঁকাতেই BJP কর্মীদের উপর পর পর হামলা-পিটিয়ে খুনের অভিযোগ, কাঠগড়ায় TMC