সংক্ষিপ্ত

অনলাইনে আবেদন করলেই মদ চলে আসবে আপনার বাড়ির দরজায়। এমনই ব্যবস্থা করা হচ্ছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে।

করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে বিশেষ সিদ্ধান্ত। বাড়িতে বসেই মিলবে মদ। অনলাইনে আবেদন করলেই মদ চলে আসবে আপনার বাড়ির দরজায়। এমনই ব্যবস্থা করা হচ্ছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। আগামী মাসে ট্রায়ালের ভিত্তিতে এই পদ্ধতি চালু করতে চলেছে অসম সরকার। সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে আগামী এক মাস এই সুবিধা চালু থাকবে। সংবাদসংস্থা এএনআই জানাচ্ছে গুয়াহাটিতে বাড়িতে বসে মদ পাওয়ার সুবিধা চালু হতে চলেছে। 

মন্ত্রী পীযূষ হাজারিকা জানিয়েছেন অনলাইনে মদ বিক্রি করবে সরকার। যদি এই পদ্ধতি সফল হয়, তবে গোটা রাজ্যেই এই ব্যবস্থা চালু করা হবে। তবে আপাতত শুধু গুয়াহাটিতে এই সুবিধা চালু করা হচ্ছে। এরজন্য বিশেষ গাইডলাইনস তৈরি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অসমের আরেক মন্ত্রী কেশব মহন্ত। করোনা পরিস্থিতিতে যাতে মদের দোকানের সামনে ভিড় না হয়, সেজন্যই অনলাইনে মদ বিক্রি করবে রাজ্য সরকার। 

অনলাইনে মদ বিক্রি করলে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি অনেক কম থাকবে। তাই ভাবনাচিন্তা করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর আগে মেঘালয় সরকারও মদ বিক্রির ক্ষেত্রে বিশেষ সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। মদের দোকান থেকে যাতে বাড়িতে ডেলিভারি দেওয়া যায়, সেই ব্যবস্থা করা হয়। 

বুধবার অসমে নতুন করে আক্রান্ত হন ২,০৪৬ জন। গত ২৪ ঘন্টায় মারা গিয়েছেন ২২জন। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৫,৪০,৪৫৩। এদিকে, নীতি আয়োগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সদস্য ডা. ভি কে পল বলেছেন, কোভিড -১৯ সংক্রমণের তৃতীয় তরঙ্গের লক্ষণ ইতিমধ্যেই বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় দেখা যাচ্ছে। ভারতে তৃতীয় তরঙ্গের উচ্ছ্বাস আটকাতে সকলকে একসঙ্গে মিলে কাজ করতে হবে। হায়দরাবাদের এক গবেষক ড. বিপিন শ্রীবাস্তব অবশ্য দাবি করছেন, গত ৪ জুলাই থেকেই তৃতীয় তরঙ্গ শুরু হয়ে গিয়েছে।

টাইমস অফ ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, হায়দ্রাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় প্রখ্যাত পদার্থবিদ তথা প্রাক্তন উপাচার্য ড. বিপিন শ্রীবাস্তব গত ১৫ মাসের দৈনিক নতুন করোনা রোগীর সংখ্যা এবং মৃত্যুর সংখ্যার তথ্য বিশ্লেষণ করেই এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন। তিনি দেখিয়েছেন, ৪ জুলাই থেকে নতুন করোনভাইরাস সংক্রমণের সংখ্যা এবং ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহের নতুন সংক্রমণের গ্রাফের ধরণটি একই রকম। ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকেই ভারতে দ্বিতীয় তরঙ্গ শুরু হয়েছিল বলে মনে করা হয়। শেষ ৪৬০ দিনের মধ্যে দৈনিক কোভিড-১৯'এর তথ্য ম্যাপ করে তরঙ্গের প্যাটার্নটি নির্ধারণ করেছেন। 

শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন, গত ৬ মে থেকে ১৭ মে-র মধ্যে ১০ দিনের সময়কালে যখন মৃত্যুর সংখ্যা খুব বেশি ছিল, তখন ডিডিএল একইরকম বন্যভাবে ওঠানামা করেছিল। এর থেকে ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল যে ক্রসওভার হচ্ছে, অর্থাৎ অন্য তরঙ্গ এসে আগের তরঙ্গকে পিছনে ফেলে দিচ্ছে।