সংক্ষিপ্ত
বিহারের করোনা পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে। সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা যা এক মাস আগে তিরিশ হাজারের বেশি ছিল, তা এখন দেড় হাজারের নিচে নেমে এসেছে এবং বর্তমানে ১৩৪৭-এ দাঁড়িয়েছে।
১৪ই ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ সোমবার থেকে (Bihar to unlock on February 14) যাবতীয় করোনা বিধি ও করোনা সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা (all restrictions) প্রত্যাহার করে নিচ্ছে বিহার। এক বৈঠকের পর এমনই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার (Chief Minister Nitish Kumar)। রাজ্য জুড়ে কমছে করোনা সংক্রমণ। সেদিকে নজর রেখেই রাজ্য সরকারের এমন সিদ্ধান্ত বলে জানা গিয়েছে।
রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতরের জারি করা একটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে যে যে বিধিনিষেধগুলি দূর করা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে বিবাহ এবং অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় ২০০ জনের অংশ নেওয়া রাখা হয়েছে। এছাড়াও, স্কুলগুলি সব শ্রেণীর জন্য সাধারণভাবে চলতে পারে বলে জানানো হয়েছে। আগে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ৫০ শতাংশ উপস্থিতির অনুমতি ছিল। তবে কোভিড -১৯ প্রোটোকল যেমন ফেস মাস্ক এবং সামাজিক দূরত্ব সব জায়গায় মেনে চলতে হবে বলে জানানো হয়েছে।
বিহারের করোনা পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে। সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা যা এক মাস আগে তিরিশ হাজারের বেশি ছিল, তা এখন দেড় হাজারের নিচে নেমে এসেছে এবং বর্তমানে ১৩৪৭-এ দাঁড়িয়েছে।
উল্লেখ্য, ভারতে যোগ্য প্রাপ্তবয়স্কদের ৯৭.৫ শতাংশ টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছেন এবং তাদের মধ্যে ৭৭ শতাংশ দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন বলে রাজ্যসভায় জানান কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য পরিসংখ্যান তুলে আরও জানানো হয়েছে ১৫-১৮ বছর বয়সীদের সংখ্যা প্রায় ৭.৪ কোটি। তার মধ্যে এখনও পর্যন্ত ৭ কোটি ৪০ লক্ষ ৫৭ হাজার করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়া হয়েছে। আগামী ২৮ দিনের মধ্যে এই গ্রুপের সদস্যদের দ্বিতীয় ডোজও দেওয়া হবে। এই বয়সের সদস্যরা সক্রিয়ভাবে টিকা কর্মসূচিতে অংশ গ্রহণ করেছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে এই বয়সের সদস্যরা প্রায় সকলেই টিকা পেয়ে যাবে বলেও তিনি আশাবাদী।
এদিকে, ভারতে মার্চ মাসেই শুরু হয়ে যেতে পারে ১২-১৪ বছর বয়সীদের টিকাকরণ। কারণ বর্তমানের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ১৫-১৮ বছর বসয়ীরা পর্যাপ্ত পরিমাণে টিকা পেয়েছে। সেই কারণে আগামী মার্চ মাস থেকেই ১২-১৪ বছর বয়সীদের টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা করেছেন কেন্দ্রীয় সরকার।