সংক্ষিপ্ত
- লকডাউন নিয়মকে তোয়াক্কা না করেই অফিস খোলা
- পঞ্চায়েত খোলা রেখে দুর্নীতির অভিযোগ
- অভিযোগ উঠল বিজেপি পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে
- প্রতিবাদে পঞ্চায়েত অফিসে তালা লাগিয়ে বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের
করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে সারা রাজ্য জুড়ে লকডাউন জারি করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার। সেই নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে পঞ্চায়েত খোলা রেখে চলছে দুর্নীতি। এমনই অভিযোগ উঠল বিজেপি পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে। এই ঘটনার প্রতিবাদে আজ পঞ্চায়েত অফিসে তালা লাগিয়ে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। পুরুলিয়ার সাঁতুড়ি ব্লকের গড়শিকা গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা।
পঞ্চায়েত প্রধান লকডাউনে পঞ্চায়েত খোলা রাখার কথা স্বীকার করে নেওয়ার পাশাপাশি তালা লাগিয়ে বিক্ষোভ দেখানোর কথা স্বীকার করে নেন। একশো দিনের কাজ করার জন্য মাঝেমধ্যে পঞ্চায়েত অফিস খুলতে হয় । কিন্তু লকডাউনে সমস্ত সরকারি বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার। সেই নির্দেশকে অমান্য করে কি করে পঞ্চায়েত অফিস খোলা রেখে কাজ হচ্ছে সে নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
এলাকার সাধারণ মানুষ থেকে ১০০দিনের কাজের শ্রমিক সকলেই গড়শিকা গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে লক ডাউনে অফিস খোলা রেখে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন। গড়শিকা গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান কৃষ্ণা মন্ডল জানান, ওপর থেকে অর্ডার আছে তাই অফিস খোলা রেখে কাজ করছি। মানুষ কাজ পাচ্ছে না। তাই এম জি এন আর জি এসের কাজে মাঝে মাঝে অফিস খুলতে হয়।
বিজেপি পরিচালিত পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে লকডাউন ভেঙে অফিস খোলা রেখে কাজ করায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। শুধু লকডাউনে পঞ্চায়েত অফিস খোলা রেখে কাজ করাই নয় ১০০ দিনের কাজে জেসিবি মেশিন দিয়ে মাটি কাটার অভিযোগ তুলেছেন গ্রামবাসীরা। সব মিলিয়ে বিজেপি পরিচালিত পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে করোনা আবহে লকডাউন আইন অমান্য করে অফিস খোলা রেখে কাজ করা থেকে নানান দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় বেশ চাপে জেলার বিজেপি শিবির।