সংক্ষিপ্ত
- করোনা মোকাবিলায় স্বেচ্ছাবন্দি পাঞ্জু দ্বীপ
- প্রশাসন যতক্ষণ না চাইবে ততক্ষণ চলবে বন্দিদশা
- বাতিল হনুমান জয়ন্তীর কর্মসূচি
- সমুদ্র ঘেরা দ্বীপে নেই দূষণ
করোনাভাইরাসের ত্রাসে কাঁপছে গোটা মহারাষ্ট্র। সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে মুম্বইসহ একাধিক এলাকায় প্রশাসনের তরফ থেকে স্বব্ধ করে দেওয়া হয়েছে জনজীবন। সেখানে একদম অন্য ছবি মুম্বই শহর থেকে কিছুটা দূরে অবস্থিত সমুদ্রে ঘেরা পাঞ্জু দ্বীপ। বাণিজ্য নগরীর সঙ্গে সকল যোগাযোগই ছিন্ন করেছেন এই দ্বীপের বাসিন্দারা। আর সেই কারণে এখনও পর্যন্ত পাঞ্জু দ্বীপে করোনা আক্রান্ত একজনেরও সন্ধান পাওয়া যায়নি। গ্রামেরই একজন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী জনতা কারফুর ডাক দেওয়ার পরই গ্রামের মানুষরা মিলিত হয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে তাঁরা আর ঘরের বাইরে বার হবেন না। যতক্ষণ না প্রশাসন চাইবে। সেইমত এখনও স্বেচ্ছাবন্দি হয়ে রয়েছেন তাঁরা।
বোরিভালি থেকে মাত্র ১৫ কিলোমিচার দূরে পাঞ্জু। ফেরি পারাপার করে তারপর রেলে পথে নিত্যদিনও বহু মানুষ রুজিরুটির সন্ধানে আসেন মুম্বই সহ অন্যত্র। কিন্তু সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন নৌসংযোগ। দ্বীপে বাস করেন প্রায় দেড় হাজার মানুষ। এখানকার প্রায় দশ শতাংশ মানুষই দীন মজুরের কাজ করেন সংসার চালান। কিন্তু এই সময় তাঁরাও নিরাপত্তার কথা ভেবে ঘর ছেড়ে বাইরে বার হতে নারাজ। দ্বীপের অনেক মানুষই মৎসজীবী। কিন্তু বর্তমানে তাঁরা মাছ ধরা থেকে বিরত রয়েছেন। প্রায় একশোটি মাছ ধরার নৌকা সার দিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে সমুদ্র কূলে।
আরও পড়ুনঃ মাত্র ১৫ মিনিটেই করোনা-রিপোর্ট, কিট আবিষ্কার বলে দাবি বাংলাদেশের বিজ্ঞানীদের.
আরও পড়ুনঃ করোনাভাইরাস ও লক ডাউনকে হাতিয়ার করেই খালি হল শাহিনবাগ, ১০১ দিন পর উঠল অবস্থান
একটি স্কুল আর একটি মাত্র স্বাস্থ্য কেন্দ্রই ভরসা দ্বীপবাসীদের। নারকেল গাছে ঘেরা এইদ্বীপের স্থান রয়েছে ইতিহাসেও। দূষণমুক্ত এক দ্বীপ কোনও মানুষকেই করোনাভাইরাসের সংক্রমিত হয়ে মরতে দিতে চায় না। তাই স্থানীয় বাসিন্দারাই ইতিমধ্যেই বাতিল করে দিয়েছেন পয়লা এপ্রিল হনুমান জয়ন্তীর কর্মসূচি। জমায়েত করে পুজো বন্ধ হয়ে গেছে এই দ্বীপে। পুলিশের রক্তচক্ষু নেই। কিন্তু তারপরেও করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে স্বেচ্ছাবন্দি হয়েই দিন কাটাচ্ছেন দ্বীপে বাসিন্দারা।