সংক্ষিপ্ত
- খালি করা হল দিল্লির শাহিনবাগ
- উঠেগেল ১০১ দিনের অবস্থান বিক্ষোভ
- দিল্লি পুলিশ জোর করে তুলে দেয় প্রতিবাদীদের
- করোনা সংক্রমণ রুখতে লক ডাউন দিল্লিতে
অবশেষে খালি করা হল শাহিনবাগ। গত ১০১ দিন ধরে এখানেই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলনে সামিল হয়েছিলেন প্রতিবাদীরা। দিল্লির ভয়ঙ্কর হিংসার পরেও সরিয়ে দেওয়া যায়নি শাহিনবাগের প্রতিবাদীদের। কিন্তু মঙ্গলবার সকালেই দিল্লি পুলিশ জোর করেই তুলে দেয় সিএএ-র বিরুদ্ধে জড়ো হওয়া প্রতিবাদীদের। দিল্লি পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছিলেন, মঙ্গলবার সকাল সাতটা নাগাাদ পুলিশের একটি বিশাল বাহিনী গিয়েছিল শাহিনবাগে। প্রথমে প্রতিবাদীদের কাছে এলাকা খালি করার আবেদন জানান হয়। কিন্তু প্রতিবাদী তা না শুনলে জোর করে তুলে দেওয়া হয়। সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ খালি করা হয় শাহিনবাগ। বর্তমানে গোটা এলাকা জুড়ে জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৬ মহিলাসহ ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
দিল্লি পুলিশ আরও জানিয়েছে স্থানীয় নাগরিকদের সহযোগিতা তারা পেয়েছে। একই সঙ্গে এদিন খালি করা হয়েছে উত্তর পূর্ব দিল্লির জাফরাবাদ, পুরনো দিল্লির তুরকমান ঘাট এলাকাও। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে এই জায়গাগুলিতেই চলছিল অবস্থান বিক্ষোভ।
আরও পড়ুনঃ 'অমাবস্যায় ভাইরাস মারতে কাঁসর-ঘণ্টা বাজান', অমিতাভের মন্তব্য ঘিরে জল্পনা তুঙ্গে
আরও পড়ুনঃ আজ রাতে ফের মোদীর ভাষণ, কী বলতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী
আরও পড়ুনঃ করোনা আক্রান্তদের জন্য আলাদা হাসপাতাল, ২ সপ্তাহে তৈরী করলেন মুকেশ অম্বানি
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে গোটা দেশ জুড়েই সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার আবেদন জানান হয়েছে নাগরিকদের কাছে। তাই যে কোনও ধরনের জমায়েতের ওপর জারি করা হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। দিন দুই আগে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কোজরিওয়াল লক ডাউনের কথা ঘোষণা করেছিলেন।একই সঙ্গে তিনি ট্যুইট করে জানিয়েছিলেন, এই সময় বড় অন্য ধরনের। তাই এখন বাকি সবকিছু থেকে বিরত থেকে করোনা মোকাবিলায় কাজ করতে হবে। করোনা মোকাবিলায় দিল্লিতে রীতিমত কড়া পদক্ষেপও নেওয়া হচ্ছে।
দেশের রাজধানী দিল্লিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩০। এখনও পর্যন্ত এক জনের মৃত্যু হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে গত সপ্তাহে থেকেই দিল্লি পুলিশ শাহিনবাগের প্রতিবাদীদের কাছে অবস্থান থেকে বিরত থাকার জন্য আবেদন জানিয়েছিল। তারপর অনেক মহিলাই এলাকা খালি করে দেন। কিন্তু বেশ কয়েকজন অনড় ছিলেন নিজেদের অবস্থানে। এদিন বাকিদেও সরিয়ে দেওয়া হয়।
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে গত ১৫ ডিসেম্বর থেকে আন্দোলেন বসেছিলেন প্রতিবাদীরা। অবস্থানের মূল আকর্ষণই ছিলেন মহিলারা। গোটাদেশের নজর কেড়েছিল শাহিনবাগ। দিল্লির হিংসার পরেও জারি ছিল প্রতিবাদ। একাধিকবার সিএএ সমর্থকরা প্রতিবাদীদের লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে, বোমা ফেলেছে। কিন্তু কিছুতেই কাবু করা যায়নি। অবশেষে করোনার সংক্রমণ রুখতে সরিয়ে দেওয়া হল প্রতিবাদীদের।