সংক্ষিপ্ত

যারা গ্লাভস পরে বাড়ির বাইরে বের হচ্ছেন না, তাদের হাতের আঙুলে থাকা আংটিতে এই পরিস্থিতিতে করোনার মতো জীবাণু ঢুকে পড়ার সম্ভাবনা যথেষ্টই। তাই সেই আংটি পরা হাতে আমরা যদি খাই বা বাড়ির লোকজনকে খাবার পরিবেশন করি বা রান্নাবান্না করি, তাহলে জীবাণু সংক্রমণের আশঙ্কা আরও বেড়ে যায়। 

গত দু বছর ধরে (Last Two Years) কোভিড মহামারির (Covid 19) সঙ্গে লড়াই করার জন্য প্রাকৃতিক অনাক্রম্যতা (Natural Immunity) তৈরি হয়েছে, যা মৃত্যুর হার (rate of Death) অনেক কমিয়ে দিয়েছে। তবে ওমিক্রনকে হালকাভাবে না নেওয়াই শ্রেয় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা বলেছেন, কোভিড মহামারি এখনও ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। তাই এই পরিস্থিতিতে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে সবাই পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকার চেষ্টা করছে। তবে বারবার হাত ধোয়ার পরও থেকে যেতে পারে জীবাণু। 

জানেন কি, হাতের আঙুলে পরা আংটিতে জমে থাকা জীবাণু বের করা যায় না। কখনো কখনো সাবানও থেকে যায় আংটির ফাঁকে। খাওয়ার সময় যা পেটে চলে যেতে পারে। যা ডেকে আনতে পারে বিপদ। ফলে আপনার পছন্দের আংটিই হয়ে উঠতে পারে প্রাণঘাতী। বিশেষজ্ঞদের দাবি, নোভেল করোনা ভাইরাস আংটির বিভিন্ন ধাতু, রত্ন, মণিমাণিক্যে কতটা সময় পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে, সে ব্যাপারে এখনও সঠিক তথ্য মেলেনি। কিন্তু সাধারণ অভিজ্ঞতা থেকেই বলা যায়, ধাতব আংটিতে যথেষ্ট পরিমাণে জমে থাকে ধুলো ও বিভিন্ন ধরনের জীবাণু।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আংটিগুলো এই সময় খুলে রাখলেই সবচেয়ে ভালো। না পারলে, বাইরে থেকে এসেই সেগুলোকে খুব ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে। একইরকমভাবে তাবিজ-কবজ থেকেও ছড়াতে পারে সংক্রমণ। এই তালিকায় রয়েছে হাতের ঘড়িও। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, যখন করোনায় আক্রান্ত গোটা বিশ্ব, যেখান থেকে খুশি সংক্রমণের সম্ভাবনা রয়েছে, সেই পরিস্থিতিতে এই সময়টা আংটি, ঘড়ি, তাবিজ-কবজ এগুলো না পরাই ভালো।

আংটির নিচে সাবানের টুকরো জমে থাকতে দেখা যায়, স্নানের সময় আংটি আমরা ভালোভাবে পরিষ্কার করি না বলে। বাড়ির বাইরে বেরোলে আংটির নিচে এই জমে থাকা সাবানের টুকরোগুলিই হয়ে ওঠে জীবাণুদের ঘাঁটি। 

আরও পড়ুন-COVID-19 in India: ৩৪টি রাজ্যে কমছে কোভিড সংক্রমণ, আরও সুখবর দিল স্বাস্থ্য মন্ত্রক

আরও পড়ুন-School Reopen: অবশেষে বাজল স্কুলের ঘণ্টা, করোনা ভয়কে সঙ্গে নিয়েই ক্লাসে পড়ুয়ারা

যারা গ্লাভস পরে বাড়ির বাইরে বের হচ্ছেন না, তাদের হাতের আঙুলে থাকা আংটিতে এই পরিস্থিতিতে করোনার মতো জীবাণু ঢুকে পড়ার সম্ভাবনা যথেষ্টই। তাই সেই আংটি পরা হাতে আমরা যদি খাই বা বাড়ির লোকজনকে খাবার পরিবেশন করি বা রান্নাবান্না করি, তাহলে জীবাণু সংক্রমণের আশঙ্কা আরও বেড়ে যায়। তাবিজ-কবজ থেকে হয়তো খাওয়ার সময় সরাসরি জীবাণু মুখে যায় না। কিন্তু সেখান থেকেও সংক্রমণ ছড়ানোর সম্ভাবনা থাকে। তাই আংটি, তাবিজ-কবজ থেকে এই সময়টা দূরে থাকতে বলছেন তারা।

করোনা মোকাবিলায় হাত ধোয়ার উপর সব থেকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু অনেক সময় ভালো করে হাত ধোয়ার পরেও আঙুলের আংটি পরিষ্কার হয় না। তাতে জীবাণু জমে থাকতে পারে। তা থেকেই সংক্রমণের সম্ভাবনা থেকে যায়। একইরকম হয় ঘড়ির ক্ষেত্রেও।