প্রধানমন্ত্রীর বাড়িতে মন্ত্রিসভার বৈঠক মন্ত্রিসভার বৈঠকে সামাজিক দূরত্ব পালন হাজির কেন্দ্রের সব মন্ত্রীরা বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা  

মন্ত্রিসভার বৈঠকেও মেনে চলা হল সামাজিক দূরত্ব। বেশ কিছুটা দূরে দূরেই বসে রয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা। একটি চেয়ারের থেকে অন্য চেয়ারের দূরত্বও এক মিটারের বেশিবৈ কম হবে না। করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সামাজিক দূরত্বকেই হাতিয়ার করেছে ভারত। প্রধানমন্ত্রী আগেই জানিয়েছিলেন তিনিও মেনে চলছেন সামাজিক দূরত্ব। করমর্দনের পরিবর্তেই অনেক আগে থেকেই তিনি নমস্কার করছেন। 

Scroll to load tweet…

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাড়িতেই মন্ত্রিসভার বৈঠক ডাকা হয়েছিল এদিন সকাল এগারোটা নাগাদ। সমস্ত মন্ত্রীরাই সশরীরে হাজির হয়েছিলেন ৭ নম্বর লোক কল্যাণ মার্গে তাঁর বাসভবনে। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলায় গতকাল রাতে ২১ দিনের জন্য লকডাউনের ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্যই মন্ত্রিসভার বৈঠক ডাকা হয়েছে। কিন্তু সেই বৈঠকেও দেখা গেল অন্যছবি। রীতিমত কঠোর নিয়ম মেনে চলছেন প্রধামন্ত্রীর মন্ত্রীরা। 

আরও পড়ুনঃ প্রধানমন্ত্রীর আবেদন উপেক্ষা, লকডাউনের মধ্যেই রামজন্মভূমিতে রাম লালার মূর্তি স্থানান্তর যোগী আদিত্যন

আরও পড়ুনঃ এবার ভারতে সহজলভ্য করোনা পরীক্ষা, একেবারে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি হয়ে গেল টেস্ট কিট

আরও পড়ুনঃ গৃহবন্দি দেশবাসী, কী ভাবে সময় কাটাবেন বাড়িতে, থাকল কিছু টিপস

ভারতে করোনাভাইরাস মহামারীর আকার নিয়েছে। এখনও পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৫৬০। মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের। করোনাভাইরাস সংক্রমণ রুখতে সামাজিক দূরত্বব নিশ্চিত করতে রবিবার জনতা কারফুর ডাক দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সংক্রমণ এড়াতে এদিন থেকেই লকডাউনের পথে গোটা দেশ। আগেই অবশ্য বন্ধ হয়ে গিয়েছিল রেল ও বাস পরিষেবা। আন্তর্জাতিক উড়ান বন্ধ হয়েছিল আগেই। এদিন থেকে বন্ধ অন্তর্দেশীয় বিমান পরিষেবা। বুধবার থেকে আগামী ২১ দিনের জন্য প্রায় স্তব্ধ ভারতের জনজীবন। ঘরবন্দি একশো কোটির বেশি মানুষ। চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীসহ জরুরী পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত নাগরিকদেরই দেখা যাবে রাস্তায়। এই পরিস্থিতিত নিত্য প্রয়োজনীয় রসদের সরবরাহ সহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করতেই ডাকা হয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠক। তেমনই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।