সংক্ষিপ্ত

ভাইলার লোডের তুলনা করার জন্য গবেষকরা সংক্রমিত ব্যক্তিদের কাছ থেকে সংগৃহীত নাক ও গলার সোয়াব এর পিসিআর পরীক্ষার ফলাফল গুলি খতিয়ে দেখেছিলেন। মূলত ডেল্টা আর ওমিক্রনে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যেই এই তুলনামূলক পরীক্ষা করা হয়েছিল।পরীক্ষায় দেখা গেছে যারা ডেল্টায় আক্রান্ত তাদের তুলনায় যারা ওমিক্রনে আক্রান্ত তাদের মধ্যে ভাইরাল লোড তুলনায় কিছুটা বেশি।

ওমিক্রন (Omicron) ও ডেল্টার (Delta) ভাইরাল লোড (Viral Load) প্রায় একই একই। নতুন গবেষণায় এমনই তথ্য দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। কিন্তু করোনাভাইরাসের (Coronavirus) নতুন রূপ ওমিক্রন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। তবে এটি ডেল্টার মত প্রভাবশালী নয়। নেচার পত্রিকায় দুটি গবেষণা রিপোর্ট নিয়ে একটি আলোচনা প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানেই বলা হয়েছেকোভিড -১৯ (Covid-19) ওমিক্রন ডেল্টার চেয়ে বেশি পরিমাণে ভাইরাল লোড প্রকাশ করে না। এটি বিদ্যুতের গতিতে ছড়িয়ে পড়ে (heavy spread)- কারণ এটি অনাক্রম্যতা এড়াতে সক্ষম। 

গবেষণায় খতিয়ে দেখা গিয়েছে ওমিক্রন হাইপার-ট্রান্সমিসিবিলিটি সংক্রমিত ব্যক্তিদের থেকে প্রচুর পরিমাণে ভাইরাসের মুক্তি থেকে উদ্ভূত হয় । বার্লিংটনের ভার্মেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ভাইরোলজিস্ট এমিলি ব্রুস জানিয়েছেন ওমিক্রন দ্রুত গতিতে সংক্রমণ ছড়াতে বা ছড়িয়ে পজডতে পাবে। এটির টিকা বা প্রাকৃতিক উপায়ে তৈরি অন্য়াক্রম্যতা বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এড়িয়ে যাওয়ার ক্ষমতা রাখে। 

নেচারের প্রতিবেদনে ভাইরাল লোডেরও ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে একজন ব্যক্তির মধ্যে থাকা ভাইরাসের পরিমাণ। আরটি পিসিআর পরীক্ষার মাধ্যমে ধরা পড়ে একজন সংক্রমিতের শরীরে কী পরিমাণে ভাইরাস রয়েছে। আরটি-পিসিআর পরীক্ষায় সিটি মান হল ভাইরাল লোড। মান যত কম হবে ভাইরাল লোড তত বেশি হবে। 

ভাইলার লোডের তুলনা করার জন্য গবেষকরা সংক্রমিত ব্যক্তিদের কাছ থেকে সংগৃহীত নাক ও গলার সোয়াব এর পিসিআর পরীক্ষার ফলাফল গুলি খতিয়ে দেখেছিলেন। মূলত ডেল্টা আর ওমিক্রনে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যেই এই তুলনামূলক পরীক্ষা করা হয়েছিল।পরীক্ষায় দেখা গেছে যারা ডেল্টায় আক্রান্ত তাদের তুলনায় যারা ওমিক্রনে আক্রান্ত তাদের মধ্যে ভাইরাল লোড তুলনায় কিছুটা বেশি। ম্যাসাচুসেটসের এক রোগ বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন তিনি এই পরীক্ষার ফলাফল কখনই আশা করেননি। সুইজার ল্যান্ডের জেনেভার ভাইরালোজিস্ট বেঞ্জামিন মায়ার বলেন স্বাভাবিকভাবেই তিনি মনে করেন উচ্চতর সংক্রমণযোগ্যতা অবশ্যই একটি উচ্চ ভাইরাল লোডের কারণ হতে পারে। 

গত ২৪ নভেম্বর ওমিক্রন প্রথম শনাক্ত করা হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকায়। ভাইরাসটি এখনও পর্যন্ত করোনাভাইরাসের সর্বশেষ রূপ হিসেবে চিহ্নিত হয়ে রয়েছে। এটি দ্রুত বিশ্বের অন্য দেশগুলিতে ছড়িয়ে পড়ে। বিশেষজ্ঞদের কথায় গত দুই মাসে ওমিক্রন বিশ্বে প্রভাবশালী একটি স্ট্রেইন হিসেবে পরিণত হয়েছে। এটি মহামারির নতুন তরঙ্গকেও ডেকে এনেছে। অনেক বিজ্ঞানীর মতে ওমিক্রন সম্পূর্ণ ভিন্ন একটি মহামারি। এর সঙ্গে করোনাভাইরাসের কোনও মিল লেই। করোনাভাইরাসের রোগের উপসর্গের থেকেও ওমিক্রনের উপসর্গ অনেকটাই আলাদা বলেও জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। ডেল্টার মত এটি আক্রান্তদের ফুসফুসকে প্রভাবিত করে না। যার জন্য ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি হলেও গোটা বিশ্বেই হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা অনেকটাই কম। 

PM Modi On Covid Vaccination: 'পথ দেখাচ্ছে তরুণরা', কোভিড টিকা নিয়ে বার্তা মোদীর

COVID-19: কোভিড ১৯ সংক্রমণ রুখে দেয়, এমন জিনের সন্ধান পেলেন বিশেষজ্ঞরা

Goa Assembly Poll 2022: কোন পথে মনোহর পারিক্করের ছেলে উৎপল, বিজেপির তালিকা থেকে 'নিখোঁজ'